আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৩

গেজেটের পরও নির্বাচনের ফল বাতিলের ক্ষমতা
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় নাকচ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরও অনিয়ম প্রমাণিত হলে ভোট বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হলেও তাতে সায় মেলেনি। মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য এ বিষয়ে আপত্তি জানালে বিষয়টি অনুমোদন পায়নি। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)’ সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের কার্ডধারী সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা দিলে শাস্তির বিধানের প্রস্তাবে অনুমোদন মিলেছে। এতে বলা হয়েছে, কেউ এই অপরাধ করলে দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর সংশোধিত আরপিও বিল আকারে জাতীয় সংসদে উঠবে। সংসদে পাস হওয়ার পর এই বিলে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে তা আইনে রূপ লাভ করবে। ইসির হাতে ফল বাতিলের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে গতকাল রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সমকালকে বলেছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। গেজেট প্রকাশের পরও নির্বাচনের ফল বাতিলের ক্ষমতা ইসির হাতে দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে ঐকমত্য হয়নি। এটা নিয়ে তিনি আবারও বসবেন। অন্য আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা সেটা তাঁকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। সেটা দেখে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্র: সমকাল

সংকটেও কোটি টাকার বেশি দামি ফ্ল্যাটের বিক্রি বেশি
রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি ও উত্তরার মতো অভিজাত এলাকাগুলোয় কোটি টাকার বেশি দামের ফ্ল্যাটের বিক্রি কমেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। অন্যদিকে রড, সিমেন্টসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে। এ কারণে ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে গেছে। এতে চলতি বছর রাজধানীতে ৭০-৮০ লাখ টাকা দামের ফ্ল্যাটের চাহিদা কমেছে। তবে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি ও উত্তরার মতো অভিজাত এলাকাগুলোয় কোটি টাকার বেশি দামের ফ্ল্যাটের বিক্রি কমেনি। আবাসন খাতের কয়েকজন ব্যবসায়ী বললেন, দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে থাকলেও অভিজাত এলাকাগুলোয় কয়েক কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাটের বেচাবিক্রিতে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে উচ্চমূল্যের ফ্ল্যাট নির্মাণ করে, এমন আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা এখন ভালো। অভিজাত এলাকার বাইরে এক কোটি টাকার কম দামের ফ্ল্যাটের তেমন ক্রেতা নেই। এ জন্য ছোট ও মাঝারি আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ে মন্দাভাব যাচ্ছে। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রীর উচ্চমূল্য ও নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) ভবন নির্মাণে উচ্চতাসংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে আবাসন খাতের পরিস্থিতিকে জটিল করছে। সূত্র: প্রথম আলো

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ কমছে
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পারিবারিক কর্তৃত্ব খর্ব হচ্ছে। এক পরিবার থেকে তিনজনের বেশি পরিচালক হতে পারবেন না—এমন বিধান রেখে ‘ব্যাংক কম্পানি (সংশোধন) আইন ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনের খসড়া অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে শনাক্ত হলে তাঁর ওপর গাড়ি-বাড়ি, জমি রেজিস্ট্রেশন ও বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ ছাড়া যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মগুলো অধিদপ্তর থেকে কম্পানির নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে পারবে না। ঋণখেলাপিদের বিদেশ যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। বর্তমানে একই পরিবারের সর্বোচ্চ চারজন থাকার বিধান রয়েছে। সংশোধিত আইনে এই সংখ্যা একজন কমিয়ে আনা হয়েছে।খসড়া আইনে বলা হয়েছে— ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বা আত্মীয় যে-ই হোক না কেন তাকে অবশ্যই জামানত বা বন্ড দিয়ে ঋণ গ্রহণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় করা যাবে না। আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী কার্যকর হলে পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের কর্তৃত্ব হ্রাস পাবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ খেলাপি হলে তিনি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। ঋণের অর্থ পরিশোধ করলেও পরবর্তী পাঁচ বছর তিনি আর পরিচালক হতে পারবেন না। সূত্র; কালের কণ্ঠ

গন্তব্যহীন উন্নয়নের ধকল
ট্রেনযাত্রীরা দুর্নীতির কাছে বড় অসহায়
প্রকল্প গ্রহণ থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্পদের পরিমাণ-উৎস খোঁজা উচিত। রেলে উন্নয়ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয় হচ্ছে, যেখানে দুর্নীতি থাকার শঙ্কা সবচেয়ে বেশি-ইফতেখারুজ্জামান-টিআইবি * রেলে দুর্ঘটনা, যাত্রী হয়রানি থেকে শুরু করে অব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয় না-অধ্যাপক ড. শামসুল হক * আমরা দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দিচ্ছি না, আরও কঠোর হচ্ছি-রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন- বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য প্রকল্পের যেন শেষ নেই। শুধু চলমান ৩৯টি প্রকল্পেই বরাদ্দের পরিমাণ পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা। বলা যায় রীতিমতো উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে রেল। কিন্তু যাত্রীসেবা সেই তিমিরেই। ফলে আড়ালে পাল্লা দিয়ে মোটা-তাজা হচ্ছে দুর্নীতির ‘কালো বিড়াল’।অভিযোগ রয়েছে-জড়িতদের চিহ্নিত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কখনও নেওয়া হয় না। নেই কোনো জবাবদিহিতা। এসব কারণে রেলের শত অনিয়ম-দুর্নীতির কাছে সাধারণ যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এ যেন অসহায় আত্মসমর্পণ। সূত্র: যুগান্তর

তৃণমূল আওয়ামী লীগে গৃহদাহ
♦ এমপিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে নানা অভিযোগ আনছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ♦ আধিপত্য বিস্তারে এমপি-বনাম জেলা-উপজেলার শীর্ষ নেতাদের সমর্থকরা জড়াচ্ছেন সংঘর্ষে ♦ নির্বাচন সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও বাড়তে পারে ♦ এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের চলছে পাল্টাপাল্টি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নয় মাস বাকি থাকলেও ঘরের আগুনে পুড়ছে শাসক দল আওয়ামী লীগ। পদ আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সৃষ্ট দলীয় অন্তঃকোন্দলে রক্তপাত যেন থামছেই না। আধিপত্য বিস্তারের লড়াই, অন্তর্দলীয় কোন্দল আর ক্ষমতার লড়াইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শত্রু এখন আওয়ামী লীগই। সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন সংগঠনের ওপরও যেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে তৃণমূলে সংগঠিত এ দলটি। মপিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ সময়ে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে উপজেলা-জেলা নেতা এবং তাদের সমর্থকরা জড়াচ্ছেন সংঘর্ষে। এর জেরে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডও ঐক্যবদ্ধভাবে পালিত হচ্ছে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে তৃণমূলে গৃহদাহ আরও বাড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষমতাসীন দলকে চরম মাশুল দিতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখনই দলীয় নেতা-কর্মীদের লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগে প্রতিযোগিতা থাকলেও কোন্দল যাতে বড় আকার ধারণ না করে সেজন্য তারা সজাগ আছেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘পৃথিবীর যে প্রান্তে তিনজন বাঙালি আছেন সেখানেই একাধিক গ্রুপের অস্তিত্ব আছে। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থেকে কোন্দলের সূচনা হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বাস্তবায়নই চ্যালেঞ্জ

ঈদকে ঘিরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ব্যবস্থাপনায় এবার আমূল পরিবর্তন এনেছে রেলওয়ে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে শুধু অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। এতে যার নামে টিকিট কাটা হবে তাকেই ট্রেনে যাত্রা করতে হবে। তবে কাউন্টার থেকে আন্তনগর ট্রেনের নন-এসি আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে। শেষ সময়ে বাড়ি ফিরতে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি থাকবে। ফলে সিটের বাইরেও অনেক যাত্রী ঢুকে যাবেন ট্রেনে। এ কারণে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় বড় রেলস্টেশন ছাড়া বেশির ভাগ ষ্টেশনেই নিরাপত্তাবেষ্টনী নেই। ফলে যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকে ট্রেনে চড়তে কোথাও আটকান না। অনেক যাত্রী বিভিন্ন ফাঁকফোকর দিয়ে টিকিটবিহীন অবস্থায় ট্রেনে চড়ে বসেন। এ ছাড়া এখনো অবকাঠামোগত দুর্বলতা আছে রেলের। বিগত সময়ের ঈদযাত্রায় দেখা গেছে, কমলাপুর স্টেশন থেকেই ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠছেন। এবার সেই চিরচেনা চিত্র বদলাবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

১২ গুণ চাপের শহর ঢাকা
ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে এখন পর্যন্ত যেসব পরিকল্পনা বা মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। কিন্তু জনঘনত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, এক-তৃতীয়াংশ নগর সুবিধায় ঢাকায় চার গুণের বেশি মানুষের বসবাস। অবকাঠামো বিবেচনায় প্রায় ১২ গুণ বেশি চাপ বহন করছে দেশের রাজধানী শহর। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ঢাকার ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)’ ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, একটি পরিকল্পিত শহরের ৬০ ভাগ জায়গায় সড়ক, জলাশয় ও উন্মুক্ত স্থান রাখা হয়। আর ৪০ ভাগ জায়গায় আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ নগরবাসীর প্রয়োজনের আলোকে অবকাঠামো গড়ে ওঠে। ৪০০ বছরের পুরনো শহর ঢাকায় সড়ক, জলাশয় ও উন্মুক্ত স্থান রয়েছে প্রায় ২৪ ভাগ। আর অবকাঠামো তৈরি হয়েছে ৭৬ ভাগ জায়গায়। একটি পরিকল্পিত শহরে প্রতি একরে সর্বোচ্চ ১০০-১২০ জন বসবাস করে। ঢাকায় বর্তমানে একর প্রতি বসবাস করছে ৪০০-৫০০ জন।দুই সিটিতে বিভক্ত ঢাকা মহানগরের আয়তন ৩০৫ দশমিক ৪৭ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের জনশুমারির প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী শহরে জনসংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮২। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হয়। সূত্র: দেশ রুপান্তর

মামলা ছাড়া র‌্যাব কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে কি না, জানতে চাইলেন হাইকোর্ট

কারো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের কাছে মামলা দায়ের ছাড়া র‌্যাব কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে কিনা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কাউকে গ্রেপ্তারের এখতিয়ার র‌্যাবের আছে কিনা – তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামে এক নারীর মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। র‌্যাবের হাতে আটকের পর থেকে সুলতানা জেসমিনকে সম্মানজনক জায়গায় (থানা অথবা কার্যালয়ে) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কিনা এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত র‌্যাবের আচরণ আইনানুগ হয়েছে কিনা, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। দালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সূত্র: বিজনেসস স্ট্যান্ডার্ড।

ভারত মহাসাগর নিয়ে সাব কমিশনের প্রত্যাশা বাংলাদেশের

বাংলাদেশের সভাপতিত্বে আইওসি রিজিওনাল কমিটি ফর দ্য সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশানের নবম আন্তঃসরকার অধিবেশন ঢাকায় শুরু হয়েছে গতকাল। অধিবেশনের আলোচনার মাধ্যমে ভারত মহাসাগর নিয়ে সাব কমিশনের প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি গতকাল এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনদিনের সেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং অধিবেশনের প্রথম দিনে আয়োজক দেশের পক্ষে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাব কমিশনের প্রত্যাশার বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘রিজিওনাল কমিটি ফর ইন্ডিয়ান ওশান, যেটা ১৯৮২ সাল থেকে চলে আসছে। এটার আজকে নবম সভা ঢাকায় হচ্ছে। সভাপতি হিসেবে আমাদের সভা করতে হয়। সেটারই বাধ্যবাধকতা হিসেবে আমাদের এ কমিটিতে যে ১৮টি দেশ আছে তাদের আমরা দাওয়াত দিয়েছি। আমরা এখানে মূলত আলাপ করব একটা পরিচ্ছন্ন সাগর (ক্লিন ওশান), স্বাস্থ্যসম্মত সাগর (হেলদি ওশান), দূষণমুক্ত সাগর (পলিউশন ফ্রি ওশান), নিরাপদ সাগর (সেফ ওশান)—কীভাবে বাউন্ডারি না দিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে এগুলো ঠিকভাবে করা যায়—এসব বিষয়ে।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

আদালতে অপহরণের মামলার পর শিশুর লাশ মিললো ডোবায়

এক সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা থেকে নিখোঁজ ১০ বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই। বুধবার ভোরে পাহাড়তলী থানার সাগরিকা বাই লেইন মুরগি ফার্ম আলমতারা পুকুর পাড় এলাকার ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।শুটির খোঁজে থানায় ধর্না দিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে মঙ্গলবার আদালতে অপহরণের মামলা করেছিলেন তার মা। তিনি যাকে সন্দেহ করছিলেন, সেই প্রতিবেশী সবজি বিক্রেতা মো. রুবেলকে (৩৫) আটক করার পরই পিবিআই শিশুটির লাশের খবর জানতে পারে।পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রুবেলকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করার পর তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ভোর ৫টার দিকে ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সূত্র: বিডি নিউজ