জেবাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট: নির্মাতা দোদুল

বিনোদন ডেস্কবিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৩

উঠতি অভিনয়শিল্পী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করেছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস গিল্ড’। পরিচালককে অসহযোগিতা ও অসদাচরণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিনেত্রী জেবা জান্নাতকে আগামী ২০ জুন থেকে নিষিদ্ধ করেছে সংগঠনটি।

সম্প্রতি ডিরেক্টরস গিল্ড এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনটি এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এবার মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী জেবা।

জেবা জান্নাত গণমাধ্যমকে বলেন, “রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই তার পেছনে লেগেছেন তারা।”

অভিনেত্রী জেবার অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেছেন নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “উনি (জেবা) আমার সাথে কাজ করেন না কতদিন? উনাকে টিকটকে দেখে লাজুক (দোদুলের স্ত্রী) কাস্ট করেছে। এরপর জেবা লাজুককে রিকোয়েস্ট করেছে যাতে আমার নাটকে তাকে কাস্ট করি। আমি তো চিনতাম না তাকে। গভীরভাবে চিনিও না। সে রকম পরিচিতও না। লাজুকের মাধ্যমে তার সাথে পরিচয়। এরপর আমি তাকে নাটকে নিই। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এত বছরের ক্যারিয়ার আমার, আমি খুব নীরবে-নিঃশব্দে কাজ করি। আমি দোষী হলে সে কেন আমার বিরুদ্ধে এতদিন অভিযোগ করেনি?”

নির্মাতা দোদুল আরও বলেন, “লাজুক যেই নাটক বানিয়েছে, সেই নাটকের শুটিংয়ে তো আমি একদিন এক সেকেন্ডের জন্যও যাইনি। অনেকদিন জেবার সাথে আমার ফোনে কিংবা সামনাসামনি যোগাযোগ নেই। আমি আমার জীবন ও কাজকর্ম নিয়ে আছি। জেবা একাই আমাকে খারাপ বানিয়ে দিলেন! আর আমি এত বছর ধরে কাজ করি মিডিয়াতে, আর কেউ খারাপ বলল না! আমি তো তাকে চিনতামই না।”

Nagad

অভিনেত্রী জেবা জান্নাত বলেন, “সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের ‘মুসা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতাম। পরে তার স্ত্রী লাজুক ভাবির ‘পরিবার’ ধারাবাহিকে কাজ করেছি। তিনি ‘টু-লেট’ নামে একটি সিরিয়াল করার সময় আমার সাথে যোগাযোগ করেন। শুটিং ছিল ঢাকা থেকে অনেক দূরে একটি গ্রামে। তারা টাকা বাঁচানোর জন্য দুই দিনের কাজ এক দিনে করতেন। অনেক রাতে শুটিং শেষ হতো। বাসায় ফেরার জন্য আমাকে কোনো ট্রান্সপোর্টও দেওয়া হতো না।”

‘টু-লেট’ ধারাবাহিকে অভিনয়ে অস্বীকৃতি জানান অভিনেত্রী জেবা। তিনি বলেন, “আমি নতুন, মিডিয়ায় আমার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে- তারা এমন অনেক হুমকি দিয়েছেন আমাকে। তাই আমি তাদের সাথে কাজ বন্ধ করে দিই। প্রতিশোধ নিতে আমার বিরুদ্ধে ডিরেক্টরস গিল্ডে অভিযোগ দিয়েছেন তারা।”

দোদুলের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ এনে জেবা জান্নাত আরও বলেন, “ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির স্বামী সাজ্জাদ হোসেন দোদুল আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি তার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি, তাহলে সব ঠিক করে দেবেন। সে অফার গ্রহণ না করায় তারা আমার পেছনে লেগেছেন।”

সারাদিন/১৯ জুন/এমবি