ঈদে ২৭ লাখ লঞ্চযাত্রী সদরঘাট দিয়ে বাড়ি ফিরবে

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২৩

সংগৃহীত

পদ্মা সেতু চালু হলেও এবারও ঈদযাত্রায় রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে অস্বাভাবিক চাপ পড়বে। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে উপকূলীয় এলাকায় যাবে। এর মধ্যে দৈনিক গড়ে ৩ লাখ করে ৯ দিনে অন্তত ২৭ লাখ মানুষ সদরঘাট হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ঈদুল ফিতরে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায়। তাদের মধ্যে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার (২৫ শতাংশ) যায় নৌপথে। এর প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের যাত্রী।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি জানায়, গত জুনে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর চাঁদপুর ছাড়া অন্য জেলাগুলোর নৌযাত্রীর হার প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে, যা মোট ঈদযাত্রীর ৫ শতাংশ। এই হিসেবে এবার ঈদে নৌপথে যাবে ৩০ লাখ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ) মানুষ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হবে। তবে ঘরমুখী জনস্রোত কার্যত শুরু হবে এর আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ১৩ এপ্রিল থেকে। ১৩ থেকে ২১ এপ্রিল (ঈদের আগের দিন) পর্যন্ত ৯ দিনে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে। এর মধ্যে সদরঘাট হয়ে যাবে অন্তত ২৭ লাখ মানুষ। এই হিসেবে প্রতিদিন ৩ লাখ যাত্রী সদরঘাট টার্মিনাল হয়ে গন্তব্যে যাবে। বাকি ৩ লাখ মানুষ যাবে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর হয়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাগজে-কলমে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে তীব্র নাব্যসংকট ও যাত্রীস্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। বাকি ২৬টি নৌপথে প্রায় ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। ঈদের আগে লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৮০ হবে। এর মধ্যে প্রতিদিন ৯০টি নৌযান সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে সদরঘাটে আসবে।

Nagad

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে ৩ লাখ যাত্রী বহন করা হলে একটি লঞ্চে গড়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার (৩ হাজার ৩৩৩ দশমিক ৩৩ জন) যাত্রী উঠবে। কিন্তু কোনো লঞ্চেরই ২ হাজারের বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা নেই। অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা ১ হাজারেরও নিচে। এছাড়া ঈদের আগের ৩ দিন ঘরমুখী জনস্রোত দেড়গুণ বেড়ে যাবে।

সারাদিন/১১ এপ্রিল/এমবি