বাবার মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন, হাইকোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন স্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

বাবার করা মামলায় স্বামীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। স্বামীর জামিন চাইতে তিন মাসের শিশু সন্তান নিয়ে হাইকোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন গাইবান্দার এক নারী।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর চেম্বারে ওই নারীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। স্বামীকে জামিন করাতে আইনজীবীর স্মরণাপণ্ন হয়েছেন স্ত্রী।

বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, আমার স্বামীর জামিন করার জন্য ঘুরছি। আমার স্বামী বর্তমানে জেলে আছে। ছোট বাচ্চা নিয়ে শুধু কোর্টের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আইনি সহায়তা কখনো পাচ্ছি কখনো পাচ্ছি না। মামলাগুলোর কারণে আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একদম আমাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে গেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এর মধ্যে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন গাইবান্দার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০ দিন ধরে ওই নারীর স্বামী কারাগারে আছেন। স্বামীর জামিন চাইতে তিনি উচ্চ আদালতে ঘুরছেন। আজকে তার আবেদনের শুনানি হবে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভালোবেসে ২০১৮ সালে তারা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সে বিয়ে মানেনি ওই নারীর বাবা। পরে ওই মেয়ের স্বামীর বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেন মেয়েটির বাবা আব্দুস সালাম। মেয়েকে ধর্ষণ করেছে অভিযোগে একটি মামলা করেন তিনি। কিন্তু ভালোবেসে বিয়ে করেছেন দাবি করে ওই নারী তার স্বামীর জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছেন।

ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, যাকে ধর্ষণ করার জন্য সাজা হয়েছে তার জামিনের জন্যই সন্তান নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারে এসেছেন। তাদের সংসার আছে। তার স্বামী জেলে গিয়েছে আর স্ত্রী এসে জামিনের জন্য ঘুরছে। এই ধরনের মামলা চলতে দেয়াটা উচিত নয়। কারণ এতে হয়রানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চারটি মামলা হয়েছে একটির পর একটি। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

Nagad

ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর গাইবান্দার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন সাজা দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আরেক মামলায় ১৪ বছরের সাজা দেন আদালত। সূত্র- আরটিভি

সারাদিন/১৩ জুন/এমবি