নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১১ জনের খালাস

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২৩

হাইকোর্ট, ছবি- মুস্তাঈন বিল্লাহ

২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৩ জনের মধ্যে দুই জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে, সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ৩ আসামি মারা গেছেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন- আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, এম এম শাহজাহান, ফজলুল হক খান ফরিদ, মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, শেখ মো: শামসুজ্জামান ও ইসরাত জাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ গণমাধ্যমকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১২ মার্চ মামলায় ২৩ আসামির ফাঁসির আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য দিন আজ (১৬ মে) ঠিক করেন হাইকোর্ট। গত ১২ মার্চ হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

Nagad

আসামিদের মধ্যে মারা যাওয়ারা হলেন- আবুল বাশার ওরফে কাশু চেয়ারম্যান, ইউনুস আলী মেম্বার ও ইদ্রিস আলী।

মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা দুইজন হলেন- জহিরুল হক ভূইয়া ওরফে জহির মেম্বার এবং আব্দুল আহাদ।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো: ফারুক, মো: খোকন, মো: ডালিম, মো: রোহেল, লিয়াকত আলী, আল আমিন ও রুহুল আমিন।

খালাস পাওয়া ১১ আসামি হলেন- সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, সাহাব উদ্দিন, মো: হালিম, ইয়াকুব আলী, মো: আমির হোসেন, মো: আবুল কালাম, মো: রফিক মিয়া, গোলাম আজম, আব্দুল হাই, হারুন ও তাজুদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১২ মার্চ বিলুপ্ত সদাসদি ইউনিয়নের (বর্তমান গোপালদী পৌরসভা) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশুর নির্দেশে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আ. বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক ও কবির হোসেনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত আ. বারেকের বাবা আজগর আলী মেম্বার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে ২১ জনকে সাক্ষী এবং ২৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

চার খুনের মামলার প্রধান আসামি সদাসদি ইউনিয়নের (বর্তমান গোপালদী পৌরসভা) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশুসহ মোট ১৯ জন কারাগারে রয়েছেন।

সারাদিন/১৬ মে/এমবি