ফিফা বাফুফে সেক্রেটারিকে নিষিদ্ধ করলো কেন?

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে ফিফা।

সোহাগের বিরুদ্ধে মোটাদাগে চারটি ধারায় অভিযোগে আগামী দুই বছর ফুটবল সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা এবং প্রায় ১২ লাখ টাকা (১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ) জরিমানা করা হয়েছে।

ধারাগুলো হলো- ২০২০ সালের ফিফা এথিকস কোডের ধারা ১৫ (সাধারণ কর্তব্য), ১৩ (আনুগত্যের দায়িত্ব), ২৪ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার) এবং ২৮ (অযথার্থতা ও অনুদানের অপব্যবহার)।

শুক্রবার বাফুফে সেক্রেটারি সোহাগের বিরুদ্ধে ৫০ পাতার একটি প্রতিবেদন দিয়েছে ফিফা। সেখানে মোটাদাগে চার ধারার অধীনে মোট ৩০৬টি পয়েন্টে অভিযোগের বর্ণনা দিয়ে সত্যতার প্রমাণের কথা বলেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ফিফার ইন্ডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটির বিচারিক চেম্বার অভিযোগের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। যেখানে বাফুফে সম্পাদক সোহাগের বিরুদ্ধে অনুদানের অর্থ নিয়ে মিথ্যা ও ভুয়া নথি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় দুই বছরের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধের চিঠি ইতোমধ্যে বাফুফে সম্পাদকের কাছে পাঠিয়েছে ফিফা।

বিবৃতিতে চিঠি পৌঁছার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Nagad

বিচারিক কমিটিতে চেয়ারপারসন গ্রীসের ভ্যাসিলস স্কৌরিস’সহ অন্য সদস্যরা হলেন- চিলির পামেলা ক্যামাস এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ আল কামালি। এছাড়া আবু নাঈম সোহাগকে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ফিফা জুডিশিয়াল বডির পরিচালক কার্লোস শ্নেইডার।

ফিফা’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিফার দেওয়া অনুদান অপব্যবহার করেছে বাফুফে এবং সেই বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোহাগ ভুয়া কিংবা জাল নথি দিয়েছেন। ৪০ বছর বয়সী সোহাগ ২০১৩ সাল থেকে বাফুফের দ্বিতীয় শীর্ষ পদ এবং ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর থেকে এশিয়ার ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্ব পান।

সারাদিন/১৫ এপ্রিল/এমবি