কারও কাছে দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারও কাছে দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কারও কাছে এ দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতা থাকতে পারতাম। এখন যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কারও কাছে লিজ দেবো তাহলে ক্ষমতা থাকার কোনো অসুবিধা নেই। আমার দ্বারা এটা হবে না। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেবো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এ গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে। তারা নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রির মুখলেকা দিয়ে আসতে চায়।

বুধবার (২১ জুন) দুপুরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী যখন নির্বাচন হওয়ার কথা, ঠিক সেই সময়ই নির্বাচন হবে, এটাই হলো বাস্তবতা। একটা গণতান্ত্রিক ধারা অনেক ত্যাগ, রক্ত ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা অব্যাহত রেখেছি। তো আপনারা কি চান না যে, এই গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকুক। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই তো আজ দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে যে একজন নির্বাচিত সরকার প্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকার প্রধান ধারায় প্রতিস্থাপিত হবে৷ এটা যেমন উচ্চ আদালতের রায়ে আছে এটা আবার আমাদের সংবিধানে আছে।

সরকার প্রধান বলেন, বিরোধীদলগুলো এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছে। অথচ একসময় খালেদা জিয়ার উক্তি ছিল, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা নিজেরাই এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে। এ পদ্ধতি তারাই নষ্ট করেছিল এবং তারা এটা বাদ দিয়েছিল। তারাই রাখেনি, এখন তারাই ফেরত চাচ্ছে।

Nagad

তিনি বলেন, সংবিধান ধারাকে জটিলতা সৃষ্টি কেন করছে? উদ্দেশ্যটা কী? তার মানে গণতন্ত্রের ধারা নষ্ট করা। নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করেছে, তিন হাজার আটশ গাড়ি পুড়িয়ে, তিন হাজারের ওপর মানুষ পুড়িয়েছে তারা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেনএলেম মোভমেন্ট এখনো সচল আছে। ওটা কিন্তু এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি, এখনো সম্মেলন অনুষ্ঠান হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশ সফর সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রধানমন্ত্রী গত ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে শনিবার (১৭ জুন) দেশে ফিরেন। এ ছাড়া ২৩-২৫ মে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।