‘একটা সময় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলতেই ভয় পেত’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বলেছেন পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এমন একটা সময় মানুষের জীবনে এসেছিল। যে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলতেই ভয় পেত। কারণ, এটা বললে তারা সরকারি-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রেই অবহেলার শিকার হতো। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেক সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যে নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৩ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ২৩ নভেম্বর সেই চার জাতীয় নেতাকেও কারাগারে হত্যা করা হয়। হত্যা, খুন এগুলোই ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে। গণতন্ত্রের পরিবর্তে মার্শাল-ল। দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মুষ্টিমেয় লোককে সুবিধা দিয়ে ও তাদের ওপর নির্ভর করেই দেশ পরিচালনা করা হয়। জনগণের কোনো অধিকারই ছিল না, এটাই ছিল বাস্তবতা।

তিনি বলেন, ‘৭৫ সাল থেকে যদি আমরা দেখি, বারবার কিন্তু গণতন্ত্র থমকে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি, রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা থাকতে পারেনি, আর এ জন্য বাংলাদেশও সেভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি।’

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের সফলতা টেনে বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না। আজ আমরা ভূমিহীনদের মাঝে ঘর তৈরি করে দিচ্ছি।’

‘খেলাধুলা, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা সর্ব ক্ষেত্রেই যেনো বাংলাদেশ এগিয়ে যায় তার জন্য যা যা করণীয় তা আমরা করেছি’, বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Nagad

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার গবেষণার উপর সব সময় গুরুত্ব দেয়। ক্ষমতায় এসে আমরা প্রথমেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের উপর নজর দেই। সে ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। আমাদের দারিদ্রের হার আরও হ্রাস পেয়েছে। সেই সাথে মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৮ সালে সরকার গঠন করে ২০০৯ সালে যখন পরিকল্পনা করলাম ২০২১ পর্যন্ত। সেই লক্ষ্য আমরা অর্জন করেছি। এখন ২০২১ থেকে ২০৪১ এর পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও প্রযুক্তি-জ্ঞান সম্পন্ন জনগোষ্ঠী গড়ে তুলে আমরা সবকিছুতে স্মার্ট একটি দেশ গড়ে তুলব।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নয়জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন।