আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৩

সঞ্চয়পত্র, শেয়ারবাজারসহ যে ৯ খাতে বিনিয়োগ করে কর কমাতে পারেন

চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর মাত্র তিন মাস বাকি আছে। আপনি যদি আয় করেন এবং আপনার এই আয় যদি করযোগ্য হয়, তাহলে চলতি বাজেটে দেওয়া সুবিধার সুযোগ নিয়ে আপনি কর কমানোর ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিদ্যমান নিয়মকানুনে আপনি যদি করের পরিমাণ কমাতে চান, তাহলে এখনই পরিকল্পনা করুন।আপনি হয়তো জানেন, আপনার আয়ের একটি অংশ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করলে কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে চলতি অর্থবছরের বাকি থাকা তিন মাসের মধ্যে, অর্থাৎ জুন মাসের মধ্যেই বিনিয়োগ করতে হবে।কারণ, প্রতিবছর জুলাই থেকে পরের বছরের জুন মাস—১২ মাসের আয়ের ওপর কর বসে। এই সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ করে কর রেয়াত নিতে হয়। প্রতিবছর বার্ষিক আয়–ব্যয়ের বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় বিনিয়োগের তথ্য দিয়ে কর কমাতে হয়।আগামী জুলাইয়ে শুরু হবে নতুন অর্থবছর। বিভিন্ন করের প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী সেই বছরের জন্য একটি নতুন বাজেট পেশ করবেন। করের বিভিন্ন নিয়মকানুন তখন হয়তো বদলে যেতে পারে।তবে এর আগেই দেখে নিন কোথায় বিনিয়োগ করলে বছর শেষে কর কমানো যেতে পারে।বিনিয়োগের খাত-কর কমানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় খাত হলো সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ। সঞ্চয়পত্রে নির্দিষ্ট হারে বিনিয়োগ করলে আপনার আয়কর কমে যাবে। কর রেয়াত পেতে আপনি আপনার বার্ষিক আয়ের ২০ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। তাহলে আপনার যত কর হবে, এর ১৫ শতাংশ মওকুফ হবে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে টাকা খাঁটিয়েও কর রেয়াত পাওয়া যাবে। শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কিনলেও তা বিনিয়োগ হিসেবে ধরবেন কর কর্মকর্তারা। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেও একই সুবিধা মিলবে। সূত্র: প্রথম আলো

সুদহারের সীমা উঠে যাচ্ছে জুলাই থেকে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা

আগামী জুলাই মাস থেকে উঠে যাচ্ছে ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা। এখন সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের যে সীমা নির্ধারিত আছে, তা আর থাকছে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে এই সুদহার বাজারভিত্তিক করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ঋণের সুদহার দুই অঙ্কে (ডাবল ডিজিট) গড়াবে। এতে ব্যবসার প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকঋণের সুদহার নির্ধারণ হবে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে। ট্রেজারি বিলের সুদহারের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ পর্যন্ত যোগ করা যাবে। এখন ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার ৬.৯৯। ফলে এখনকার হিসাবে ঋণের সুদ হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। তবে ব্যাংকঋণের সুদের সর্বোচ্চ হার কত হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক তা প্রতি মাসে নির্ধারণ করে ঘোষণা করবে। এ হার ঠিক করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নির্ধারিত সূত্র অনুসরণ করবে। নতুন এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে জুলাই মাস থেকে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘শর্টটার্ম মান্থলি অ্যাভারেজ রেট’ বা স্মার্ট।গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তবে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি ভোক্তা ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার কত হবে, তা-ও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

ইভির শীর্ষ হাব হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা
টেসলার বিনিয়োগ আকর্ষণে মরিয়া ইন্দোনেশিয়া

পরিবেশের কথা বিবেচনায় নিয়ে বাড়ছে বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনে (ইভি) বিনিয়োগ। সম্প্রসারণ হচ্ছে ইভির বাজার। এ শিল্পসংশ্লিষ্ট বিনিয়োগ ঘিরে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশ। নিজ ভূখণ্ডে বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রতিযোগিতায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে সরকারগুলো। এশিয়ায় ইভির পাওয়ার হাউজে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।

Nagad

দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভি ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত নিকেলের বৃহত্তম মজুদ রয়েছে দেশটিতে। তাই ইভি তৈরির শীর্ষ প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্কের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী ইন্দোনেশিয়ার নীতিনির্ধারকরা। ইভি উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র হওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ইন্দোনেশিয়াকে অতীতের পরিবেশগত ভুলের পুনরাবৃত্তি এড়াতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েক দশক ধরে অনিয়ন্ত্রিত খনন কার্যক্রমের ফলে দেশটির প্রধান ধাতু উত্তোলনকারী দ্বীপগুলো অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।যদিও তিন বছরে জাকার্তা ব্যাটারি ও ইভি উৎপাদন বাবদ প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে। তবে আরো বেশি বিনিয়োগ আনার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। গত সপ্তাহে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের সোরোওয়াকোর নিকেল খনি পরিদর্শন করেছেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবে টেসলার নির্বাহী মাস্ককে এ খাতে বিনিয়োগের জন্য রাজি করার চেষ্টা করেছেন বলে ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ন্যাশনাল নিউজ। সূত্র: বণিক বার্তা।

রপ্তানি, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে স্বস্তি
তবে মার্চে রপ্তানি ২.৪১ শতাংশ কমে ৪.৭৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অবশ্য এবারও এই ঘাটতি পূরণে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির নির্ভরযোগ্য পুরনো ত্রাতা পোশাক খাত।

অস্থিতিশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান দুটি উৎস প্রবৃদ্ধি দেখেছে। এই প্রবৃদ্ধি এমন সময় এল যখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে এবং টাকা দরপতনের চাপে রয়েছে। রোববার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়কালে দেশের পণ্য রপ্তানি ৮.০৭ শতাংশ বেড়ে ৪১.৭২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও, একই দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এ নয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬.০৩ বিলিয়ন ডলার।বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রবৃদ্ধি মুদ্রাকে স্থিতিশীল এবং আগামী মাসগুলোতে ব্যালান্স অভ পেমেন্টের অবস্থা ভালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বেহাল সড়কে জনদুর্ভোগ
সময়মতো কাজের দরপত্র আহ্বান না করা, দরপত্রে জিনিসের দাম এক, আর বাজারে আরেক, সময়মতো বরাদ্দ না আসা ও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে পড়ে আছে সিলেটের বিয়ানীবাজারের বেশির ভাগ গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নকাজ। আর এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, রোগী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন বেশি।বিয়ানীবাজার এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কাঁচাপাকা মিলে সর্বমোট রাস্তার পরিমাণ ৬২৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২১০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে পাকা। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারকাজ না হওয়ায় পাকা রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরে গেছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এসব গর্ত ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ছাড়া উপজেলার বেশির ভাগ কাঁচা রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।এদিকে উপজেলার ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার রাস্তার পাকাকরণ কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি মেরামতের জন্য রয়েছে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা। এ ছাড়া কাঁচাপাকা মিলে রয়েছে আরও ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার রাস্তার কাজ। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

চোখ ২০০ আসনে লক্ষ্য ১৬০

আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার চাপ রয়েছে। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছে। অন্যদিকে বিদেশিরা জোর দিচ্ছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। আগের দুবারের মতো এবার যে আর নির্বাচন করা যাবে না সেই বার্তাও ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ ওই দুবারের ফলাফল বাদ দিয়ে আগের নির্বাচনগুলোর ফল বিশ্লেষণ করেছে। চালিয়েছে দুটি জরিপ। এ জরিপ ও বিশ্লেষণ ধরে ২০০ আসনে নজর দিয়েছে দলটি। এর মধ্যে তাদের লক্ষ্য অন্তত ১৬০ আসন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের চার নেতার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। নবম সংসদ নির্বাচন ২০০৮ সালে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বড় বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ। এরপর দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফলাফল কোনো মানদ-েই ফেলছে না দলটি। দুটি নির্বাচনের ফল আমলে আনছে না ক্ষমতাসীনরা।
দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের চার নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মাঠপর্যায়ে দুটি জরিপ হয়েছে। এ ছাড়া আগের নির্বাচনগুলোর ফল বিশ্লেষণ করে ভোটের চিত্র দেখা হয়েছে। দশম (২০১৪) ও একাদশ (২০১৮) নির্বাচনের যে ফলাফল তা বিবেচনায় না এনে আমলে নেওয়া হচ্ছে ১৯৯১, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের ফলের ওপর। কারণ ওই দুটি নির্বাচনের ফলাফল ছিল অস্বাভাবিক। তা আমলে নিলে বিচার-বিশ্লেষণ নির্মোহ হবে না বলে দাবি করেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ওই নেতারা। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ঈদের পর নব্বইয়ের আদলে যৌথ রূপরেখা ঘোষণা
চলমান আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে ’৯০-এর আন্দোলনের ন্যায় যৌথ রূপরেখা ঘোষণা করবে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এর মধ্য দিয়ে দেশবাসীর কাছে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির ১০ দফা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা এবং সমমনা রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি যৌথ রূপরেখা ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই করে তা চূড়ান্ত করা হবে। এ নিয়ে গতকাল রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠকও করেছে।
জানতে চাইলে লিয়াজোঁ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ’৯০ সালে তিন জোটের রূপরেখার ভিত্তিতে ছাত্র-যুবক-শ্রমিক দেশের সবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হয়। এবারও একইভাবে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি যৌথ রূপরেখা ঘোষণা করা হবে। এরশাদের মতো শেখ হাসিনা সরকারকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বিএনপির ১০ দফা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফার মধ্যে তেমন কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই। এ অবস্থায় ১০ ও ১৪ দফার ভিত্তিতে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ একটি খসড়া প্রস্তুতও করেছে। আশা করি, রমজানের পর বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জাতির সামনে তুলে ধরা যাবে। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়।

নতুন পদ্ধতিতে যাচ্ছে ঋণের সুদহার

আগামী জুলাই থেকে ব্যাংক ঋণে ৯ শতাংশ সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাচ্ছে। সুদহার কতটুকু পর্যন্ত নির্ধারণ করা যাবে, তার নতুন পদ্ধতি চালু হবে। ছয় মাস মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বিলের পূর্ববর্তী ছয় মাসের গড় সুদহারের সঙ্গে দেওয়া হবে ৩ শতাংশ ‘করিডোর’। এতে করে বর্তমানের তুলনায় সুদহার বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) নিয়ে ব্যাংকার্স সভায় এ তথ্য তুলে ধরে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যাংকারদের জানানো হয়, ট্রেজারি বিলের সুদহার বাড়লে বা কমলে তখন করিডোরেও পরিবর্তন আসবে। এভাবে প্রতি মাসে ট্রেজারি বিলের গড় সুদহার এবং করিডোর ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো তার ভিত্তিতে গ্রাহকদের জন্য সুদহার ঘোষণা করবে। সূত্র: সমকাল

কেন বছরের পর বছর ঝুলে আছে খেলাপি ঋণের হাজারো মামলা

ঋণ যেন খেলাপি বা অনাদায়ী না হয়ে যায় – সে জন্য সতর্ক নজরদারি বজায় রাখতে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক । রবিবার বাংলাদেশে ব্যাংকের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের যে সভা হয়েছে, তাতে এই পরামর্শ দেয়া হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থ ঋণ আদালতগুলোয় বর্তমানে প্রায় পৌনে এক লাখ খেলাপি ঋণের মামলা ঝুলে রয়েছে, যাতে এক লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা আটকে রয়েছে।এর মধ্যে অনেক মামলা বছরের পর বছর ধরে চলছে। ফলে একদিকে যেমন ঋণ আদায়ে কোন অগ্রগতি হচ্ছে না, তেমনি খেলাপির সংখ্যা আরও বড় হচ্ছে।কিন্তু এই পরিস্থিতি কেন তৈরি হয়েছে? এ থেকে সমাধানের পথ কী?আলোচনায় অর্থ ঋণের মামলা-রবিবারের এ সভায় বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে খেলাপি ঋণের বিষয়টিও আলোচনায় ওঠে।মামলার দীর্ঘসূত্রিতায় ব্যাংকগুলোর অর্থ আটকে রয়েছে, সেজন্য এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন কয়েকজন কর্মকর্তা।ওই বৈঠকে অংশ নেয়া একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘’ এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে খুব বেশি কিছু আলোচনা হয়নি। খেলাপি ঋণের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার জন্য আর নজরদারি আরও বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ দিয়েছে।‘-সূত্র: বিবিসি বাংলা।