প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ, সারা দেশে বাড়তি নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৩

আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ইতোমধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঈদগাহ মাঠের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে।

নিরাপত্তা বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সারাদেশের ঈদগাহের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ঈদের জামাত একদিন আগে হয়, সেখানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদের জামাতে পুলিশের পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা থাকবে। এছাড়া র‌্যাব, ডিবি, এপিবিএন ও কমিউনিটি পুলিশিংসহ সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুত।

মেয়র তাপস বলেন, সবাই মিলে আমরা খুব সুন্দর একটা পরিবেশে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করব। ঢাকাবাসীসহ সবাইকে জাতীয় ঈদগাহে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। মহিলাদের নামাজের জন্য এখানে আমাদের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা আশা করছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা, সচিব, কূটনৈতিকরা ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা অংশ নেবন। ঢাকাবাসী ও সাধারণ মুসল্লিদের সবার জন্য সুষ্ঠু আয়োজন করা হয়েছে। ওজুখানাসহ মহিলাদের জন্য আলাদা পথ রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা রেখেছি যাতে করে এই ভ্যাপসা গরমে কেউ যেন কষ্ট না পায়।’

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সবদিক বিবেচনা করে হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টি হলে যাতে পানি জমতে না পারে বা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হতে পারে, তাই পুরোটাই আমরা ত্রিপল দিয়েছি এবং পর্যাপ্ত পাখা ও চিকিৎসা সহযোগিতার ব্যবস্থাও রেখেছি। গতবারের তুলনায় এবার স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র বেশি রাখা হয়েছে, চিকিৎসক বেশি রাখা হয়েছে। কারণ, যে তীব্র দাবদাহ চলছে তাতে কেউ অসুস্থ হলে যেন সেবা দেওয়া যায়, সেজন্য সিভিল সার্জন অফিসসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আলাদা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে।’

Nagad

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হওয়ায় প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার কাজ করে সংস্থাটি। এ বছরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ১ প্রকৌশল বিভাগের আওতায় এ জাতীয় ঈদগাহের কাজ চলছে।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ৩০ হাজার বর্গমিটার ময়দানের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার জুড়ে প্যান্ডেল করা হয়েছে। এর নিচেই জামাত আদায় করবেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া সাধারণ পুরুষ প্রায় ৩১ হাজার এবং নারী ৩ হাজার ৫০০ জন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নেবেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদগাহ মাঠে ১০টি এয়ার কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা আছে। সেখানে সিলিং ফ্যান ৫৫০টি, স্ট্যান্ড ফ্যান ১৫০টি, মেটাল লাইট ৪০টি ও টিউব লাইট ৭০০টি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খাবার পানির ব্যবস্থা, ভিআইপি কাতারে জায়নামাজের ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি নিরোধক সামিয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে।