বায়তুল মোকাররমে সিরাজুল আলম খানের জানাজা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৩

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে তার মরদেহ নোয়াখালীতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরে তাকে সমাহিত করা হবে।

শনিবার (১০জুন) সকাল ১০টায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সিরাজুল আলম খানের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সিরাজুল আলম খানের মরদেহ নেয়া হবে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। শনিবার আসরের নামাজের পর বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।

এর আগে, শুক্রবার (৯ জুন) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিরাজুল আলম খান মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক সিরাজুল আলম খান ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন তিনি। থাকতেন ফজলুল হক হলে। ১৯৬১ সালে তিনি ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান।

Nagad

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে ‘নিউক্লিয়াস’ নামে যে গুপ্ত সংগঠন গড়ে ওঠে তার মূলে উদ্যোক্তা ছিলেন সিরাজুল আলম খান। এটি গঠনে তার প্রধান সহযোগী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক এবং কাজী আরেফ আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন তারা।