খুলনায় বিএনপির ৮৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

খুলনা সংবাদদাতাখুলনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৮০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার রাতে খুলনা সদর থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজিত কুমার দাস বাদী হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা জেলা শাখার সভাপতি আমির এজাজ খান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ৫৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় আরও ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

রোববার (০২ এপ্রিল) সকালে খুলনা সদর থানায় এসআই অজিত কুমার দাস গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে নাম উল্লেখ ৫৯ জন আসামি হলেন- মো. ইসতিয়াক আহম্মেদ ইস্তি, মো. তাজিম বিশ্বাস, মো. রাজু শেখ, আব্দুল হাই রুমি, ইশারাত ইসলাম, শেখ কামাল উদ্দিন, মো. জালাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন জসিম, মিজানুর রহমান, আজিজুল বারী হেলাল, আমির এজাজ খান, শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পি, তরিকুল ইসলাম জহির, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, মো. মাসুদ পারভেজ বাব, হেলাল আহম্মেদ সুমন, একরামুল হক হেলাল, মো. নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ইবাদুল হক রুবায়েত, মো. মতিউর রহমান বুলেট, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, কিমিয়া সাদাত, শেখ সাদী, হেলাল হোসেন গাজী, বেলাল হোসেন গাজী, মো. ফরিদ মোল্যা, নাইম, গাউসুল গাউস, মো. রবি, মো. জামাল, খান জুলফিক্কার আলী জুলু, মো. নাছিম, আমিন, আসাদ মৃধা, টুকু, কবির ফরাজী, সেলিম হোসেন মন্টু, গাজী আফসার, শহীদ খান, বাদশা ইসলাম, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, শেখ খায়রুল ইসলাম হিরু, শেখ জামাল উদ্দিন, নুর আলম নুরু, রিয়াজুল কবির, সোহেল, সৈয়দ মো. জুয়েল জুলু, রফিকুল ইসলাম শান্ত, মিজানুর রহমান বাবু, মো. দেলোয়ার হোসেন খান, শেখ মির্জা মাহামুদ, কাজী মো. মিজানুর রহমান, মো. আলামিন শেখ, মফিজুল সরদার (২), মাফিজুল ও শেখ মো. আব্দুল্লাহেল কাফি শখা, হুমায়ুন কবির পলাশ ও মো. সাহিদুল ইসলাম।

এসআই অজিত কুমার দাস জানান, শনিবার বিকেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই মামলায় আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান মিলটন গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করতে বেলা ১১টা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ উপস্থিত হতে থাকে। দুপুর ২টার দিকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করলে পুলিশ হঠাৎ করে লাঠিপেটা, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।”

Nagad

খুলনা মহানগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপির কর্মসূচিতে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য সেখানে পুলিশ অবস্থান করছিল। বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ তখন টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়।”

সারাদিন/০২ এপ্রিল/এমবি