‘শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যালটেও সম্ভব নয়, ইভিএমেও সম্ভব নয়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন করা ব্যালটেও যেমন সম্ভব নয়, ইভিএমেও সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ইভিএম বা ব্যালট নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ নয়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা। শতভাগ সুষ্ঠু ভোট ব্যালট বা ইভিএমে সম্ভব না। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ। কমিশনের শেষ পর্যন্ত প্রয়াস থাকবে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কারণ, সব দল অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সমঝোতা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা আমি বলতে চাচ্ছি না। এক কথায় বলেছি, সবগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে গণতান্ত্রিক চেতনা থেকে সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম থেকে আমরা সরে এসেছি সেদিন। এটা নিয়ে বাজারে একটা আছে যে, এটা কি চাপে করা হলো, না ওইটা করা হলো। এটা নিয়ে কিন্তু আমরা কমিশন দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। প্রথমে আমাদের কোনো একটা দলের প্রত্যাশা ছিল ৩০০ আসনেই ইভিএম। সবকিছু শুনেটুনে ১৫০টা করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

‘ইভিএমে ১২০০ নির্বাচন হয়েছে। সেখানে একটাও অভিযোগ পড়েনি যে আমরা নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। ম্যালফাংশনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ভূত আছে বা ইয়ে আছে কি বলে, দশটা ভোট দিলে তিনটা ভোট থাকে, সতটা ভোট থাকে না। কাজেই আমরা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছি। এটা একেবারেই সত্য নয়। আমরা পুরোপুরি বিশ্বাস করি কিন্তু আমাদের বিশ্বাস দিয়ে তো হবে না, যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়। ’ যোগ করেন সিইসি।

Nagad

তিনি বলেন, তবে অর্থ পেলে আমরা ইভিএমে করতাম। নয় হাজার কোটি টাকা চেয়েছিলাম, সেটা যদি পেতাম তা দিয়ে করতে পারতাম। সেটাতে সরকার একমত হয়নি। এরপর মেরামতের জন্য ১২০০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম, সেটাতেও বিভিন্ন কারণে একমত হতে পারেনি সরকার। তখন দেখলাম যে আমাদের হাতে থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার এরকম ইভিএম। তখন আমরা দ্বিধাবিভক্ত হলাম। দু’জন কমিশনার জোরোশোরেই বললেন, এই দিয়ে ২৫, ৩০টাই আমরা করে ফেলি। আমরা দেখলাম লাইফটাইম শেষের দিকে, যদি ম্যালফাংশন করে, তাই আমরা ইভিএম থেকে সরে এলাম। দীর্ঘসময় আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা সম্পূর্ণরুপে আমাদের সিদ্ধান্ত। কারও চাপে করা হয়নি।

সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে হয়েছে। দু’জন বলেছে ২০ থেকে ৩০টি হোক। আমরা তিনজন আবার বললাম না, করছি না। যার ফলে এই সিদ্ধান্ত এলো।

এসময় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।