ভাই-আপা ডাকা দোষের কিছু নয়: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৩

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবক। তাদের স্যার-ম্যাডাম ডাকার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ভদ্রতার খাতিরে অনেকে স্যার-ম্যাডাম ডাকেন। কিন্তু এটি বাধ্যতামূলক কিছু নয়। কেউ যদি আপা-ভাই ডাকেন, তাতে দোষের কিছু নেই। এতে মাইন্ড করারও কিছুই নেই। সরকারি চাকরিজীবীরা জনগণের সেবক—এই চিন্তা থেকেই কাজ করতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে আজ শনিবার (২৫ মার্চ) কথা হয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে। এ বিষয়ে সংবিধানের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হবে।’

সরকারি কর্মকর্তাদেরকে স্যার ডাকা নিয়ে দেশের সর্বমহলে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। এর সূত্রপাত স্যার না বলায় রংপুরের ডিসি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুকের সঙ্গে ক্ষুব্ধ আচরণ করেছেন এমন অভিযোগ থেকে। এর প্রতিবাদে ওই শিক্ষক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও শুরু করেছিলেন। পরে অবশ্য ডিসি চিত্রলেখা নাজনীন দুঃখ প্রকাশ করে ওই ঘটনার ইতি টেনেছেন।

নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, জনগণ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের স্যার ডাকবে কেন? তাদের দাবি, সরকারি চাকরিজীবীরা জনগণের সেবক। জনগণ প্রজাতন্ত্রের মালিক। সরকারি চাকরিজীবীদের স্যার ডাকতে হবে কেন?

এদিকে, ১৯৯০ সালে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একটি আদেশ ওয়েব দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বলা আছে মৌখিক সম্বোধনে পুরুষকে স্যার এবং নারীকে ম্যাডাম বলা যেতে পারে।

এর আগেও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সরকারি সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করতে হবে, এমন কোনো নীতি নেই।

Nagad

সারাদিন. ২৫ মার্চ