আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৩

ডোপ টেস্টে ১১৬ মাদকাসক্ত পুলিশ চাকরিচ্যুত

পুলিশ সদস্যদের মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে ডিএমপির কনস্টেবল থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন। এ ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আগে একজন মারা গেছেন এবং আরেকজন অবসরে চলে গেছেন। বাকি আটজন শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুলিশকে মাদকমুক্ত ও সুশৃঙ্খল রাখতে এ পরীক্ষা চালু রাখা জরুরি। ডিএমপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডোপ টেস্টে বেশি পজিটিভ হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবলরা। ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়া ১২৬ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৯৮ জনই কনস্টেবল। বাকিদের মধ্যে একজন পুলিশ পরিদর্শক, ১১ জন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট, সাতজন সহকারী উপরিদর্শক (এএসআই) এবং আটজন নায়েক। ডিএমপি সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১০ মার্চ তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম পুলিশকে মাদকমুক্ত করতে ডিএমপিতে ডোপ টেস্ট (মাদকাসক্ত চিহ্নিতের পরীক্ষা) চালু করেন। ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডোপ টেস্টে ১২০ জন পুলিশ সদস্যকে মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত এই ১৬ মাসে মাত্র ২০ জন পুলিশ সদস্য শনাক্ত হন। ওই বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডোপ টেস্টে কেউ মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হননি। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয়জন পুলিশ সদস্য মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হন। সূত্র: প্রথম আলো

৪২ কোটি টাকার দুর্নীতি ১০ ল্যাবরেটরিতে

রাজধানীর শ্যামপুরের কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসে ১০টি ল্যাবরেটরি স্থাপনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্যাকিং হাউসটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে।প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ গত বছর মোট ১১১ কোটি ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মূল্য নির্ধারণ করেছিলেন প্রকল্প পরিচালক জগত চাঁদ মালাকার। অথচ ৬৮ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ওই যন্ত্রপাতি কেনা যেত। অর্থাৎ তিনি ৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়েছেন বলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) অভিযোগ এনেছে। বিষয়টির সত্যতাও পেয়েছে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।এফএওর অভিযোগকে আমলে নিয়ে মন্ত্রণালয়টির যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ এনামুল হকের নেতৃত্বে গত ১০ জানুয়ারি ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। কমিটিকে এফএওর পর্যবেক্ষণ বা সুপারিশ বিবেচনা করে ১০টি ল্যাবের যন্ত্রপাতির স্পেসিফিকেশন পর্যালোচনা ও ল্যাব যন্ত্রপাতি/রাসায়নিক দ্রব্যাদির বাজার দর যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ।

৪ মাসেও অভিযুক্ত সবার শাস্তি নিশ্চিত হয়নি

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পর প্রায় চার মাস হতে চললেও গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য অভিযুক্ত সবার শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। নির্দেশনার এক মাসের মধ্যে শাস্তি কার্যকর করে কমিশনকে জানানোর বিধান আছে। কিন্তু কার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা কমিশন এখনো জানতে পারেনি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মে সম্পৃক্ততা এবং দায়িত্বে অবহেলার দায়ে গত ১ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচজন উপপরিদর্শকসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অভিযুক্তদের মধ্যে ১২৬ জন প্রিজাইডিং অফিসার। এর মধ্যে একজন প্রিজাইডিং অফিসারকে দুই মাসের জন্য বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া অনিয়ম হওয়া ১৪৫ নির্বাচনী কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টরা ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত দেয় কমিশন। তবে অনিয়ম থেকে দায়মুক্তি পান সরকারদলীয় প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জেলা প্রশাসক মো. ওলিউর রহমান এবং তখনকার জেলা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম। পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

পাঁচ বছরে ৩৬ লাখ মামলায়ও শৃঙ্খলা ফেরেনি ঢাকার সড়কে
ঢাকার সড়কে গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ মামলা করেছে ৩৬ লাখেরও বেশি। বিশেষজ্ঞ ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, সড়কে শৃঙ্খলার পরিবর্তে এসব মামলায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত কোটা পূরণই গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। ঢাকার সড়ক দিনে দিনে হয়ে পড়েছে আরো বিশৃঙ্খল। ভোগান্তি ও প্রাণহানির আশঙ্কা বেড়েছে পথচারী-যাত্রীদের। দুর্ঘটনার মাত্রাও বেড়েছে অনেক। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে গত বছর ২০২১ সালের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। যানবাহনের ধাক্কায় বা চাপায় বেশি হতাহত হয়েছে পথচারীরা। রাজধানীর সড়কে গত বছর দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২২৭ জন। তাদের মধ্যে পথচারীর সংখ্যা ৬০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর আগের বছর রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ১৩৭।রাজধানীর সড়কগুলোয় এখন মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। এর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও। সড়কে গত বছর নিহতদের ৪০ শতাংশই ছিলেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যানগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত চার বছরে ঢাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাদে অন্যান্য দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় সমান। কিন্তু ক্রমাগত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় বছর বছর তালিকা বড় হচ্ছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

বালুতে বিলীন নদী

পানির ছিটেফোঁটাও নেই। চারদিকে কেবল ধু ধু বালু। দেখে মনে হয় বালুর স্তুপ, অথচ এটি একটি নদী। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পিয়াইন নদীর অবস্থা এমনই। তাও দুয়েকবছর নয়, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এমন অবস্থায় রয়েছে নদীটি। বালু জমে হারিয়ে গেছে নদী।পিয়াইন নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে আশপাশের এলাকায়। খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে পিয়াইন নদীর অবস্থান। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে অস্তিত্ব হারিয়েছে পিয়াইন নদী। পাথর উত্তোলন বন্ধ না হলে পাশ্ববর্তী ডাউকি নদীও হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।পাহাড়ে বৃষ্টি হলে ঢালু এলাকা দিয়ে পানির ঢল নামে। আগে এই ঢলের পানি পিয়াইন নদী দিয়ে প্রবাহিত হতো। এখন নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে পানি। ফলে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা ও ভাঙ্গন। কিছুদিনে আবার শুরু হচ্ছে বৃষ্টির মৌসুম। ফলে আবারও ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতার শঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

তুচ্ছ ঘটনায় বেড়েছে খুনোখুনি
পারিবারিক সামাজিক অপরাধের ভয়াবহতার শেষ নেই

সাতক্ষীরার দেবহাটায় গত বছরের ২২ জুন স্ত্রীর তালাক নোটিস পেয়ে শ্বশুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে সালাউদ্দিন সানা (২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার সপ্তাহখানেক পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। কয়েক বছরে এমন সামাজিক অপরাধের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। পুলিশের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা দেশে তিন কারণে খুনোখুনি বেশি। এর মধ্যে পারিবারিক কলহে খুন ২১ শতাংশের বেশি, সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিরোধে ১৩ শতাংশের বেশি এবং পূর্বশত্রুতায় খুন ১০ শতাংশের বেশি। তুচ্ছ ঘটনায় আরেকটি খুনের তথ্য পাওয়া যায় গত বছরের ১৬ জুলাই বগুড়ার গাবতলীতে। স্থানীয় যুবসংঘের উদ্যোগে একটি ফুটবল খেলায় মোতালেব ওরফে খোকন আর নাহিদ নামে দুই যুবক একই দলে খেলছিলেন। তাদের দল ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে। খেলা শেষ হওয়ার প্রায় এক মিনিট আগে একটি ফাউলে তারা পেনাল্টি শট পান। এর আগে স্ট্রাইকার হিসেবে দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন নাহিদ। খেলায় সমতা আনার জন্য পেনাল্টি শটটিও নাহিদকে দিয়ে করাতে দলের অধিনায়কসহ সবাই একমত হন। কিন্তু খোকন সেই পেনাল্টি শট নেওয়ার জন্য গোঁয়ার্তুমি করতে থাকেন। নাহিদ পেনাল্টি শটের প্রস্তুতি নিলে খোকন তাকে মাঠের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ও মারধর করতে থাকেন। তখন নাহিদের ফুফাতো ভাই মামুন এর প্রতিবাদ করেন। মামুনের সঙ্গে সৃষ্ট এই বিরোধের জেরে তাকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন খোকন। এরপর স্থানীয় একটি দোকানের সামনে থেকে মামুনকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন খোকন। পরদিন ১৭ জুলাই রাতে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুন মারা যান। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

মুক্তিযুদ্ধের ‘সংগঠন বাণিজ্য’

নাম আছে কিন্তু নিবন্ধন নেই। বেশির ভাগেরই কার্যালয় নেই। বছরের পর বছর চলে ইচ্ছেমতো কমিটি দিয়ে। এ নিয়ে আছে কোন্দল। দলাদলিতে সংগঠন ভেঙে একই নামে হয় আরেক সংগঠন। রয়েছে শাখা সংগঠন। ব্যবহার করা হয় মুক্তিযুদ্ধের লোগো। সংগঠনের নেতাদের অনেকে ব্যবহার করেন ভিজিটিং কার্ড। নেতাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনৈতিক কাজের অভিযোগ।নানা দাবিতে কালেভদ্রে এসব সংগঠনকে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেওয়া ছাড়া দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এমন গুরুত্বহীন ও নামসর্বস্ব অগণিত সংগঠন গড়ে উঠেছে দেশজুড়ে।জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলসহ (জামুকা) বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এমন অবৈধ সংগঠনের সংখ্যা শতাধিকের বেশি। এর মধ্যে কিছু সংগঠন নেতিবাচক নানা কারণে প্রায়ই আলোচনায় আসে।মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামে জামুকার আড়াইশোর বেশি নিবন্ধিত সংগঠনের বেশির ভাগেরই অস্তিত্ব নেই। এ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। এখন মুক্তিযুদ্ধের নামে নিবন্ধনহীন এসব সংগঠন চেতনা বাস্তবায়ন তো করছেই না, উল্টো মুক্তিযুদ্ধের সম্মান হচ্ছে ভূলুণ্ঠিত। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ এসব সংগঠনকে আশকারা ও প্রশ্রয় দেন ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধি। তবে দীর্ঘ দিন ধরে জামুকার নাম ভাঙিয়ে এসব চললেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জামুকা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকি নেই। ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রজন্ম লীগের নামে একাধিক সংগঠন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, শহীদ খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, মুক্তিযুদ্ধ ফ্রন্ট, শহীদ সন্তান ৭১ ফাউন্ডেশন, মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনী সংসদ, ৭১-এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এমন নানা নামে সংগঠনের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে এক নামের আদলে একাধিক সংগঠনও রয়েছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বৈশ্বিক-অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব
অর্জিত হয়নি মুদ্রানীতির লক্ষ্য
মূল্যস্ফীতির হার কমাতে মুদ্রা সরবরাহের রাশ বেশি মাত্রায় টেনে ধরলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের গতি বাধাগ্রস্ত হবে- ড.

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মুদ্রানীতির কোনো খাতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিকে সংকোচনমুখী করতে গিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সংকোচন হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন খাতে চাহিদা কমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেশি মাত্রায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সার্বিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের ওপর। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি মুদ্রানীতি পর্যালোচনা বিষয়ক এক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।এদিকে জানুয়ারিতে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এসব লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে প্রায় ৩ মাস চলে যাচ্ছে। আলোচ্য সময়েও বিভিন্ন সূচকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বছর শেষেও অনেক খাতে মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে।এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, অর্থনীতিকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার জন্য মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রাগুলো নির্ধারণ করা হয়। সব সময় এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় না। তবে এবার বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দেশে ডলার সংকটের কারণে অর্থনীতির সূচকগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে। যে কারণে অর্থনীতিও এক ধরনের চাপে আছে। ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যাবে। সূত্র: যুগান্তর

পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ
ডজনখানেক তদারক সংস্থা, সুফল মেলে না

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইন রয়েছে। বাজার তদারকির দায়িত্বেও আছে এক ডজনের বেশি সংস্থা বা অধিদপ্তর। তবে আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। আবার দুই-তিনটি ছাড়া বাকি সংস্থাগুলোর কোনো তদারকিও চোখে পড়ে না। আর এ সুযোগটি লুফে নিচ্ছে উৎপাদক ও আমদানিকারক থেকে শুরু করে খুচরা দোকানি পর্যন্ত সর্বস্তরের ব্যবসায়ী। যে যার মতো সুযোগ বুঝে অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। দাম বাড়ানোর জন্য একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছে তারা। আর দামের ভারে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এই বিষাক্ত চক্রের কবলে পড়ে অনেক পণ্য এখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।অবশ্য পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখার কাজে নিযুক্ত সংস্থাগুলোর দাবি, তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। কারও কারও মন্তব্য– মজুত, কালোবাজারি, অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে তাঁদের হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নেই।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার পেছনে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অনেক কারণ থাকে। স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। শুধু তদারকি সংস্থা আর আইন থাকলেই হবে না। সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিয়ে অযথা খুচরা বাজারে গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে সুফল আসবে না। এ জন্য বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এসব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তবেই সাধারণ মানুষ সুফল পাবে। সূত্র: সমকাল

রোজার বাজারে দামের ভারে চাহিদার চেয়ে কম পণ্য কিনছেন ক্রেতারা

রমজানের শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা সারতে অন্যান্য বছর যেখানে ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় জমে থাকতো সেখানে মহাখালী ও বনানী কাঁচাবাজারে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতাদের তেমন আনাগোনা দেখা যায়নি। যারাও বা আসছেন তারাও পরিপূর্ণ বাজার করতে পারছেন না। ঢাকার ওই দুটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। আগুন জ্বলছে মাংসের বাজারেও। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবির হিসেবে গত বছরের রমজানের চেয়ে এবারের রমজানে প্রতিটি পণ্যের দাম ১০ থেকে ৫১ শতাংশ বেশি রাখা হচ্ছে।রমজানে ছোলার চাহিদা থাকায় কেজিতে দাম বেড়ে ৮৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুরের ডাল ৯৫ থেকে ১৩৫ টাকা, বিভিন্ন ধরণের বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকায়, শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, লেবুর হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেসনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, সয়াবিন তেল কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২- ১২০ টাকা কেজি দরে।এছাড়া ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।