‘আ.লীগ বাদে অন্য কেউ ক্ষমতা আসলে উন্নয়ন এবং দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৩

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা-বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাদে অন্য কেউ ক্ষমতা আসলে উন্নয়ন এবং দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশবিরোধী, খুনি, মৌলবাদীচক্র, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা–বিশ্বাসও অর্জন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার (১২জুন) দুপুরে গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের এক সভায় এসব কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা দলের দুঃসময়ের নেতা–কর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুঃসময়ের নেতা–কর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোনো অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে।’

অনেকেই চায় না আমাদের দেশটি এগিয়ে যাক—এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের উসকানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদেরকে ব্যবহার করবে।

Nagad

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিবর্তনটা দৃশ্যমান হয়েছে, আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতা আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় এসেছি। আর ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

সরকার প্রতিটি জেলায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ’৭৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যে অন্যায়-অত্যাচার করা হয়েছে, আমরা তার প্রতিশোধ নিইনি। আমরা অন্যায়ের জবাব দিচ্ছি উন্নয়ন করে। আজ গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা একেবারে নাই বললেই চলে।

সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তার সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে, সেগুলো বেশি করে প্রচার করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন আ.লীগ সভাপতি।

একইসাথে উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে এবং আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনা দরকার, সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা-বিশ্বাসও অর্জন করতে হবে।

ওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করা দরকার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা মা ভাই সবাইকে হারানোর পর আওয়ামী লীগই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণ আমার সমস্ত শক্তি। তারাই আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা সবচেয়ে বেশি মানুষের পাশে থেকে অবদান রেখেছে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলে মিলে কাজ করবেন।

বিএনপির নির্বাচন মানে ‘দশটা হোন্ডা ২০টা গুণ্ডা নির্বাচন ঠাণ্ডা’ একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল ফারুখ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।