আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২৩

সাংবাদিক হত্যার বিচার পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা
দেশে ১৫ বছরে খুন হন ৩০ জন সাংবাদিক। হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার ৩ হাজার ৬৪১ জন

কেউ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন, আবার কাউকে খুন করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। দেশে গত ১৫ বছরে ৩০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এসব খুনের ঘটনায় এখনো ন্যায়বিচার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। আসামিদের অনেকে এখন জামিনে মুক্ত। তাঁদের দাপটে কোনো কোনো ভুক্তভোগী পরিবার অসহায় বোধ করছে বলেও জানা গেছে। মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাংবাদিক হত্যার অন্তত চারটি ঘটনায় আসামিরা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী আসামিরা নানাভাবে মামলার তদন্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত রাখেন। বিচার বিলম্বিত হয়। আবার তদন্তের দুর্বলতার কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে যাওয়ার উদাহরণও আছে।এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক হত্যার বিচার পেতে স্বজনদের অপেক্ষা যেন আর শেষ হয় না। ‘সন্তানের খুনিদের বিচার দেখে মরতে চান’—এমন আকুতির কথা জানিয়েছেন ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের ৮০ বছর বয়সী মা নূরজাহান বেগম। জুলহাস উদ্দিন ছিলেন বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ধামরাইয়ের বারবারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, এই খুনে তিনজন জড়িত। তাঁদের মধ্যে একজন মোয়াজ্জেম হোসেন, তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখন জামিনে মুক্ত। সূত্র: প্রথম আলো

স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যে রেলে ঈদ যাত্রা শুরু

স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ঈদ যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথম মুহূর্তে কেনো ঝামেলা ছাড়াই দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারছেন যাত্রীরা। সকাল ৬টায় ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ট্রেনযোগে ঈদ যাত্রা শুরু হলো। আজ ৫৩ জোড়া ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করবে। এরপর সকাল ৬টা ২০ মিনিটে পারাবত এক্সপ্রেস, ৬টা ৪০ মিনিটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, সকাল ৭টায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ৭টা ১৫ মিনিটে এগারো সিন্ধুর প্রভাতী এক্সপ্রেস, ৭টা ৩০ মিনিটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ৭টা ৪৫ মিনিটে মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস, ৮টা ১৫ মিনিটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও সকাল ৯টায় রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় রংপুর এক্সপ্রেস।ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, প্রতিটি ট্রেনই যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও সুন্দর হচ্ছে। আমরা যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করব।এবারও ঈদ যাত্রায় মোট আসনের ২৫ শতাংশ আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

১২ বছরে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ
১ টাকা আয় করতে গিয়ে ২ টাকা ৭৮ পয়সা ব্যয় করছে রেল

পঁচিশ বছর আগেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ছিল একটি লাভজনক সংস্থা। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে সংস্থাটি যে টাকা আয় করত, তা দিয়ে ট্রেন পরিচালনার সব ব্যয় মেটানোর পরও কিছু টাকা উদ্বৃত্ত থাকত। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর সংস্থাটিতে এমন উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, লাভজনক থেকে ক্রমেই লোকসানি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে রেল। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে সংস্থাটির লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকায়। লোকসানের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে রেলওয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও। ২৫ বছর আগে যেখানে ১ টাকা আয় করতে গিয়ে ৯৬ পয়সা ব্যয় করতে হতো সংস্থাটিকে। সেখানে বর্তমানে ১ টাকা আয় করতে গিয়ে রেলওয়ের ব্যয় হচ্ছে ২ টাকা ৭৮ পয়সা। রেলের এ অবস্থার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অদক্ষতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নিজেদের সম্পদ ও জনবলের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছে না রেল। প্রাতিষ্ঠানিক অদক্ষতার পাশাপাশি দুর্নীতিও রেলের ধারাবাহিক লোকসানের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তারা। বিশেষজ্ঞদের এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত রেলপথ মন্ত্রণালয়ও। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক উপস্থাপনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রেলের দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করা না হলে, রেলের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবং যাত্রীসেবার মান না বাড়ানো হলে লোকসান কমানো কষ্টকর হবে।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

১.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশায় পটুয়াখালীতে ইপিজেডের পরিকল্পনা

১,৫৩০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ পাওয়ার ও ১,৮৩৬ মিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে পটুয়াখালীতে গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের নবম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ইতিমধ্যে ১,৪৭৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে।
অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এ বছরই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজে হাত দিতে চায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা বেপজা। বেপজার কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার পর থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বেড়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পটুয়াখালী ইপিজেড বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত
বড় দেশগুলোর প্রতিযোগিতা বাড়ছে

অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের ওপর কড়া নজরদারি করে থাকে পরাশক্তিধর দেশগুলো। রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থে আধিপত্য বজায় রাখার এ কৌশল বেশ পুরোনো। নিজেদের দখলে রেখে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকাসহ প্রায় সব অঞ্চলে সমানে ব্যবসা করে যাচ্ছে। চীনের উত্থান, ইউক্রেন সংকট ও ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলকে ঘিরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরাশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব-দ্বীপ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য দীর্ঘদিনের। এখন এ দৌড়ে যোগ হয়েছে চীন, রাশিয়া, জাপান, ভারতসহ বিশ্বের কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্র। চীনের উত্থানকে কেন্দ্র করে গত এক দশকের ওপর এ প্রতিযোগিতা আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ব এক জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছে। বিশ্বের ব্যবসার প্যারাডাইম শিফট বা দৃশ্যত পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। ফলে ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সুরক্ষিত করতে আধিপত্য বিস্তারে পরাশক্তিগুলো নিয়ে এসেছে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস), ভারত প্রশান্ত অর্থনৈতিক ফোরাম (আইপিইএফ), বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই), গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) এবং গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের (জিএসআই) মতো বৈশ্বিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম। সবাই দল ভারীর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। সূত্র: সমকাল

দুদকও সামলাতে হবে বিএনপিকে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর কয়েক মাস পরেই। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি এ সময়ে তাদের আইন-আদালত, জামিন ও বিচার কার্যক্রমের শুনানি নিয়েও ব্যস্ত থাকতে হবে। বিএনপিকে মোকাবিলা করতে হবে দুর্নীতি দমন কমিশনকেও (দুদক)।সম্প্রতি দুদকের মামলায় হাইকোর্টে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছর ও আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের সাজা বহালের রায়ের পর অস্বস্তি ও চিন্তা বেড়েছে বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীদের মধ্যে। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে এ আলোচনা চলছে তাদের মধ্যে। আইনজীবীদের ভাষ্য, বিএনপির মনোনয়নে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলা পর্যায়ের এমন ৩০ থেকে ৩৫ জন শীর্ষ সারির নেতা দুদকের মামলায় বিচার ও সাজার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
উচ্চ ও অধস্তন আদালতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মামলা পরিচালনা করেন এমন পাঁচজন এবং দুদকের মামলার পাঁচজনসহ মোট ১০ জন আইনজীবীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা হয়েছে দেশ রূপান্তরের এ প্রতিবেদকের। বিএনপির আইনজীবীরা প্রায় অভিন্ন সুরে বলেন, ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ১৫ বছর ধরে নেতাদের মামলা, জামিন, হাজিরা ও সাজা নিয়ে কঠিন ও অস্বস্তিকর সময় পার করছে। রাজনৈতিক কৌশল কিংবা মানসিক চাপে রেখে বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে সরকার দুদক ও আদালতকে ব্যবহার করবে, এটি অনুমিতই ছিল। দুদকের তৎপরতা তাদের ভাবিয়ে তুললেও তারা আইনি লড়াইয়ে থাকবেন বলে জানান। সূত্র: দেশ রুপান্তর

কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে মূলধনসংকটে ব্যবসায়ীরা

কয়েক বছরের পড়ে থাকা বকেয়া প্রায় ২২ কোটি টাকা পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন বগুড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আজহা যতই ঘনিয়ে আসছে, পাওনা টাকা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা ততই বাড়ছে। মূলধন হারিয়ে কমপক্ষে ১০০ ফড়িয়া ব্যবসায়ী চামড়া কেনাবেচা ছেড়ে দিয়েছেন। আর আসল ব্যবসায়ীরা আছেন মূলধনসংকটে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এবার বগুড়ায় অন্তত দেড় লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব। কিন্তু টাকা না পেলে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি দেখা দেবে। এতে চামড়ার বাজারে ধস নামার আশঙ্কা করছেন জেলার ব্যবসায়ীরা। এর পাশাপাশি লবণের বাড়তি দাম নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর ঈদুল আজহার সময় ধারদেনা করে মৌসুমি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা নগদ টাকায় চামড়া কিনলেও ট্যানারির মালিকদের কাছে তা দিতে হয় বাকিতে। সেই টাকা নিয়মিত শোধ না করায় প্রতিবছরই ট্যানারির মালিকদের কাছে পাওনা টাকা বাড়ছে চামড়া ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা বকেয়া পড়েছে করোনা মহামারির সময়। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বৈধ আমদানির জট খোলেনি, ব্যাগেজেও মাফিয়ার হাত

স্বর্ণ নীতিমালার সুফল আসেনি ঘরে। খাত-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এতে নীতিসহায়ক যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে সেগুলো অনেকটা কাগুজে সুপারিশেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। ঘোষণার পাঁচ ও সংশোধনীর প্রায় দুই বছরেও মাঠপর্যায়ে এ নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগ হয়নি। যদিও দেশের জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ, চোরাচালান বন্ধ, বৈধ আমদানির সুযোগ সৃষ্টিসহ ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় নীতিসহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে খাতটিকে রপ্তানি পর্যায়ে উন্নীত করতে ২০১৮ সালে এই স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। যা আরও সংশোধনীর মাধ্যমে ২০২১ সালে যুগোপযোগী করার চেষ্টা করা হয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের আমলাতন্ত্রের বিভিন্ন স্তরে চরম অসহযোগিতার ফলে এ নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় নীতিনির্ধারণীতে নিয়ন্ত্রক ও তদারক প্রতিষ্ঠানগুলোর যারা দায়িত্বে ছিলেন এবং রয়েছেন, সম্ভাবনাময় জুয়েলারি শিল্পের গভীরতা তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। অনেকের মধ্যেই এমন ধারণা রয়েছে, স্বর্ণের ব্যবসা মানেই খারাপ কিছু। তাই এর বিকাশ দমিয়ে রাখতে চান। আবার আরেকাংশ দেশে অবৈধপথে স্বর্ণ প্রবেশের বিষয়ে উৎসাহ জোগাচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে দেশে বৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করা হয়েছে স্বর্ণ নীতিমালায়। অথচ খাতটির হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চাহিদার ৯০ শতাংশ স্বর্ণ আসছে চোরাইপথে। কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায়, বৈধ পথে আমদানির নতুন উদ্যোগটি এখনো আগের ব্যাগেজ রুলের শক্ত বিকল্প হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। উচ্চহারের ভ্যাট, শুল্ক ও করভারই এর জন্য দায়ী। এতে স্বর্ণের কাঁচামালের উচ্চমূল্য তৈরি হয়েছে। ফলে ব্যবসার উৎপাদন ও পরিচালন খরচও বেড়েছে। আর এর বিপরীতে অবৈধ স্বর্ণের কারবার বড় হয়েছে। সূত্র- কাল বেলা

চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিকারের ব্যবস্থা কতটা কার্যকর

ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসায় অবহেলার শিকার হলে ক্ষতিগ্রস্তের প্রতিকার পাওয়ার যে ব্যবস্থাপনা, তা আসলে কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিকারের জন্য তদারকি সংস্থাটির নাম বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল বা বিএমডিসি। কিন্তু সেখানে অভিযোগকারীরা হতাশ।তারা বলছেন, অভিযোগ নিয়ে গেলে শুরুতেই তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়, তারা বিশ্বাস করতে চায় না আর অভিযোগ নিলেও শুনানিতে দেরি হয়।আইনের বলে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটির ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাও সীমিত। খুব বেশি শাস্তি তারা দিতেও পারে না।সেই সঙ্গে আবার অভিযোগ রয়েছে, বিএমডিসির কর্তাব্যক্তিরা সবাই চিকিৎসক। তারা একই পেশার অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনাগ্রহ দেখান।তবে বিধিবদ্ধ সংস্থাটির পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ স্বীকার করা হয় না। তাদের ভাষ্য, কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার একটি প্রক্রিয়ার বিষয়। সেগুলো শেষ করতে কিছুটা দেরি হয়। সূত্র: বিডি নিউজ

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের শান্তিরক্ষা মিশনে না নিতে জাতিসংঘকে অ্যামনেস্টির আহবান

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি নিয়ে তারা লিখেছে বাংলাদেশ তিন দশক ধরে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঠাচ্ছে। বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠায়, সেগুলোর একটি বাংলাদেশ।অতীতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিশেষ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিবেচনায় নিলে বিষয়টি উদ্বেগের। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জাঁ পিয়ের ল্যাক্রোয়ার প্রতি আসন্ন ঢাকা সফরে বাংলাদেশের বাহিনীগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।একই খবর নিয়ে দৈনিক কালবেলার শিরোনাম – মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের শান্তিরক্ষা মিশনে না নেওয়ার আহবান।এতে লেখা হয়েছে আসন্ন বাংলাদেশ সফরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।একইসঙ্গে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনে যারা জড়িত তারা যেন জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে যেতে না পারে সেটিও নিশ্চিতের আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সূত্র: বিবিসি বাংলা।