আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
উপবৃত্তির আওতায় আসছেন অনার্সের শিক্ষার্থীরাও
দেশের স্নাতক (সম্মান) বা অনার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও সরকারের উপবৃত্তির আওতায় আসছেন। চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্সের পাশাপাশি এমবিবিএসের মতো পাঁচ বছর মেয়াদি কোর্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও পাবেন উপবৃত্তি। উপবৃত্তির জন্য বিবেচিত একেকজন শিক্ষার্থী কোর্স সম্পন্ন করা পর্যন্ত বছরে মোট পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। নির্ধারিত কিছু শর্তের ভিত্তিতে উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অধীন দেওয়া হবে এ উপবৃত্তি। বর্তমানে এই ট্রাস্টের আওতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পান। আর প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে উপবৃত্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনও নির্ধারিতসংখ্যক শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হয়।প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কাজী দেলোয়ার হোসেন ১৭ মে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অনার্সের শিক্ষার্থীদেরও উপবৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেহেতু এখন উপবৃত্তি দেওয়ার কাজটি পুরোপুরি অনলাইনে হয়, তাই এই কাজে ডেটাবেজের প্রয়োজন আছে। কিন্তু দু-একটি ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের ডেটাবেজ নেই। এখন এই স্তরের শিক্ষার্থীদের আলাদা একটি সফটওয়্যার তৈরি করে তাঁদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে। রা আশা করছেন চলতি বছরই অনার্সের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া শুরু করতে পারবেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাস্টের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আসন্ন নতুন অর্থবছর থেকে অনার্সের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। সূত্র: প্রথম আলো


দুর্ঘটনা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ হবে
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গত ১৯ মার্চ বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছিল, বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না। কারণ সেটি সড়কে চলার উপযোগী ছিল না।চলাচল অনুপযোগী, অচল ঘোষিত বা আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া মোটরযান বিনষ্ট করে ফেলতে একটি নীতিমালা করছে সরকার-এই মোটরযান স্ক্র্যাপ নীতিমালা-২০২৩ অনুমোদন শেষে বাস্তবায়ন করা গেলে পরিবহন দুর্ঘটনা ও যানবাহনের দূষণ কমানো সম্ভব হবে। এই নীতিমালার খসড়া এরই মধ্যে মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। গত বুধবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ওয়েবসাইটে নীতিমালার খসড়াটি দেওয়া হয়। পরদিন খসড়াটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছেগত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন লেখার সময় খসড়াটি পাওয়া যায়নি। সূত্র: কালের কণ্ঠ
নাফে প্রেম, নাফে দুঃখ
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদ বাংলাদেশ-মিয়ানমারকে আলাদা করেছে। নাফের এক অংশের স্রোতধারা মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। আরেক অংশ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ের পাদদেশে গিয়ে মিলেছে। পাহাড়ঘেরা চারপাশের অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি আর মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণের প্রাচুর্যময় সর্পিলাকার নাফ নদকে এক সময় বলা হতো টেকনাফের আশীর্বাদ। আশপাশের শাহপরীর দ্বীপ, হৃীলা, হোয়াইক্যাং, রহমতবিল, লম্বাবিলসহ আরও অনেক এলাকার অন্তত তিন সহস্রাধিক জেলের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎস ছিল এই নদ। দিনরাতে নিঃসংকোচে তাঁরা নাফ নদে মাছ ধরতে যেতেন। কিন্তু ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় নাফ নদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে ইয়াবা প্রবেশেরও প্রধান রুট ধরা হয় নাফ নদকে। এখন এই রুটে ঢুকছে আরেক ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস)। সব মিলিয়ে টেকনাফের এক সময়কার প্রেম নাফ নদ এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে ‘অপরাধ জোন’ হিসেবে। আর তাতে দুঃখ বেড়েছে এই নদের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর। গত বুধবার নদের আশপাশের একাধিক গ্রাম ঘুরে জেলেপাড়াগুলোতে হাহাকারের দৃশ্য দেখা যায়। জেলেদের ভাষ্য, এক সময়কার বেঁচে থাকার প্রধান উৎস নাফ এখন তাঁদের দুঃখের নাম। কেউ কেউ জানান, বড় মাদক কারবারিরা জেলেদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার পাচারে ব্যবহার করছে। এর মাশুল দিচ্ছে সাধারণ জেলেরা। ছোট নৌকা দিয়ে কেউ মাঝে মাঝে নদে মাছ ধরতে নামলেও প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে নাফ ছাড়িয়ে এখন জেলেরা বড় নৌকা ও ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছেন সাগরে। সূত্র: সমকাল
ক্যাম্পে ঘরে ঘরে অস্ত্র
নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই খুনোখুনি, ছয় মাসে শতাধিক খুন
আধিপত্য বিস্তারে নিজেদের শক্তি বাড়াতে প্রতিযোগিতা করে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গা হিসেবে ছদ্মবেশে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীর কাছে অত্যাধুনিক এম-১৬, একে-৪৭ ও মরণঘাতী গ্রেনেড পর্যন্ত রয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ক্যাম্পের ঘরে ঘরে এখন অবৈধ অস্ত্র। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে সরেজমিনে অনুসন্ধানে এমন আশঙ্কাজনক তথ্য উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে প্রায় প্রতিদিনই খুন-গুম ঘটছে। গত ছয় মাসে অন্তত ১০০ লাশ ক্যাম্পে ঘরে ঘওে পড়েছে ক্যাম্পে। আর এসব খুনোখুনিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত গোয়েন্দা ও পুলিশ। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে রয়েছে ৩৪টি ছোটবড় রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এর মধ্যে উখিয়াতেই আছে ২৬টি। জানা গেছে, বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় কমপক্ষে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে ১০ হাজার রোহিঙ্গা ভয়ংকর কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। যতই দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গারা ততই ভয়াবহ অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুন, অপহরণ, মাদক, ডাকাতি, অস্ত্র পাচার, জাল টাকাসহ ১২ ধরনের অপরাধের অভিযোগে প্রতিদিনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো না কোনো কাম্প থেকে তাদের গ্রেফতার করছে। ভয়ংকর অপরাধ করার পাশাপাশি ভাড়াটে হিসেবে খুন, গুম, অপহরণ, ছিনতাই ও ডাকাতিতেও তারা জড়িয়ে পড়ছে এবং গ্রেফতার ও আইনি ব্যবস্থা নিয়েও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ইয়াবা, আইস ও নানা মাদক কেনাবেচার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। তারা নিজেদের মধ্যে অপরাধীদের বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপ তৈরি করছে এবং ক্যাম্পে আধিপত্য ধরে রাখতে নিজেদের মধ্যের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরেই অন্তত ৩০টি সক্রিয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে এবং প্রতিটি বাহিনীতে ৩০ থেকে ১০০ পর্যন্ত সদস্য রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
বহুল কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন: চাই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বড় বিনিয়োগ
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর মানব উন্নয়ন সূচকে নিম্ন থেকে উচ্চ স্তরে উঠতে বাংলাদেশের প্রায় ২০ বছর লেগেছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণকারী বাংলাদেশকে উচ্চ মানব উন্নয়ন সূচকের নিচের দিকে থাকা ভিয়েতনামের পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য মানব উন্নয়নে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে হবে। আর অতি উচ্চ মানব উন্নয়ন সূচকের সর্বশেষ ক্রমে থাকা থাইল্যান্ডের সমকক্ষ হতে হলে আরও বেশি অর্জন দরকার বাংলাদেশের। কাজটা সহজ হবে না। সবার আগে, সার্বিক মানবপুঁজি সূচক উন্নয়নের প্রভাবক মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) উদাহরণ বিবেচনা করা যাক। যেমনটা দেখা যায়, যেসব দেশের জিএনআই বেশি, সেগুলোই মানব উন্নয়ন সূচকের শীর্ষে অবস্থান করে। এর কারণ সার্বিক মানব উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের প্রয়োজন, এবং ধনী দেশগুলোই সেটা করতে পারে। আর এ বিনিয়োগ তাদের সম্পদকে আরও বর্ধিত করে। ইউএনডিপি’র মানব উন্নয়ন সূচক ২০২১-এ মধ্যম ও উচ্চ মানের সর্বনিম্ন দেশ হচ্ছে যথাক্রমে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড। ভিয়েতনামের মাথাপিছু জিএনআই ৭,৮৬৭ ডলার, আর থাইল্যান্ডের ১৭,০৩০ ডলার। ক্রয় সক্ষমতার সমতায় বাংলাদেশের জিএনআই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৪৭২ ডলারে।অর্থাৎ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। আর এ বিনিয়োগ উৎপাদন খাতে প্রয়োজনীয় মানবদক্ষতা সরবরাহকে নিশ্চিত করবে — ফলে বাড়বে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির জন্য কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ
এক দশক ধরে বৈশ্বিক পরিবহন খাতের অন্যতম আলোচিত ইস্যু বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি। পরিবহন ব্যবস্থাকে কার্বনমুক্ত করতে বিভিন্ন দেশ এখন জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মনোযোগী হয়েছে। এতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির ৫৮ শতাংশই বিক্রি করেছে চীন। প্রতিবেশী ভারতও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির প্রসারে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, চার্জিং অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনা, শুল্কছাড়ের মতো সুবিধা দিয়ে আসছে। এর সুফলও পেয়েছে তারা। ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
দেশে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির প্রসার ঘটাতে চাইছে সরকার। এজন্য ‘বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি উৎপাদন’ এবং ‘নিবন্ধন ও চলাচলের’ জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক যান চার্জিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে নির্দেশিকা। রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) মাধ্যমে ১০০ বিদ্যুচ্চালিত বাস আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতকেও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির বাজারে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকার চাইছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের সড়ক পরিবহন খাতে ব্যবহৃত অন্তত ৩০ শতাংশ মোটরযান বিদ্যুচ্চালিত হিসেবে রূপান্তর করতে। যদিও এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারের প্রস্তুতিতে ঘাটতি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: বণিক বার্তা।
এ এক অদ্ভুত ক্লিনিক
এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসার চেয়ে ওষুধ নিতে আসেন বেশি
হঠাৎ করে রক্তচাপ কম বা বেশি হলে কিংবা মাথা ঘুরে পড়ে গেলে সচিবালয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন অনেকে। হুট করে পেটের পীড়া হলে বা শরীরের কোথাও কেটে গেলে এই ক্লিনিকে সেবা নিতে আসেন সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের কেউ কেউ। এর বাইরে প্রায় সবাই এই ক্লিনিক থেকে শুধু ওষুধ নেন। ক্লিনিকটি থেকে নিজের ওষুধের সঙ্গে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে বাবা-মা ও দুই সন্তানের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ নেয়া যায়।সচিবালয় ক্লিনিক থেকে একসঙ্গে পাঁচজনের জন্য ওষুধ নেয়ার সুযোগ থাকায় অর্থবছরের শেষ দিকে এসে ওষুধসংকটে পড়ে ক্লিনিকটি। তখন তাদের হাতে যেসব ওষুধ থাকে সেগুলো দেয়া হয়। চলতি অর্থবছরে ওষুধ কেনার জন্য ক্লিনিকটি বাড়তি টাকা চাইলেও অর্থ মন্ত্রণালয় তা দেয়নি।সচিবালয়ে কর্মরত ১৫ হাজারের বেশি কর্মচারী সচিবালয় ক্লিনিক থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে নিবন্ধন করেছেন। ২০ দিন পরপর চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে এই ক্লিনিক থেকে ওষুধ নিতে পারেন তারা। চিবালয় ক্লিনিকের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ছোটখাটো ইমাজেন্সি হলে অনেকে এই ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর বাইরে সবাই আসেন ওষুধ নেয়ার জন্য। আমার জানামতে অন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে সরকারি কোনো ক্লিনিক থেকে ওষুধ নেয়ার সুযোগ শুধু সচিবালয় ক্লিনিকেই আছে। এখানে কর্মরত চিকিৎসকদের অল্প কিছু রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দিতে হয়। এর বাইরে অন্য ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন দেখে সেই ওষুধ পাওয়ার স্লিপ লিখে দেয়াই আমাদের অন্যতম কাজ।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।
পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ছেই, সরকারের ‘পর্যবেক্ষণ’ শেষ হচ্ছে না
ঈদের আগে থেকে পেঁয়াজের হঠাৎ বাড়তি দর ঈদ শেষে ছুটছে ‘রকেট গতিতে’। মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা ভোক্তাদের ওপর তৈরি করছে নতুন চাপ।সরকার বলছে, বাজার ঠাণ্ডা করতে দরকারে আমদানির দুয়ার খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয় ১০ দিনেও বসতে পারেনি। তাতে থেমে থাকেনি দাম বাড়ার গতি।সরকারি বিপণন সংস্থা টিবিসির হিসাবে এক মাস আগে খুচরায় দেশি পেঁয়াজের দর ছিল ৩০ টাকা। সরকার প্রথম যখন আমদানির কথা বলেছিল, তখন দাম ছিল ৫০ টাকার ঘরে। এখন তা বড় বাজারে ছুঁয়েছে ৮০ টাকা, এলাকার দোকানে ৯০।দেশের বাজারে শুধু এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা। অথচ প্রতিবেশী ভারতে এই টাকায় মিলছে ৫ কেজিরও বেশি।দেশটির বিভিন্ন বাণিজ্যিক পোর্টালে দেখা যাচ্ছে, সেখানে মান ও জাতভেদে কেজিপ্রতি দাম ৫ থেকে ১২ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় তা ৭ থেকে ১৫ টাকা।
আমদানি করলে ৩০ টাকার মধ্যে এসব পেঁয়াজ ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সূত্র: বিডি নিউজ
গেজেট প্রকাশের আগে নির্বাচন কমিশনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা নিয়ে বির্তক
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ভোটের প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা না পাওয়া নিয়ে নানা ধরণের বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মধ্যে অনেকে বলছেন যে, এই ক্ষমতা না পেলেও কমিশনের সার্বিক ক্ষমতা কমবে না। আবার নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন যে, নির্বাচন কমিশন মন্ত্রীসভার কাছে এই ক্ষমতা চেয়েই আসলে তাদের ক্ষমতা কমিয়ে নিয়েছে।বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভায় ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। গত বছর এই সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।এই সংশোধনী প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের একটি বিধান স্পষ্ট করার জন্য নতুন আরেকটি উপধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করেছিল।যেখানে বলা হয়েছিল, নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর তা গেজেট আকারে প্রকাশের আগে অনিয়ম বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ পেলে কোন ভোটকেন্দ্র বা পুরো আসনের নির্বাচনের ফল স্থগিত করতে পারবে। পরে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পুরো আসনের ভোট বাতিল করে আবারো নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।