অস্বস্তিকর ঘামাচি দূর করার সহজ উপায়

আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগসহ ঢাকা, মাদারীপুর, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বাড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আর এই উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি, র‌্যাশ, চুলকানির সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই। এমন ৭টি ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে অনায়াসেই অস্বস্তিকর ঘামাচি সারিয়ে ফেলা যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘জি নিউজ’র প্রতিবেদনে ওই ঘরোয়া উপায় গুলো তুলে ধরেছে। এবার আসুন জেনে নেই, অস্বস্তিকর ঘামাচি সারিয়ে ফেলার উপায়-

এক. ছোলার ডাল: ঘামাচি সারাতে ছোলার ডাল বাটা একেবারে অব্যর্থ। সারা রাত ছোলার ডাল জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে বেটে নিন। এবার ওই ডাল বাটা ঘামাচির ওপর লাগিয়ে মিনিট ১৫ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সাথে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।

দুই. মসুর ডাল: মসুর ডাল বাটার সাথে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রাখলেও ঘামাচি দ্রুত সেরে যাবে। কমে যাবে চুলকানিও।

তিন. অ্যালোভেরার রস: প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে অ্যালোভেরার রস। ত্বকে ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত র‌্যাশ, চুলকানিতে অ্যালোভেরার রস অত্যন্ত কার্যকরী। ঘামাচির সমস্যায় অ্যালোভেরা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে তার রস ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে দিন। এভাবে দিনে অন্তত দুই বার ত্বকে অ্যালোভেরার রস মাখতে পারলে ঘামাচি দ্রুত সেরে যাবে।

চার. আলুর রস: ঘামাচির সমস্যার সমাধানে একেবারে অব্যর্থ আলুর রসে। পাতলা পাতলা করে আলু কেটে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে মিনিট পাঁচেক ঘষুন। এভাবে দিনে অন্তত দুই বার ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সাথে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।

পাঁচ. বরফ বা আইস কিউব: ঘামাচির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কাজে লাগাতে পারেন বরফ বা আইস কিউব। পাতলা সুতির কাপড়ে ৩-৪ টুকরো বরফ নিয়ে একসাথে বেঁধে ফেলুন। এবার ওই বরফের পুঁটলি আলতো করে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে বুলিয়ে নিন বা একটু একটু করে চেপে ধরুন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এমন করতে পারলে ঘামাচির সমস্যায় ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো।

ছয়. বেসন, গোলাপজল, মধু: এই ৩ উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ২০ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন। দেখবেন, ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সাথে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।

সাত. মুলতানি মাটি: ঘামাচি, র‌্যাশ, চুলকানির সমস্যায় মুলতানি মাটি ব্যবহার করে দেখুন উপকার পাবেন। চার চামচ মুলতানি মাটির সাথে কয়েক ১ চামচ গোলাপজল আর আধা কাপ পানি দিয়ে প্রথমে পেস্ট তৈরি করুন। এবার ওই পেস্ট ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট ২০ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে অন্তত দুই বার ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সাথে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।

সারাদিন/০৭ মে/এমবি