আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
সিটি নির্বাচন
বিএনপি ভোটে যাবে না, চিন্তা ‘উকিল মডেল’ নিয়ে
বিএনপির নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অবস্থানেই অটল। দোদুল্যমানতা দলের মাঠপর্যায়ে।
আগামী মে ও জুন মাসে দেশের পাঁচটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সিটি করপোরেশনে যে নির্বাচন হবে, তাতে অংশ নেবে না বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, তাঁরা এই সরকারের অধীন আর কোনো নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত থেকে স্থানীয় সরকার এবং সংসদের উপনির্বাচনগুলো বর্জন করে আসছেন। এখন জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে পাঁচ সিটির নির্বাচনে গেলে দলীয় অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের উকিল আবদুস সাত্তারের মতো দলছুট কেউ প্রার্থী হয়ে বসেন কি না, সেই শঙ্কাও আছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে।নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হবে। এরপর ১২ জুন হবে খুলনা ও বরিশালে। ২১ জুন হবে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, তাঁরা এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দাবিতে অনেকগুলো দল ও জোট নিয়ে আন্দোলন করছেন।এত দিন নির্বাচন বর্জন করে এসে এখন হঠাৎ করে জাতীয় নির্বাচনের ছয় মাস আগে পাঁচ সিটির নির্বাচনে অংশ নিলে আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বার্তা যাবে যে বিএনপি শেষ পর্যন্ত এই সরকারের অধীন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেবে। তাই দলের নীতিনির্ধারকেরা এখনো সিটি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তেই রয়েছেন। সূত্র: প্রথম আলো
তত্ত্বাবধায়কের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের একই মত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি ও তাদের দোসররা দেশে-বিদেশে এই ষড়যন্ত্র করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। জাতীয় সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে গতকাল শনিবার এ ধরনের কথা বলেন তাঁরা। প্রথমে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। তাঁর আগে অনেক নেতা ছিলেন, তাঁরা কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। বাংলাদেশের মানুষের পুরাপুরি মুক্তি চাননি। তাঁরা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছেন আর বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা, যিনি জীবন দিয়ে স্বাধীনতা দিয়ে গেলেন। ইমাজ উদ্দিন বলেন, ‘এত কিছু কাজ করার পরও যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে ক্যানভাস করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ
ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধের প্রস্তাব কি বিটিএমএর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে পোশাক খাতের কারখানাগুলোর কটন (তুলট) সুতা আমদানিতে এলসি খোলার সুযোগ রহিত করে নীতিমালা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
দেশে সুতা আমদানির প্রধানতম উৎস ভারত। বিটিএমএ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, দেশে আমদানীকৃত তুলট সুতার তিন-চতুর্থাংশই আসে ভারত থেকে। চীন-পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে কিছু পরিমাণে আমদানি হলেও তা একেবারেই সামান্য। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে কয়েকজন সুতা আমদানিকারক অনানুষ্ঠানিক মন্তব্যে বণিক বার্তাকে বলেছেন, বিটিএমএর চিঠিতে সরাসরি দেশটির নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু এ সুতার প্রায় ৭৫ শতাংশ যেহেতু ভারত থেকে আসছে, সেহেতু তারা প্রকারান্তরে সেখান থেকেই আমদানি বন্ধের দাবি তুলেছেন। দেশে সুতা উৎপাদন সক্ষমতা ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছেন টেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তারা। সামনের দিনগুলোয়ও বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে এ ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে তারা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন। দেশের পোশাক কারখানায় আমদানীকৃত সুতা ব্যবহারের বিষয়টিকে এ বিনিয়োগ লাভজনক করে তোলার পথে বড় অন্তরায় হিসেবে দেখছেন তারা। সূত্র: বণিক বার্তা।
হেসেখেলে হাওয়া ৩২২ কোটি
ঢাকায় সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। সেখানে সাবওয়ের বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। এরপরও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) ৩২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সাবওয়ের সমীক্ষা করেছে। যদিও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় ৬ থেকে ৭ লাখ কোটি টাকা খরচ করে ২৫৮ কিলোমিটার সাবওয়ে নির্মাণ সম্ভব নয়। এই বাস্তবতায় সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্চা গেছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, সমীক্ষার কাজটি ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করেই করা যেত।বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) এবং এর আগে যেসব পরিকল্পনা হয়েছে কোথাও ঢাকার যানজট সমস্যার সমাধান এবং সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে সাবওয়ের কথা বলা হয়নি। এই অবস্থায় সাবওয়ের সমীক্ষা করে শত শত কোটি টাকা খরচ করা সরকারি অর্থের অপচয় বৈ অন্য কিছু না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্পেন ও জাপানের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিবিএ ঢাকায় সাবওয়ে সমীক্ষার কাজ দেয়। প্রথমে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় ২১৯ কোটি টাকায়। পরে তা সংশোধন করে ৩২২ কোটি টাকা করা হয়। সেতু বিভাগ জানিয়েছে, এখান থেকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে ৩১৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা অন্যান্য খাতে খরচ করা হয়েছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
কার্বন ক্রেডিট থেকে ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় বাংলাদেশের, যা হিমশৈলের চূড়া মাত্র
২০০৬ সালে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) তাদের প্রথম ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম প্রকল্পটি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে নিবন্ধিত করার সময় প্রথমবারের মতো কার্বন ক্রেডিট থেকে আয় করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে ইডকল এ পর্যন্ত ২.৫৩ মিলিয়ন কার্বন ক্রেডিট বিক্রি করে ১৬.২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, বর্তমান বিনিময় হারে যা ১৭০ কোটি টাকার সমান। কার্বন ক্রেডিটকে একধরনের অনুমতিপত্র বলা যায়—এর মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড বা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করতে পারে।এই কার্বন ক্রেডিট আয়ের বেশিরভাগই এসেছে উন্নত রান্নার চুলা (আইসিএস) থেকে। বাকি আয় এসেছে সোলার হোম সিস্টেম থেকে। পাঁচটি ইট প্রস্তুতকারক কয়লার ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে এবং পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তুতকারকরা প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করেছে। হাইব্রিড হফম্যান ভাটা (এইচএইচকে) প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুবাদে ২০১৮-র জানুয়ারি থেকে ২০২০-এর মার্চ পর্যন্ত এই ইট প্রস্তুতকারকরা ৬৫ হাজার ৬০৩ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে পারে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
খাল পানিশূন্য, সেচের খরচ বেড়েছে কৃষকের
ঝিনাইদহে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প। এখান থেকে পানি না পেয়ে আওতাধীন কৃষিজমির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চাষিরা ডিজেলচালিত সেচপাম্প বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করলেও তাতে বেড়েছে উৎপাদন খরচ।ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬২ সাল থেকে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ১৩টি উপজেলার প্রায় ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা দিয়ে আসছে দেশের বৃহত্তম জিকে সেচ প্রকল্প। এর আওতায় ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু, সদর ও শৈলকুপা উপজেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ৩৩ হাজার ৮৯৯ হেক্টর। গত বছর সেচ লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার হেক্টর হলেও এবার তার পরিমাণ শূন্য। কৃষকরা জানান, এ বছর সেচ প্রকল্পের পানি না পেয়ে ফসল উৎপাদনে বৃষ্টি আর ডিজেলচালিত সেচপাম্পের পানি ব্যবহার করছেন তারা। এ কারণে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
ভোট প্রস্তুতি আওয়ামী লীগে
♦ পাঁচ মাসে দলে ২ কোটি সদস্য সংগ্রহ লক্ষ্য ♦ প্রথমবার ভোটার ও নারীদের অগ্রাধিকার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আট মাস বাকি থাকলেও ভোট প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগে। নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি, সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম বাড়ানো, উঠান বৈঠক, উন্নয়ন প্রচার, কর্মিসভা, বর্ধিত সভাসহ নানা কার্যক্রম শুরু করেছে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটি। রমজানে ইফতার পার্টি না করলেও ইফতারসামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছাকাছি যাচ্ছেন দলীয় নেতারা। একই সঙ্গে সামনে নৌকা নিয়ে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের এখনই বার্তা দেওয়া হচ্ছে। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের এমপি ও আগামীতে মনোনয়নপ্রাপ্তদের এ নির্দেশনা দিচ্ছেন। বর্তমানে সংসদে থাকা এমপি, যারা এরই মধ্যে দলীয় প্রধানের বার্তা পেয়েছেন তারা পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। আবার যারা কালো তালিকাভুক্ত আছেন, তারাও চেষ্টা করছেন মনোনয়নে টিকে থাকতে। আর নতুন করে যাদের ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হচ্ছে তারাও তৃণমূলে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নেতারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। দলের একাধিক সূত্র জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক গতি বাড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামী পাঁচ মাসে দলে ২ কোটি নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করবেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা। মে মাস থেকে এ কার্যক্রম জোরদার করা হবে। পাশাপাশি তৃণমূলে সম্মেলনও চলবে। দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে দলে নতুন সদস্য করা অন্যতম। প্রথমবার যারা ভোটার হয়েছেন এবং নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে এ কার্যক্রমে। বিগত দিনে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে কড়াকড়ি থাকলেও এবার কিছুটা নমনীয় থাকবে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটি। কারণ হিসেবে দলটির নেতারা বলছেন, আগে শুধু আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়া হতো। কিন্তু সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে আওয়ামী লীগ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অনুগত এমন যে-কেউই দলের সদস্য হতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সদস্য সংগ্রহ তার অন্যতম। আমরা দেখব, যারা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে চান তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অনুগত কি না। যদি তারা অনুগত হন তাহলে সদস্য করব। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
দ্রুত বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে মুহূর্তেই দেওয়া যাচ্ছে কেনাকাটার বিল। যে কারও অ্যাকাউন্টে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠানো যাচ্ছে টাকা। কেবল নিজ ব্যাংকের নয়, অন্য ব্যাংক এমনকি এমএফএসের গ্রাহককেও দ্রুত পরিশোধ করা যাচ্ছে। একসময় এ নিয়ে মানুষের মাঝে অনীহা থাকলেও সহজ, দ্রুত এবং খরচ কম হওয়ায় অনেকেই এখন এ মাধ্যম বেছে নিচ্ছেন। গ্রাহক আকর্ষণে নানা প্রচারণা ও নতুন পণ্য নিয়ে আসছে ব্যাংক। দ্রুত বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক ও লেনদেন। ব্যাংকাররা জানান, মানুষের অনীহা বেশি কেটেছে করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি থাকার পর। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের অন্যতম অনুষঙ্গ অ্যাপভিত্তিক লেনদেনকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চালু করেছে ‘বাংলা কিউআর’ নামে আন্তঃব্যাংক লেনদেন ব্যবস্থা। এ মাধ্যমে যুক্ত ব্যাংক বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের গ্রাহক যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কিউআর (কুইক রেসপন্স) থেকে মুহূর্তেই পরিশোধ করতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বজনীন লেনদেন প্ল্যাটফর্ম বাংলা কিউআরে লেনদেন দ্রুত বাড়ছে। গত রোববার এ ব্যবস্থায় ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ হয়। শুরুর দিন পরিশোধ ছিল মাত্র ১২ হাজার ৭০৮ টাকা। নগদ লেনদেন কমাতে বড় শপিংমল ছাড়াও ফুটপাতের দোকান, মুদি দোকান, রাস্তার পাশে চা, জুতাপলিশ কিংবা ঝাল-মুড়ি বিক্রেতার কাছেও কিউআরে পরিশোধের সুযোগ মিলছে। সূত্র: সমকাল
‘গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে ঐকমত্যে আসা উচিত’
আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ভাষণ
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সংঘাত ভুলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে সবাইকে সহায়তা করা উচিত। গণতন্ত্রহীন অবস্থায় যে উন্নয়ন হয়, তা কখনো সর্বজনীন হতে পারে না।
গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে, এমন যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনায় রাষ্ট্রপতির এ ভাষণ। তার ভাষণকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদকে গণতন্ত্র চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসাবে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। সেই মোতাবেক সবাই মিলেই এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।তবে বিএনপি বলছে, সাংবিধানিকভাবেই তার হাতে খুব বেশি ক্ষমতা নেই। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, সংঘাত দিয়ে, প্রতিহিংসা দিয়ে কখনো গণতন্ত্র প্র্যাকটিস করা যায় না-রাষ্ট্রপতির এ কথা ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। তবে অতীত সুখকর নয়।সংঘাত এড়াতে হলে সরকারকে আগে পদত্যাগ করে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. শাহদীন মালিকের আশঙ্কা- রাষ্ট্রপতির এ আহ্বানের বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে না। সূত্র: যুগান্তর
পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে অস্থিরতার পেছনে যেসব কারণ
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলো সম্প্রতি নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে। পার্বত্য জেলাগুলোতে একের পর এক হত্যাকাণ্ড চলছে। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠির মধ্যে হত্যা এবং পাল্টা হত্যাকাণ্ড চলছে। পার্বত্য চট্ট গ্রামের তিনটি জেলার মধ্যে বেশি অস্থিরতা দেখা বান্দরবানে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সেখানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করতে হচ্ছে।বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানে গোলাগুলিতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম শনিবার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘’আমরা আটজনের পরিচয় শনাক্ত করে ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে মৃতদেহগুলো হস্তান্তর করেছি। এখন কীভাবে কারা এই ঘটনা ঘটলো, সেই তদন্তের জন্য থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।‘’পুরো বিষয়টি জানার জন্য আরও সময় লাগবে বলে তিনি আভাস দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে কেন পাহাড়ি এলাকা অস্থির হয়ে উঠছে?কুকি-চিন ঘিরে রহস্য-বান্দরবানে সম্প্রতি সবচেয়ে আলোচিত হয়ে উঠেছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। বাংলাদেশের সরকার তাদেরকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে বর্ণনা করছে, যদিও সেই অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে।কেএনএফের ঘোষণা ও বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির অন্তত ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা। যদিও দলবদ্ধভাবে তাদের বম নৃ-গোষ্ঠী হিসেবেও প্রচার করছে অনেকে। পার্বত্য এলাকার পর্যবেক্ষক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’এই কুকি-চিনের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পাওয়াটা এবং তাদের হঠাৎ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত রহস্যজনক।‘’ সূত্র: বিবিসি বাংলা