জামালপুরে গৃহবূধকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

জামালপুর সংবাদদাতাজামালপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতভর উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের কদুলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) মুমূর্ষু অবস্থায় নির্যাতিতা রত্না বেগমকে (৩২) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মজিবুর রহমানসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৭ বছর আগে কদুলা গ্রামের মফিজ মণ্ডলের ছেলে মজিবুর রহমানের (৩৮) সাথে একই ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের মমতাজ আলীর মেয়ে রত্না বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই সন্তানের জন্ম হয়। উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর জেরে সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে ওই গৃহবধূকে পিঠমোড়া দিয়ে হাত-পা বেঁধে স্বামী মজিবুর রহমানসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন দফায় দফায় নির্যাতন করেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, স্বামী মজিবুর এর আগে দুইবার তাকে তালাক দিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করেন। কিন্তু শুক্রবার অন্য আরেক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেঁধে নির্যাতন করতে থাকেন। একপর্যায়ে শ্বশুর মফিজ মণ্ডল, শাশুড়ি মালেকা বেগম, দেবর আলতাফসহ ১০-১৫ জন মিলে স্বামীর সাথে অংশ নিয়ে সারারাত দফায় দফায় তাকে নির্যাতন করেন। এর আগেও স্বামী তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাদিন/১১ এপ্রিল/এমবি 

Nagad