কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৩

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে। ইসলাম ধর্ম আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ইসলামকে যেন কেউ কলুষিত করতে না পারে, সেদিকে মুসলমানদের নজর রাখতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে প্রথম সরকার গঠন করা হয়েছিল। এই সরকারই মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। সবার সহায়তায় ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। আজকের এই পবিত্র দিন এবং পবিত্র মাহে রমজানে মসজিদ উদ্বোধন করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এই মডেল মসজিদগুলো আমরা করছি এ জন্য যে, ইসলামের সঠিক চর্চাটা যেন হয়। ইসলাম ধর্মের মর্মবাণীটা যেন মানুষ সঠিকভাবে জানতে, বুঝতে এবং গ্রহণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বাস করি যে এই বিশ্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সৃষ্টি করেছেন, তার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না। তাই এখানে অন্যান্য ধর্মের যা কিছুই আছে সবই আল্লাহরই সৃষ্টি। আল্লাহই ভালো মন্দের বিচার করেন।’

‘কাজেই আমাদের এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ যারাই বসবাস করেন তাদের সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে, যার যার ধর্ম পালন করার। তাই অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া মোটেও সমীচীন হবে না।’

Nagad

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মানুষকে বিভ্রান্ত করে জীবন কেড়ে নেয় এখান থেকে মানুষকে বিরত রাখার সব উদ্যোগ নিতে হবে আপনাদের। মাদক ও বাল্যবিবাহের মত সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতেও এসব ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই দেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসারে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ইসলাম ধর্মের সঠিক চর্চা ও এর মূল্যবোধ অনুধাবনের জন্যই মডেল মসজিদগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধেও এ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো ভূমিকা রাখবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের। এখানে সবার সমান অধিকার আছে, যার যার ধর্ম পালনের। পবিত্র ইসলাম ধর্মকে যাতে কেউ কলুষিত করতে না পারে, সেজন্য সজাগ থাকতে হবে আলেমদের। মসজিদসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-পানির অপব্যবহার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ পর্যায়ে মডেল মসজিদ উদ্বোধন হলো।

এর আগে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ে, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২০২৩ সালের ১৬ মার্চে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি করে মোট ১৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।