বাফুফে কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে দুদকের চেয়ারম্যান, ক্রীড়া সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, ফুটবল ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৫ মে) বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, বাফুফে কীভাবে নিজেদের দুর্নীতির তদন্ত নিজেরাই করে?

রুলে বাফুফে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম নিতে দুদককে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং দুনীতি অনুসন্ধানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, ক্রীড়া সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, ফুটবল ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে রোববার (১৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের দুর্নীতির তদন্ত ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।

এই রিটে ক্রীড়া সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, এনবিআর চেয়ারম্যান ও ফুটবল ফেডারেশনের সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

ব্যারিস্টার সুমন গণমাধ্যমকে জানান, ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হচ্ছে না। ফুটবলকে বাঁচাতে হলে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এই কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে।

তার আগে গত ০৩ মে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

সারাদিন/১৫ মে/এমবি