সাংবাদিক নাদিম হত্যা: চেয়ারম্যান বাবু আটক

জামালপুর সংবাদদাতাজামালপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২৩

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু (ডানে)

জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়।

চিলাহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করে পুলিশ নিয়ে গেছে। তার বাড়ি তো জামালপুর। এখানে তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

অভিযুক্ত মাহমুদুল আলম বাবু বকশীগঞ্জ সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বাবু একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে সাংবাদিক নাদিমকে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য গোলাম কিবরিয়া সুমন, ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন, তোফাজ্জল, আয়নাল, শহীদ ও ফজলু। বাকিদের আটক করার চেষ্টা চলছে।

জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, সাংবাদিক নাদিমের খুনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু কিলিং মিশনের নায়ক। এই ঘটনায় আরও মাস্টারমাইন্ড থাকলে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

Nagad

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ জুন) অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশিগঞ্জ পাথাটিয়ায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সেসময় সহকর্মী মুজাহিদ তাদের আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা।

পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মী মুজাহিদ ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

নিহত গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম তার (গোলাম রাব্বানী) ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আগেও তিনি নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনই হামলা করে তাকে হত্যা করেছেন। তিনি এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সারাদিন/১৭ জুন/এমবি