চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলো এইচবিএল

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৩

চীন-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলো এইচবিএল। রোববার (২৮ মে) শেরাটন ঢাকায় “চায়না নাইট ২০২৩” শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এইচবিএল। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে কার্যরত আঞ্চলিক প্রাসঙ্গিকতাসম্পন্ন ব্যাংকটির এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করা। পাশাপাশি এইচবিএল-এর আঞ্চলিক অবস্থান এবং চীনে কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা তুলে ধরা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে।

মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে আরএমবি লাইসেন্সপ্রাপ্ত তিনটি ব্যাংকের একটি হলো এইচবিএল। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি এন্ড-টু-এন্ড আরএমবি মধ্যস্থতা সেবা প্রদান করতে পারে।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথোরিটি (বিআইডিএ)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরামর্শক সং ইয়াং, স্থানীয় কর্পোরেশনগুলোর প্রতিনিধিগণ এবং বাংলাদেশে কর্মরত চীনা কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাগণ এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এইচবিএল -এর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইচবিএল সিঙ্গাপুর ও চীনের আঞ্চলিক জেনারেল ম্যানেজার ফারহান তালিব, এইচবিএল চীনের কান্ট্রি ম্যানেজার চেং ওয়েই (অ্যামান্ডা), এইচবিএল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম বরকত, এইচবিএল-এর গ্লোবাল হেড অফ চায়না কাভারেজ জিসান মালিকসহ এইচবিএল চীন ও বাংলাদেশের আরো অনেক সহকর্মী।

অনুষ্ঠানে এইচবিএল বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী চীনা ব্যবসায়ীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার কথা তুলে ধরে। এগুলোর মধ্যে আছে গ্রাহক সংযোগ, বাণিজ্য সুবিধা, আরএমবি সেটেলমেন্ট এবং ট্রেড ডিসকাউন্টিং সম্পর্কিত উদ্ভাবনী সমাধান।

আয়োজনে মূল বক্তব্য প্রদান করেন এইচবিএল চীনের কান্ট্রি ম্যানেজার চেং ওয়েই (অ্যামান্ডা)। বক্তব্যে তিনি বলেন, “চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের শুরুটা বাংলাদেশের জন্ম থেকেই। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত দেশ দুটি ক্রমাগত নতুন নতুন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে, যা বর্তমান বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের মাধ্যমে এখনো চলমান। বহু বছর ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচবিএল বাংলাদেশ দেশীয় উদ্যোগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি আন্তরিকভাবে আশা করছি যে, আজকের মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা আলোচনা জোরদার করা ও সুযোগ কাজে লাগাতে পারবো। একইসাথে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে সবার উপকারের জন্য যৌথভাবে অর্থ ও বাণিজ্যে ফলপ্রসূ সহযোগিতা অর্জন করা সম্ভব হবে বলেও আমি আশাবাদী।”

বিআইডিএ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়ার মতে, বিদেশী বিনিয়োগকে বাংলাদেশ সবসময়ই স্বাগত জানায়। চীনা কোম্পানিগুলোকে সব খাতে কার্যক্রম পরিচালনায় সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিআইডিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জনাব মিয়া দেশে আরো বেশি পরিমাণে চীনা বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন যে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করার জন্য চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে দারুণ সহায়ক একটি পরিবেশ পেয়ে থাকে।

Nagad