এক গরু কয়েকবার কোরবানী করাও অসততা: নির্মাতা ফারুকী

বিনোদন ডেস্কবিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৩

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, “বিদ্যানন্দের কাজ আমাদের চোখে পড়েছিলো, ভালো লেগেছিলো, সেই জন্য প্রশংসা করেছি। খারাপ কাজ করলে সমালোচনা করতে এক মুহুর্তও দেরী করবো না।” তিনি আরও বলেন, “এক গরু কয়েকবার কোরবানী করাও অসততা।”

রোববার (১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায়) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এই কথা বলেন তিনি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, “যেটা খারাপ কাজ সেটাকে খারাপ বলতে আমার দ্বিধা নাই। আরেক পেজ থেকে ফটো নিয়ে নিজেদের বলে চালানো নিঃসন্দেহে অসততা! এক গরু কয়েকবার কোরবানী করাও অসততা। এক মজিদ চাচাকে সব জায়গায় হাজির করা হয়ে থাকলে সেটাও অসততা নিশ্চয়ই। এগুলো কোনো ভাবেই ভালো ইমপ্রেশন দেয় না।”

তিনি আরও লিখেছেন, “এখন এটা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের অপরিপক্কতা কিনা সেটা মানুষ বিবেচনা করতে যাবে না। এর দায় টপ ম্যানেজম্যান্টের উপরও নিশ্চয়ই বর্তাবে। যদিও এগুলা কোনোটাই এখন পর্যন্ত এরকম কিছু প্রমাণ করে না যে তারা ফান্ডের অপব্যবহার করেছে, বা তারা আসলেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্টি।”

নির্মাতা ফারুকী লিখেছেন, “তারপরও স্বাভাবিক কারনেই তাদের এই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে অন্য সবার মতো, যারা বিদ্যানন্দের চ্যারিটি কাজ দেখে তাদের প্রশংসা করতাম আরো ভালো করার জন্য, আমারও মন খারাপ! বিদ্যানন্দকেই তাদের এই আবর্জনাগুলা পরিষ্কার করতে হবে। যাঁরা বিদ্যানন্দকে আতশী কাঁচের নীচে রেখেছেন, রাখেন! তাদের ভুল দেখলে ধরিয়ে দেন।”

“কিন্তু এটাকে যেনো একটা প্রায় যুদ্ধের পর্যায়ে আমরা নিয়ে না যাই। বিদ্যানন্দের কাজ আমাদের চোখে পড়েছিলো, ভালো লেগেছিলো, সেই জন্য প্রশংসা করেছি। খারাপ কাজ করলে সমালোচনা করতে এক মুহুর্তও দেরী করবো না।”

Nagad

নির্মাতা ফারুকী আরও লিখেছেন, “অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আপনারা তো আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়ে লিখেন না! ভাই, জানলে বা তাদের কাজ চোখে পড়লে অবশ্যই লিখবো। আমি কোনো ক্যাম্পান্ধ (ক্যাম্পের অন্ধ অনুসারী অর্থে) মানুষ না, ভাই। আমার বাবা তার জীবনের তিরিশ বছর কাটিয়েছিলেন মসজিদ-মাদ্রাসা আর চ্যারিটি নিয়ে।”

“কে চ্যারিটি করছে, সেটা নিয়ে আমার কোনোই উত্তেজনা বা বিরাগ নাই। বিড়াল সাদা না কালো, তার চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারছে কিনা। আপনাদের কাছেও যেনো এটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, এই দোয়া করি। বিড়ালের রং বা পরিচয় দিয়ে যেনো বিড়ালকে জাজ না করি আমরা। ধন্যবাদ।” লিখেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সারাদিন/১৭ এপ্রিল/এমবি