১৩ এপ্রিল শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহর প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৩

১৩ এপ্রিল শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহর প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা। সংগৃহীত ছবি

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এ দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় ও সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানো হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মরহুমের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারপারসন আলফাতুন নেসা মায়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন শুক্রবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল ১০টায় তার মরদেহ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। জুমার নামাজ শেষে সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। ৮২ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বর্তমানে তার মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন ভাস্কুলার সার্জন। তিনি মূলত জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ। ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতি দেশকে ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করে, ওই নীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বহির্বিশ্বে তার পরিচয় বিকল্প ধারার স্বাস্থ্য আন্দোলনের সমর্থক ও সংগঠক হিসেবে।

১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরীর শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন।

Nagad

হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী কলকাতা ও ঢাকার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা–বাবার দশ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।