আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, ‘চাপে’ সংসদ সদস্য ছোট ভাই
ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মণির বিরুদ্ধে। কিন্তু ঘটনাটি আর টাঙ্গাইল শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এ ঘটনা উত্তাপ ছড়াচ্ছে গোলাম কিবরিয়ার ভাই সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের নির্বাচনী এলাকাতেও। তানভীর হাসান টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য। ওই আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন আরও কয়েকজন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ধর্ষণ মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঠে সক্রিয় হয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে গত বুধবার রাতে এক কিশোরী (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করে। মামলায় সে অভিযোগ করে, গোলাম কিবরিয়া তাকে গত ১৭ ডিসেম্বর শহরের আদালতপাড়ায় নিজ বাড়ির পাশে একটি ভবনে ডেকে নেন। পরে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন এবং আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন। ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পরবর্তী সময়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে গত ২৯ মার্চ রাতে গোলাম কিবরিয়া ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে আদালতপাড়ার একটি বাড়িতে যান। সেখানে আবার তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাব ওই কিশোরীকে মারধর করেন। যদিও গোলাম কিবরিয়ার দাবি, রাজনৈতিকভাবে তাঁকে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
২৬ জায়গায় দুর্ভোগের শঙ্কা
এবারের ঈদ যাত্রায় রাজধানী থেকে সড়কপথে ঘরে ফেরা মানুষদের অন্তত ২৬টি স্পটে ভোগান্তির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হতে পারে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের। ময়মনসিংহ অঞ্চলের যাত্রীদেরও ভোগাবে গাজীপুরের কিছু অংশ। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জন্যও রয়েছে দুর্ভোগের আভাস। সে হিসাবে তুলনামূলক স্বস্তি রয়েছে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটের পথে।সারা দেশে দুর্ঘটনাসহ তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে এমন ২৬টি স্পট চিহ্নিত করেছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। দুর্ভোগের কারণ হিসেবে সড়ক সংস্কারের কাজ, সড়কের পাশে অস্থায়ী দোকানপাট ও মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলকে চিহ্নিত করেছেন অনেকেই। ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ এসব স্পটে ঈদের আগে ও পরে সাত দিন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানা গেছে। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের ঈদ প্রস্তুতির কার্যপত্রের নথির তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের যাত্রীদের ভোগাবে হেমায়েতপুর, সাভার বাজার, নবীনগর ও আরিচা ঘাট এলাকা। ঢাকা থেকে গাজীপুর হয়ে ময়মনসিংহের পথে ভোগাবে টঙ্গীর স্টেশন রোড, এরশাদনগর, ভোগড়া বাইপাস ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা। ঢাকা থেকে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল হয়ে বগুড়ার পথে সাভারের বাইপাইল, চন্দ্রা, চান্দিনা, এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত এবং সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। সড়ক ও জনপদ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর স্টেশন রোড, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ও এলেঙ্গা এলাকায় সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
আদানির বিদ্যুৎ রফতানির বাণিজ্যিক ঘোষণা
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ভারতের শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। দেশটির স্টক এক্সচেঞ্জে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আদানি পাওয়ারের এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ভারতে নির্মিত কোনো বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম শুরু করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় এতদিন ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে দেশে। ৭ এপ্রিল ভারতীয় স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত ওই চিঠিতে আদানি পাওয়ার জানায়, ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গড্ডায় ৮০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের মোট সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আদানি পাওয়ার (ঝাড়খন্ড) লিমিটেড (এপিজেএল) আদানি পাওয়ার লিমিটেডের (এপিএল) শতভাগ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান।এপিএলের কোম্পানি সেক্রেটারি দীপক এস পান্ডের স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে এপিএলের ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের নিট ক্যাপাসিটি ৭৪৮ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট) আওতায় ৬ এপ্রিল অর্থ আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগিরই এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরো ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে। সূত্র: বণিক বার্তা।
খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রভাবে বাধাগ্রস্ত হবে মেনার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত ও বাজার অস্থিরতার প্রভাবে বিশ্বজুড়েই বেড়েছে খাদ্যের দাম। মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলোয় মারাত্মক আকার ধারণ করেছে খাদ্য সংকট পরিস্থিতি। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছর খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির বড় ধরনের প্রভাব পড়বে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অর্থনীতির (মেনা অঞ্চল) ওপর। অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি দরিদ্র পরিবারগুলোর দুর্দশা বৃদ্ধির পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতাকেও বাড়িয়ে তুলবে। খবর দ্য ন্যাশনাল। বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ৫ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় চলতি বছর মেনা অঞ্চলের দেশগুলোয় জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৩ শতাংশ। এদিকে মাথাপিছু প্রকৃত জিডিপি ২০২২ সালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশের তুলনায় চলতি বছর কমে দাঁড়াবে ১ দশমিক ৬ শতাংশে। মেনা অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর অধিবাসীদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন চলতি বছর খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হতে পারে বলে। এছাড়া পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৮০ লাখ শিশু ক্ষুধার্ত থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যা মূলত খাদ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাবের কারণে হবে। সূত্র: বণিক বার্তা ।
ইয়েমেন যুদ্ধ: সৌদি-হুথি আলোচনা শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা দেখাচ্ছে
ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর এবার ইয়েমেন যুদ্ধ অবসানে আরেকটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। হুথি বিদ্রোহীদের সাথে স্থায়ী যুদ্ধ-বিরতির আলোচনায় অংশ নিতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় পৌঁছেছে সৌদি সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। খবর বিবিসির।আলোচনায় মধ্যস্ততাকারী কূটনীতিক দলও ওমান থেকে সানায় পৌঁছেছে। ২০১৫ সালে সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় হুথি বিদ্রোহীরা, বর্তমানে তারাই শহরটি নিয়ন্ত্রণ করছে। হুথিদের হাতে সানার পতনের পরই সৌদি-নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে আগ্রাসন চালায়। তারপর থেকেই যুদ্ধ চলতে থাকে, সৌদি জোটের আক্রমণে নিহত হয়েছেন লাখ লাখ ইয়েমেনি, অনাহারে মারা গেছে বহু শিশু। যুদ্ধবিধ্বস্ত দারিদ্রপীড়িত দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমানে জীবনধারণের জন্য সহায়তার ওপর নির্ভর করে। শান্তি আলোচনার বিষয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি, তবে হুথিদের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সৌদি এবং ওমানি প্রতিনিধিরা সানায় পৌঁছেছেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি
চিনির কেজিতে তিন টাকা কমানোর ঘোষণার চার দিন পরও বাজারে দেখা যায়নি নতুন দরের চিনি। ফলে এখনও আগের মতোই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। কোথাও কোথাও চিনির সরবরাহও কম। অথচ এর আগে তিন দফায় চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণার দিনই নতুন দরে চিনি বিক্রি হতে দেখা যায়। ক্রেতারা বলছেন, প্রতি কেজি চিনিতে মাত্র তিন টাকা কমানোর ঘোষণা ভোক্তাদের সঙ্গে এক ধরনের প্রহসন। এর আগে কয়েক দফা দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করা দরেও চিনি পাওয়া যায় না। এর চেয়ে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। এখন সামান্য দাম কমানোর ঘোষণায় কতটুকুইবা স্বস্তি মিলবে।
চিনির আমদানিকারকরা বলছেন, বাজারে এখনও আগের বাড়তি দরের প্রচুর চিনি রয়েছে। সেগুলোই বিক্রি হচ্ছে। রোববার থেকে কম দরের চিনির অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। যেগুলো বাজারে চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ পৌঁছাতে পারে।এর আগে সরকার চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর পর আমদানিকারকরা বলেছিলেন, শুল্ক কমানোর আগে যেসব চিনি আমদানি করা হয়েছে, সেগুলো বিক্রি করা শেষ হয়নি। তাদের গুদামে এখনও অনেক চিনি রয়ে গেছে। সূত্র: সমকাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
বিএনপির সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা, জোটগতভাবে ভোট, আসন ভাগাভাগি, দল ও জোটের ঐক্য ধরে রাখা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বহুমুখী চ্যালেঞ্জে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়। সে লক্ষ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। এবার সফলতার বিকল্প ভাবছে না। তবে কোনো কারণে ব্যর্থ হলে দলটির করণীয় কী হবে, সেই প্রশ্নও সামনে আসছে। এছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া, নানা প্রলোভন ও চাপের মধ্যে আন্দোলনে শরিকদের ধরে রাখা কঠিন কাজ বলে মনে করছেন নেতারা। এছাড়া আসন ভাগাভাগি, যোগ্যদের মনোনয়ন দেওয়া, দল ও জোটের ঐক্য ধরে রাখাও বিএনপির অন্যতম চ্যালেঞ্জ। দলটির নেতারা মনে করেন, ইভিএম না থাকায় ভোটে সূক্ষ্ম কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু ব্যালটে নির্বাচন হওয়ায় ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ সরকার দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। প্রশাসনসহ সর্বত্র তাদের অনুসারীরা সক্রিয়। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালাতে পারে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও ভোটকেন্দ্র যাতে দখলে নিতে না পারে, সেই প্রস্তুতিও রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের কেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়াতে হবে। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শুধু বিএনপি নয়, জাতির সামনে এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এ অবৈধ সরকারের পতন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার নিশ্চিতে এর কোনো বিকল্প নেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট নিশ্চিত করা গেলে নির্বাচনসংক্রান্ত অনেক চ্যালেঞ্জই সহজ হয়ে যাবে। আসন ভাগাভাগি, মনোনয়ন কিংবা অন্য বিষয়গুলো নিয়ে জটিলতা হবে না। সূত্র: সমকাল
আওয়ামী লীগের হ্যাঁ বিএনপির না
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী ঠিক করতে গতকাল থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি দলগতভাবে ভোটে অংশ না নেওয়ার বিষয়টিকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন দল। ফলে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো যোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করছে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটি। অন্যদিকে দলের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সিটি ভোটে যাবে না মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। দলের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো ভোটেই তারা অংশ নেবেন না। তবে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বিনা চ্যালেঞ্জে এ নির্বাচন ছেড়ে দিতে নারাজ। ফলে তৃণমূলের অনেকে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। সে লক্ষ্যে অনেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচনেরও। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
সাতক্ষীরায় স্বর্ণ ডাকাতিতে স্থানীয় পুলিশ
ঢাকা থেকে প্রাইভেট কারে দুই কেজি স্বর্ণ নিয়ে সাতক্ষীরায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন চালক সাইফুল। সাতক্ষীরার চুকনগর থেকে সেই গাড়িটি অনুসরণ করে দুর্বৃত্তরা। পাটকেলঘাটা থানার শাকদহ ব্রিজের কাছে গাড়িটি থামানো হয়। এরপর চালককে চোখ বেঁধে তোলা হয় একটি মাইক্রোবাসে। আর তার গাড়িটি পড়ে থাকে সাতক্ষীরা বাইপাসে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে চালক সাইফুলকে হাত-পা বেঁধে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয় বাইপাসের জামতলায়। স্থানীয় এক দোকানদারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও গাড়ির মালিককে জানান চালক। মালিক ভোরে গিয়ে চালক ও গাড়ি উদ্ধার করেন। সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হবে পেশাদার কোনো ডাকাত দল এই স্বর্ণ লুট করেছে। কিন্তু অনুসন্ধান বলছে, স্বর্ণের বারসহ গাড়িটি নেয়া হয়েছিল সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লাইনসের ভেতর, জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে। আর স্বর্ণ লুটের সঙ্গে জড়িত খোদ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
অর্ধেক মাথা কাদাপানিতে পোঁতা ছিল বৃদ্ধের, পাশেই গরুর লাশ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ব্রিজের নিচের কাদাপানিতে অর্ধেক মাথা পুঁতে রাখা অবস্থায় এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।বৃদ্ধের পাশেই তার একটি গরু পাওয়া গেছে মৃত অবস্থায়, সেটার মাথাও ছিল কাদায় পোঁতা। তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, রোববার রাত ৮ টার দিকে ময়মনসিংহ-ফুলপুর সড়কে তারাকান্দা ব্রিজের নিচ থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ এবং মৃত গরুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কীভাবে ওই ঘটনা ঘটল, তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। নিহত বাজিত আলী (৫৫) তারাকান্দা দক্ষিণপাড়া এলাকার আবেদ আলীর ছেলে। বাজিত মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মুরগি কিনে তারাকান্দা বাজারে বিক্রি করতেন।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আবুল খায়ের বলেন, রোববার সকালে ঘাস খাওয়াতে দুটো গরু নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন বাজিত। ঘণ্টাখানেক পর একটি গরু একাই দৌঁড়ে বাড়িতে ফিরে যায়। সূত্র: বিডি নিউজ
বাতাসে আগুনের হল্কা, তাপমাত্রা বাড়বে আরও অন্তত এক সপ্তাহ
বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে এবং আবহাওয়া অফিস বলছে তাপমাত্রা বাড়ার এ প্রবণতা আরও অন্তত এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিস তাদের পূর্বাভাসে আজ রোববার জানিয়েছে যে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।দেশে বর্তমান ‘হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার’ দাবদাহ বইছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।ফলে সকালের দিকে তাপমাত্রা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে।“রাতের তাপমাত্রা এখনও কম। কিন্তু আগামী কয়েকদিনে রাতের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। মোট কথা এখন যে তাপমাত্রা আরও সপ্তাহখানেক সময়জুড়ে ধীরে ধীরে বাড়বে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মি. রশীদ।আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে খুলনার কিছু কিছু অংশে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশে দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে ৮৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বজলুর রশীদ বলছেন যে এখনো আদ্রতা কম থাকায় গরমের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে না কিন্তু রোদে গেলে গরম লাগবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।