‘সীমান্ত হাট বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২৩

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নে সীমান্ত হাট ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে।

আজ শনিবার (৬মে) জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে জেলার প্রথম বর্ডার হাট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় ভারতীয় হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়ালসহ উভয় দেশের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর হাটে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আনা পণ্য বেচাকেনা শুরু হয়।

ইমরান আহমদ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ১৯৭১ সাল থেকে শুরু হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্যিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নে চালু করা হয়েছে সীমান্ত হাট। দিন দিন এই সম্পর্ক আরও অটুট হয়ে উঠছে।’

ভারতের মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস ও কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অবস্থিত এই সীমান্ত হাট প্রতি সপ্তাহে শনি ও বুধবার দুই দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বসবে।

ভারতের ২৬টি ও বাংলাদেশের ২৪টি স্টল থাকবে এই সীমান্ত হাটে। এখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হবে এবং হাটের ৫ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দারা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন।

Nagad

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, আবেদনকারী বিক্রেতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ২৪ জন বিক্রেতা বাছাই করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য আবেদনকারী বিক্রেতাদেরকে লটারির মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হবে।

এদিকে আবেদনকারী ক্রেতাদের মধ্যে বর্ডার হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের ভিজিটর কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, একজন ক্রেতা একদিনে সর্বোচ্চ ২০০ ডলারের সমমান টাকার পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। প্রবেশ ফি বাবদ কার্ডধারী একজন ক্রেতাকে দৈনিক ৩০ টাকা ও বিক্রেতাকে দৈনিক ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। এ টাকা বর্ডার ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদনক্রমে হাটের সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।

বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে বর্তমান ১৩টি বর্ডার হাটের কার্যক্রম চালু রয়েছে। আরও ৩ টি বর্ডার হাট চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।
২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারে সীমান্ত হাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের বাংলাদেশ এবং ভারতের জিরো পয়েন্ট (ভারত অভ্যন্তরে) এক একর জায়গার উপর এই বর্ডার হাটের কার্যক্রম চালু হলো। সূত্র: বাসস