এ বিদায় আনন্দের, রাজনীতির ভাবনা নেই, হাওরে বেশি সময় কাটাবেন

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২৩

রাজসিক বিদায় নিয়ে বঙ্গভবন ছেড়ে রাজধানীর নিকুঞ্জের ‘প্রেসিডেন্ট লজে’ উঠেছেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে বঙ্গভবন ছেড়েছেন তিনি। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গভবনের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিকুঞ্জের প্রেসিডেন্ট লজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাশিদা খানম।

এর আগে বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রথা অনুযায়ী শপথ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতিকে চেয়ারে বসিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন রাষ্ট্রপতিকে পরিচয় করিয়ে দেন আবদুল হামিদ।

তিনি, নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার তিন নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়ি প্রেসিডেন্ট লজে ওঠার আগে তিনি সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার জীবনের বাকি সময়টুকু জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় কাটাতে চাই।’

তবে তিনি তার অবসর জীবনকে তিন ভাগে ভাগ করার কথা জানিয়েছেন। ঢাকা, কিশোরগঞ্জ শহর ও হাওর অঞ্চল- এ তিন জায়গায়ই তিনি অবস্থান করবেন। এ সময়ে রাজনীতি নিয়ে তার কোনো ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক।

সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুরো দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আবদুল হামিদ বলেন, দেশবাসীর এবং আমার এলাকার মানুষের দোয়া ছিল বলেই আমি দীর্ঘমেয়াদে জনগণকে সেবা দিতে পেরেছি। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী আমাকে কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, সে জন্য আমি তার প্রতিও কৃতজ্ঞ।

এ দেশের মানুষ আমাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে দুই মেয়াদে নির্বাচিত করেছে। আবার রাজনীতি করলে এ দেশের মানুষকে হেয় করা হবে। সেটা আমি করব না।

Nagad

কিশোরগঞ্জের সন্তান আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অস্থায়ী ও ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গভবনে ১০ বছরেরও বেশি সময় কেটেছে আবদুল হামিদের। রোববার (২৩ এপ্রিল) তার শেষ কর্মদিবস ছিল।