আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
হাসপাতালে গেলেন ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান হাসপাতালে গেছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে লাহোরের শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালে যান তিনি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দলীয় প্রধান ইমরান খান হাসপাতালে গেছেন। স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩৫ মিনিটে করা টুইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।টুইটে একটি ভিডিও যুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গাড়িবহর নিয়ে লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হন ইমরান খান।আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৯ মে রাজধানী ইসলামাবাদে ইমরান খান গ্রেপ্তার হন। তবে তিনি এখন জামিনে রয়েছেন। জামিন পাওয়ার পর থেকে তিনি লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে রয়েছেন। গত ১৮ মার্চ তোশাখানা মামলায় ইমরান আদালতে হাজিরা দিতে গেলে পুলিশ তাঁর বাড়ি জামান পার্কে যায়। সেখানে পুলিশ ভারী সরঞ্জাম ও ক্রেন নিয়ে বাড়ির ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের জেরে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে পিটিআই নেতা-কর্মীদের ওপর ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। সূত্র: প্রথম আলো


রুশ ‘যুদ্ধযন্ত্র’ অচলে আরো নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির সাত দেশ নিয়ে গঠিত ‘জি৭’ জোট ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো এক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ নিচ্ছে। জাপানে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া জোটের শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি উপস্থিত হওয়ার আগে নেতারা নতুন অবরোধের বিষয়ে একমত হন।
সম্মেলনের প্রথম দিন জি৭ জোটের নেতারা অঙ্গীকার করেন, তাঁরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘অবৈধ, অন্যায্য এবং বিনা উসকানিতে শুরু করা’ যুদ্ধের বিরোধিতা করা অব্যাহত রাখবেন।জি৭ (গ্রুপ অব সেভেন) হচ্ছে জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি জোট-এই সাতটি দেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) স্বীকৃত বিশ্বের সাতটি প্রধান উন্নত অর্থনীতির দেশ।এবারের জি৭ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন আণবিক বোমায় ধ্বংস হওয়া হিরোশিমা শহরে। জোটের ছয় পশ্চিমা সদস্য সবাই দীর্ঘদিনের মিত্র। প্রাচ্যের জাপানও বিশ্বযুদ্ধ অবসানের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে উঠেছে আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনের প্রথম দিন যৌথ বিবৃতিতে জি৭ নেতারা বলেন, জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার ওপর আরো অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে। মস্কোর ‘যুদ্ধযন্ত্রকে’ অচল করতে রাশিয়া ও তার সহায়তাকারীদের চড়া মূল্য চুকানোর ব্যবস্থা করা হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানসহ আধুনিক সব যুদ্ধবিমান দিতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। এসব যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য ইউক্রেনের বৈমানিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করবে যুক্তরাষ্ট্র। খবর: বিবিসি’র।গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছিলেন। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি নেওয়া হলে আকাশপথে আমাদের বাহিনী ব্যাপকভাবে শক্তিশালী কাজ করবে।’হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাপানে চলমান জি-৭ সম্মেলনে নেতাদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদন দেওয়ায় এখন যেকোনো দেশ ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রপ্তানি করতে পারবে। সূত্র: সমকাল
বিবিসির প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্র কি ঋণখেলাপি হচ্ছে
অর্থনীতিবিদদের মতে, গোটা বিশ্বই এখন অর্থনীতির মারাত্মক ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পার করছে। প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রও এর বাইরে নেই। দেশটির সরকার এখন এমন চরম অচলাবস্থার মধ্যে আটকে আছে। এ সমস্যা এখন আটকে আছে ঋণের সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জন্য ঋণের যে সর্বোচ্চ সীমা (ডেট সিলিং) বেঁধে দেওয়া আছে, তা আরও বাড়ানো হবে কি না এ নিয়ে দেশটির দুই প্রধান রাজনৈতকি দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই পক্ষই যার যার অবস্থানে অনড়। যদি এ অচলাবস্থার কোনো সমাধান না হয়, তাহলে এর জন্য বিশ্ব অর্থনীতিকে হয়তো এযাবৎকালের সবচেয়ে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আরও অর্থ ধার করতে দিতে রাজি না হয় বা তাদের ভাষায়- ঋণের সর্বোচ্চ সীমা না বাড়ায়, তাহলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ তাদের ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঋণখেলাপি হবে। এরকম সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আগামী ১ জুনের মধ্যে যেভাবেই হোক এ অচলাবস্থার নিরসন করতে হবে। যদি তা না হয়, ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, এর পরিণতি হবে মারাত্মক বিধ্বংসী। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঋণখেলাপি হলে এর কী প্রভাব পড়বে মার্কিন ও বিশ্ব অর্থনীতিতে? এতে গোটা দুনিয়ার সাধারণ মানুষের ওপরই বা কী প্রভাব পড়বে? ডেট সিলিং বা ঋণের সর্বোচ্চ সীমা কী? : যুক্তরাষ্ট্রে আইন করে নির্দিষ্ট করা আছে, সরকার সর্বোচ্চ কী পরিমাণ অর্থ ধার করতে পারবে। সরকারের ব্যয়ের বড় খাতগুলো হচ্ছে ফেডারেল সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সামরিক ব্যয়, সোশ্যাল সিকিউরিটি, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি। এর সঙ্গে আছে সরকারের জাতীয় ঋণের কিস্তি এবং এর সুদ পরিশোধ ও ট্যাক্স রিফান্ড ইত্যাদি। বেশ কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ ব্যয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে, কারণ সরকার আসলে যা আয় করছে, তার চেয়ে বেশি ব্যয় করছে। ঋণ করার সর্বোচ্চ সীমা এখন বেঁধে দেওয়া আছে ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী ভয় পাচ্ছে যে আমি নির্বাচনে জিতে যাব: ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখতে তার এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট এবং সামরিক বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
বুধবার (১৭ মে) লাহোরের জামান পার্কে নিজের বাসভবন থেকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ইমরান খান জানান, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে তার বিরুদ্ধে ১০০টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।”সকল রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী আমাকে এবছর নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়”, বলেন ইমরান খান। তিনি আরো জানান, বুধবার পুলিশ তার বাড়ি ঘেরাও করেছিল এবং প্রধান সড়কে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।বুধবার সন্ধ্যায়ও ইমরান খানের বাসভবনের বাইরে ভারি পুলিশি উপস্থিতি ছিল। পুলিশের দাবি, সম্প্রতি ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সহিংস বিক্ষোভে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের কয়েকজনকে তিনি নিজ বাসভবনে আশ্রয় দিয়েছেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আরব নেতাদের সমালোচনা করলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি
জি৭ সম্মেলনে যোগদানের আগে আরব নেতাদের সমালোচনা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় দেশগুলো দেখেও না দেখার আচরণ করছে বলে অভিযোগ তার। খবর বিবিসি। গতকাল শুক্রবার (১৯ মে) আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব পৌাঁছান জেলেনস্কি। সেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন। আরব লিগের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সিরিয়াই প্রকাশ্যে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করেছে। অন্যরা মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সূত্র: বণিক বার্তা ।
সমীকরণে আরেক ‘কাশ্মীর’
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পেরিয়ে গেছে ১৫ মাস। হামলা-পাল্টা হামলায় রাশিয়া ও ইউক্রেনে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। আহত আর বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও বেশুমার। আর বিশ্ববাসীকে ভোগ করতে হচ্ছে ‘বিশ্বযুদ্ধের’ অভিঘাত। যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব আর অজুহাতে দেশে দেশে বেড়েছে জ্বালানি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম। অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে দিশেহারা ইউরোপ, আমেরিকা থেকে শুরু করে এশিয়া-আফ্রিকার সম্পদশালী দেশগুলোও। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও পড়েছে ‘দেউলিয়া’ হওয়ার ঝুঁকিতে। কিন্তু এরপরও যুদ্ধ থামানোর আন্তরিক কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউই। বরং যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ব রাজনীতিতে যে মেরুকরণের শুরু হয়েছিল তা আরও প্রকট হয়েছে। বদলেছে যুদ্ধের ক্রীড়নক রাষ্ট্রগুলোর পরিকল্পনাও। রাজনৈতিক সাময়িকী দ্য পলিটিকো বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হোক এবং স্থায়ী সংঘাতে রূপ নিক তেমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। সাময়িকীটির ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা-ইউক্রেন যুদ্ধ অন্তত এক দশক ধরে চলুক। সেটি রূপ নিক কোরীয় উপদ্বীপ বা কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের মতো। চলতি মাসের শুরুতেই ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার পর যুদ্ধে নতুন মাত্রা পেয়েছে। রাশিয়া যেমন হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে তেমনি ইউক্রেনও প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি নতুন করে তৎপর হয়েছে ইউক্রেনের মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্রসহ জি-৭-ভুক্ত অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকে জাপানে শুরু হওয়া জি-৭ সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ইউক্রেন ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। ওই সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিরও যোগ দেওয়ার কথা। সম্মেলনের একটি সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা বলছে, ওই সম্মেলন থেকেই আসতে পারে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা।সূত্র: দেশ রুপান্তর
বিশ্বের অর্ধেকের বেশি জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে
বিশ্বের অর্ধেকের বেশি সুবিশাল হ্রদ এবং জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় পানির ঘাটতি, কৃষিকাজ চালানো, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে বিরাজমান উদ্বেগ আরও তীব্র হয়েছে।ডয়চে ভেলে জানায়, আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল গত বৃহস্পতিবার তাদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে। সায়েন্স জার্নালে তারা গবেষণার তথ্য তুলে ধরেছেন। সেখানেই তারা লিখেছেন, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জলাশয় শুকিয়ে গেছে বা শুকিয়ে যাওয়ার মুখে। এর একটি কারণ অবশ্যই উষ্ণায়ন। তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো মানুষের হঠকারিতা। একের পর এক জলাশয় ভরাট করে ফেলা। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞানের গবেষক ফ্যাংফ্যাং ইয়াও এই গবেষণা দলের প্রধান। তিনি জানান, ১৯৯০ সালের পর থেকে ক্রমেই বড় হ্রদ ও জলাধারগুলো শুকাতে শুরু করেছে। তাদের গবেষণা বলছে, কোনো কোনো জলাশয়ে প্রতিবছর ২২ গিগাটন করে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বহু গুণ দ্রুত।এর একটি কারণ, মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পানি তুলে নিচ্ছে। সেই পরিমাণ পানি নতুন করে আর জমছে না। আরেকটি কারণ হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
সমীকরণে আরেক ‘কাশ্মীর’
ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে তারা এখন পর্যন্ত ২৭টি সভা করেছে। কিন্তু রুট মেনে বাস পরিচালনা ও কোম্পানি গঠনের কোনো কাজ সামান্যই এগিয়েছে। যাত্রী ছাউনি, বাস টার্মিনাল, বাস ডিপো নির্মাণ এবং নতুন বাস নামানোর কাজেও কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নেই। তিনটি রুটে বাস চলাচল শুরু করলেও অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্য থামছে না।এ অবস্থার জন্য একটি অসাধু চক্রকে দায়ী করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ও মালিকপক্ষকে এ চক্রটিই ভুল বোঝাচ্ছে। তা না হলে ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানোর যে উদ্যোগ সেটা বাস্তবায়ন কঠিন কিছুই না। তারা আরও বলছেন, এ অচলাবস্থা ভাঙতে হলে দুপক্ষকেই সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাসমালিকরা পুরাতন বাসের ব্যাপারে বর্তমান কমিটির সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারছেন না। এজন্য কমিটির সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। যে তিন রুটে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির’ উদ্যোগে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করা হয়েছে, তাতেও সমঝোতা না হওয়ায় মালিকরা নিয়ম ভেঙে বাস চালাচ্ছেন। এর মধ্যে ২৩টি বাস জব্দ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৮৩টি। সূত্র: দেশ রুপান্তর
ঘূর্ণিঝড় মোখায় নিহত ১৪৫, বলছে মিয়ানমারের জান্তা
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় দেশটিতে ১৪৫ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু দেশটির মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ও ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের ধারণা, মোখায় মৃত্যুর সংখ্যা কয়েকশ।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় দরিদ্র রাজ্য রাখাইনের ওপর দিয়েই ঝড়ের মূল ঝাপটাটা গিয়েছে। গত রোববার বিকালে আঘাত হানা মোখার তাণ্ডবে রাজ্যটির রাজধানী সিত্তুয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর জলোচ্ছ্বাসে শহরটি ডুবে যায়। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার বাতাসের তোড়ে মোবাইল টাওয়ার ও কয়েকটি সেতু ধসে পড়ে।শুক্রবার এক বিবৃতিতে সামরিক জান্তা বলেছে, ১৮ মে পর্যন্ত ১৪৫ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের শিবিরগুলোর ৯১ জন আছেন। এর আগে তারা ঘূর্ণিঝড়ে মাত্র তিনজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছিল।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে কতোজনের মৃত্যু হয়েছে তারা স্বতন্ত্রভাবে তা যাচাই করতে পারেনি।
ঘূর্ণিঝড়ের পর স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিল রয়টার্স; তারা জানিয়েছেন, ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। যারা বেঁচে গেছেন তারা খাবার ও ওষুধের অভাবে ভুগছেন বলেও জানিয়েছিলেন তারা। সূত্র: বিডি নিউজ