বিএনপির সৃষ্টি হয়েছে অন্ধকার যুগে বসবাস করার জন্য: বাহাউদ্দিন নাছিম

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৩

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলি দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের বিপক্ষে সকলকে সত্যি কথা বলতে হবে। তারা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কিছুই করেনি। তারা দেশের মানুষকে কোন স্বপ্ন দেখাতে পারেনি। তাদের সৃষ্টি হয়েছে অন্ধকার যুগে বসবাস করার জন্য। তারা বাঙালি জাতিকে শোষণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হুমকি দিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে।

আজ শনিবার ( ২৯ এপ্রিল) দুপুরে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রাণিস্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে বাংলাদেশের সকল স্তরের সাধারণ ভেটেরিনারিয়ানগণকে নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি খামারবাড়ি মোড় প্রদক্ষিণ করে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। এরা কখনো দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি চায় না। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট ও সন্ত্রাসীদের মদতদাতা। বিএনপি নিজেদের পাকিস্তানের উত্তরাধিকার হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আনন্দ লাভ করে। তাই মাঝে মাঝে মুখ ফসকে তাদের পাকিস্তান প্রীতি প্রকাশ পায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বপ্ন হবে আকাশচুম্বী। আমাদের স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের ভিতরে যদি কোন অনৈক্য বা বিভেদ থাকে তাহলে সেগুলো ধীরে ধীরে নিরসন করার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ আমরা সেই জাতি যারা মায়ের ভাষার জন্য জীবন দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে অনন্য জাতি হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছি। আমরা সেই জাতি যারা খালি হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে একটি বড় সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল রায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করলে ভেটেরিনারি শিক্ষা ও ভেটেরিনারি পেশার উন্নয়নে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গবেষণা, পশুপাখির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশে প্রাণিসম্পদের ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতসমূহ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে বিগত এক দশকে প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এখন জনগণের নিকট মানসম্পন্ন ও নিরাপদ প্রাণিজাত খাদ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকার ভেটেরিনারি সার্ভিসকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ২০২০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম পুনর্গঠন করা হয়েছে। নতুন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের ফলে অধিক সংখ্যক ভেটেরিনারিয়ানদের ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ভেটেরিনারি সার্ভিস জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক প্রদান করা হয়েছে।

Nagad

তিনি আরও বলেন, কৃষি খাতের একটি অন্যতম খাত হলো প্রাণীসম্পদ। এ প্রাণিসম্পদকে চেষ্টার মাধ্যমে আরো বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি বিশ্ব চাহিদার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারি তাহলে সফল হতে আমাদের বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।আমরা অনেক কিছুই করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বাঙালি জাতি গোষ্ঠীর একটি নিজস্ব ও ঐতিহ্য রয়েছে।এমন সমুন্নত জাতি গোটা পৃথিবীতে অনেক কম রয়েছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ঐক্যবদ্ধ থেকে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন কৃষি বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তার প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় আমরা অনেক কিছুই তার কাছ থেকে পেয়েছি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূইয়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এ্যানিম্যাল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সভাপতি কৃষিবিদ ডাঃ মোঃ মনজুর কাদির, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ ড. এস এম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লাসহ সারা বাংলাদেশের সাধারণ ভেটেরিনারিয়ানবৃন্দ।