ব্যবসায়ীদের বড় ছাড়, কিস্তির অর্ধেক দিলেই খেলাপি থেকে মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৩

মেয়াদি ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকতে আবারও সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১ এপ্রিল নিয়মিত থাকা ঋণের এপ্রিল–জুন সময়ের কিস্তির ৫০ শতাংশ দিলে তাকে আর খেলাপি করা যাবে না।

মঙ্গলবার (২০জুন) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

সার্কুলারটি সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য ও আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ফলে ঋণগ্রহীতারা তাদের ঋণের বিপরীতে প্রদেয় কিস্তির সম্পূর্ণ অংশ পরিশোধে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে উৎপাদন ও সেবা খাতসহ সব ধরনের ব্যবসা চলমান রাখা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নির্দেশনায় বলা হয়, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিদ্যমান অশ্রেণিকৃত মেয়াদি প্রকৃতির ঋণসমূহের (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণসহ) বিপরীতে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ জুনের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করলে ওইসব ঋণ ত্রৈমাসিকে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। মেয়াদি ঋণের জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্ব নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সমকিস্তিতে অথবা এক কিস্তিতে প্রদেয় হবে।

Nagad

নির্দেশনা মোতাবেক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণসমূহ যথানিয়মে শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত হবে। ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য কোনোরূপ দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না। পুনঃতফসিলের মাধ্যমে অশ্রেণিকৃত হিসেবে প্রদর্শিত ঋণের জন্যও এ সার্কুলারের আওতায় প্রদত্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে।

ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকসমূহ তাদের প্রদত্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে বর্ণিত সুবিধা দিতে পারবে। সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে যে পরিমাণ আরোপিত সুদ বা মুনাফা নগদে আদায় হবে তা আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৯(১)(চ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।