আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৩

পণ্যবাজার পরিস্থিতি
বিশ্ববাজারে দরপতন, দেশে সুফল কম
দেশে মূল্যস্ফীতির জন্য বিশ্ববাজারকে দায়ী করা হয়। এখন বিশ্ববাজারে দাম কমে গেছে। দেশে সেভাবে কমছে না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে গত ৩১ মে আর্জেন্টিনায় অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি টন ৮৪৭ মার্কিন ডলার। ঠিক এক বছর আগে এই দর ছিল ১ হাজার ৯৭০ ডলার। ফলে দাম কমেছে প্রায় ৫৭ শতাংশ। দেশের বাজারে এখন এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নির্ধারিত দর ১৯৯ টাকা, যা গত ৩ মে লিটারে ১২ টাকা বাড়ানো হয়। মূল্যবৃদ্ধির কারণ সয়াবিন তেলে মূল্য সংযোজন করের (মূসক বা ভ্যাট) ছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া। মূল্যবৃদ্ধির পর দাম যা দাঁড়িয়েছে, তা এক বছর আগের তুলনায় আড়াই শতাংশের মতো কম।দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম অর্ধেকে নেমে এলেও দেশে তার সুফল নেই। শুধু সয়াবিন তেল নয়, চিত্রটি মোটাদাগে গম, মসুর ডাল, জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একই রকম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও তাদের খরচ ততটা কমেনি। কারণ, দেশে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় পরিবহন খরচও বেড়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

মূল্যস্ফীতি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে

বাজেট প্রস্তাবে সরকার মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে ধরে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, এটি কাল্পনিক ও অবাস্তব বলে মনে করছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার যে কৌশল নিয়েছে, তা বরং মূল্যস্ফীতি আরো বাড়াতে পারে। এটি সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার বেশ চড়া। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি একলাফে ৮.৮৫ শতাংশে চলে আসে। চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে এই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশের ওপরে।মূল্যস্ফীতি দিয়ে মূলত পণ্যের দাম বাড়ার গতি-প্রকৃতিকে বোঝানো হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূলত সারা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে মূল্যস্ফীতির হিসাব দিয়ে থাকে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

নৌকায়ই চড়বে শরিকরা
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ১৪-দলীয় জোটে দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হয়েছে। ‘বর্তমান সরকারের অধীনে ভোটে যাব না’ বিএনপি এমন ঘোষণা দিলেও নির্বাচনমুখী কর্মকান্ডই পরিচালনা করছে মাঠের বিরোধী দলটি। বসে নেই আওয়ামী লীগও। চলছে নির্বাচনী জোর প্রস্তুতি। বিএনপির সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে- এটা ধরে নিয়েই ১৪-দলীয় জোটগতভাবে ভোটে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগের। আর জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের প্রতীক ‘নৌকা’ নিয়েই ভোটে যাবেন শরিক দলের নেতারা। জোটের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের বেশ টানাপোড়েন চলছিল। ক্ষমতার ভাগাভাগি তথা মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়া নিয়েই এ টানাপোড়েন শুরু। যতই সময় পেরিয়েছে দূরত্ব ততই বেড়েছে। যে কারণে গত দুই বছরে বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় রাজপথে একাই ছিল আওয়ামী লীগ। অবশেষে জোট শরিকদের সঙ্গে দূরত্ব নিরসন হতে চলেছে। আজ বৈঠকে বসছেন জোটের শরিক দলের নেতারা। বেলা ১১টায় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সমসাময়িক রাজনীতি, প্রস্তাবিত বাজেট, আগামী সংসদ নির্বাচনের কর্মপন্থা নিয়েও আলোচনা হবে বলে একাধিক সূত্র জানায়। জোট শরিক দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট গঠন হয়েছে আদর্শগত দিক বিবেচনা করে। তাই ওই আদর্শের বিষয়টি যতদিন অটুট থাকবে ততদিন জোটের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকবে না। সুত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলাপ
মানুষের চাওয়া পূরণের ভাবনা বাজেটে নেই

এ মুহূর্তে মানুষ কী চায়, তাদের কী অভাব এবং কীভাবে তা দূর করা যাবে– এমন ভাবনা থেকে জাতীয় বাজেট করা হয়নি। প্রশ্ন হলো, মানুষ কী চায়। তারা চায়, ব্যবসা ও কাজের ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে, সরকার দূর করে দিক। বাকিটা তারা করে নেবে। বাজেটের আগে-পরে নানাজন নানা পর্যায় থেকে আলোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন, যার কিছুই আমলে নেওয়া হয় না। এমনকি সংসদেও আলোচনা হয় না। ওপরের দু-চারজনের কিছু সুপারিশ মেনে সামান্য কিছু পরিবর্তন করে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হয়েছে জানানোর মাধ্যমে পেশ করা বাজেটই পাস হয়ে যায়। এবারও তা-ই হবে। গতকাল শনিবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ-পরবর্তী সংলাপে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংলাপে বক্তা ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসির সিইও মমিনুল ইসলাম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া। সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের সিনিয়র প্রভাষক তানিয়া আকতার। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেট যদি দেশের মানুষের কল্যাণে হয়, তাহলে এ বিষয়ে মানুষের কথা শোনা উচিত। বাজেট ঘোষণার দুই থেকে তিন মাস আগেই সম্ভাব্য বাজেটের রূপরেখা প্রকাশ করা উচিত। এর পর সব মহলের পরামর্শ দিয়ে সরকার বাজেট প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে পারে। তিনি বলেন, জাতীয় বাজেট কেবল সংখ্যা বা সরকারের আয়-ব্যয়ের খতিয়ান নয়। এটি এমন একটি মূল্যবান দলিল, যা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ব্যক্তি মানুষের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলে। এমন বাস্তবতায় অনেকে পছন্দ না করলেও তিনি কিছু কথা বলেন; বাজেটের দুর্বল ও চ্যালেঞ্জের দিকগুলো তুলে ধরেন, যাতে ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। তিনি আরও বলেন, দেশে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বন্ধ হচ্ছে না। দেশে কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান হচ্ছে না, মজুরি বাড়ছে না। সূত্র: সমকাল

আ.লীগ ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
আমেরিকায় না গেলে কিছু যায় আসে না আরও মহাদেশ আছে

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যমন্দা বাংলাদেশের মানুষকে যাতে স্পর্শ করতে না পারে, সেজন্য আমাদের মাটি ব্যবহার করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে, সেদিকে লক্ষ রেখেই উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে আমরা নিজের পায়ে চলব, নিজের দেশকে গড়ে তুলব। কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে আমাদের স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে-এ নিয়ে মাথাব্যথা করে কোনো লাভ নেই। ২০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে আটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু (কিছু) যায় আসে না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে-সেই মহাদেশে আমরা যাতায়াত করব, বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও মজবুত, উন্নত ও চাঙা হবে।শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ডের উত্তরপাশে নবনির্মিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ভোট চুরি করে, ভোট ও জনগণের ভাগ্য নিয়ে যারা খেলেছে, ওই সন্ত্রাসী দলের দিকে নজর দেন। কানাডার হাইকোর্ট বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে। সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতির দায়ে এই আমেরিকাই কিন্তু তারেক জিয়াকে তাদের দেশে ভিসা দেয়নি। এখন তারাই (বিএনপি) তাদের (আমেরিকার) কাছে ধরনা দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি-মানুষকে চিনি, বাংলাদেশকে চিনি। নদীনালা, খালবিল চিনি। বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল কোথায়, কল্যাণ কোথায়-সেটা আমরা খুব ভালো করেই জানি। সেটা মাথায় রেখেই কাজ করে দেশকে উন্নয়নশীল দেশ করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবে। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যানও আমরা করে দিয়েছি। যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভালো করে চলতে পারে, সেই পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নয়নসমৃদ্ধ দেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব। সূত্র: যুগান্তর

৬ অঞ্চলে ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস

দেশের ৬ অঞ্চলের ওপর দিকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়োহওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটি জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি। এতে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বাড়বে খাতা কলম স্কুলব্যাগের দাম
ধনী, দরিদ্র সব শ্রেণির শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় পণ্য বলপয়েন্ট কলম। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই কলমেও সবোর্চ্চ ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু ভ্যাটের কারণে ১ জুলাই থেকে বলপয়েন্ট কলমের দাম বাড়বে। এখানেই শেষ নয়। রাজস্ব আইনের মারপ্যাচে প্লাস্টিকের তৈরি টিফিন বক্স, কলমদানি, স্কেলসহ অনেক কিছুরই দাম বাড়বে। অন্যদিকে বৈশি^ক মন্দার কারণে গত মাস ছয়েক থেকে স্কুল ব্যাগ, খাতা, পেনসিল, রাবারসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েই চলেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যের দাম কমাতেও কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বৈশ্বিক মন্দার কারণে ক্ষেত্রবিশেষে বাড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: দেশ রুপান্তর

সবার আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চান ব্যবসায়ীরা
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট থেকে ব্যবসাবাণিজ্যের যে প্রত্যাশাগুলো ছিল তার কতোটা পূরণ হলো, এবং তাদের এগিয়ে যেতে আর কি কি দরকার- সেবিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক দৃষ্টি ছিল। তারা বলেছেন, এই সংকটের সময়ে শিল্পোৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রেখে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে এবং এশীয় দেশগুলোয় আসতে ইচ্ছুক বিদেশি কোম্পানিকে আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনে যোগাযোগের খাতের বরাদ্দ থেকে কিছুটা কাটছাঁট করে হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন – বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) ব্যবসাবাণিজ্যের জন্য অতি-জরুরি এবিষয়ে আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলেছে। শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর এফবিসিসিআই বোর্ড রুমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এসময় সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরয়াহের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার চাইলে যোগাযোগ খাতের কিছু বরাদ্দ কমাতে পারে।” কিন্তু, সংবাদ সম্মেলন চলাকালেই তাতে ব্যাঘাত ঘটায় পর পর লোডশেডিং। শনিবার (৩ জুন) অন্যান্য শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের আনুষ্ঠানিক বাজেট প্রতিক্রিয়াতেও প্রাধান্য পেয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রসঙ্গ। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ওসি এসপিদের তথ্য সংগ্রহ করতে নেতা-কর্মীদের কাছে বিএনপির চিঠি

বিএনপির নেতা-কর্মীদের গুম, খুন এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ওসি, এসপিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে সারা দেশে চিঠি পাঠিয়েছে দলটি।চিঠিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সাথে জড়িত, বাদী, তদন্তকারী বা তদারককারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম ও পরিচয় জানাতে বলা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এই চিঠিটি সকল জেলা ও মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।এতোদিন ধরে সারা দেশে মামলা, গ্রেপ্তার এবং আসামীর তথ্য সম্পর্কে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তথ্য সংগ্রহ করতো। কিন্তু এখন থেকে সেসব মামলার বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ওসি এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

অন্ধকার অনেক ব্যয়বহুল’; লোড শেড প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি

লোড শেডিংয়ের মধ্যে জেনারেটরও গেল বন্ধ হয়ে, পুরো মিলনায়তন ডুবে যায় অন্ধকারে; এরমধ্যে প্রশ্নোত্তরও চলে গুটিকয়েক। পরে বাধ্য হয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলন মাঝপথেই শেষ করতে হয় এফবিসিসিআইকে, যেখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আকুলতার কথা আবার তুলে ধরলেন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। শনিবার বিকালে এ সংবাদ সম্মেলনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘অন্ধকার অনেক ব্যয়বহুল; দাম যতই হোক- বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো বিকল্প নেই। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। “বিদ্যুৎ না থাকার চেয়ে থাকাটা বেশি জরুরি। বেশি খরচ হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আর্থিক বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’’ শনিবার মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটির নিজস্ব ভবনে বিকাল ৩টায় ডাকা সংবাদ সম্মেলন শুরু হয় পৌনে চারটার দিকে। খানিক বাদে ৪টার দিকে চলে যায় বিদ্যুৎ। এতে পুরো বোর্ড রুম মিলনায়তনে অন্ধকার ছেয়ে যায়। এফবিবিসিসিআইয়ের নিজস্ব জেনারেটর চালিয়ে কয়েক মিনিট পর বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলে ফের লিখিত বক্তব্য পড়তে শুরু করেন জসিম উদ্দিন। সূত্র: বিডি নিউজ