আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
ভরা মৌসুমে ইলিশ গেল কোথায়
জলবায়ু পরিবর্তন, নদী দখল-দূষণ ও পোনা নিধনে হুমকিতে এই মাছ
মেঘনা নদীবেষ্টিত দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা। একসময় এ জনপদের খ্যাতি ছিল ইলিশের সাম্রাজ্য হিসেবে। হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের আড়তে দৈনিক কোটি টাকার ইলিশ বেচাকেনা হতো। কিন্তু সে ঘাটে এখন হাহাকার। আষাঢ়ের শেষেও মিলছে না মাছ। ভরা মৌসুমে জোগান না থাকায় আড়তে ব্যবসায়ীরা হাত গুটিয়ে বসে থাকছেন। যে অল্প কিছু ইলিশ আসছে, তার দাম আকাশছোঁয়া। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা।
কেন ইলিশের এমন আকাল– এ নিয়ে কথা হয় বেশ কয়েকজন জেলের সঙ্গে। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের রনজিত চন্দ্র দাশ মেঘনায় মাছ ধরেন ২০ বছর ধরে। অভিজ্ঞ এই জেলে বলেন, এ বছর কম বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে পানির প্রবাহ কম। তাই ইলিশ সমুদ্র থেকে তার বিচরণ ক্ষেত্র পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। রনজিত চারজনকে নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে মাছ ধরেন। মার্চ-এপ্রিল টানা দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর ১ মে ইলিশ ধরা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পরও ইলিশ নেই জানিয়ে রনজিত বলেন, প্রতিবার মাছ ধরতে যেতে নৌকা, তেল, ইঞ্জিন আর সহকারীর খরচ মিলে ৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এখন যে হারে মাছ ধরা পড়ছে, তা বিক্রি করে পোষাচ্ছে না। শুধু নোয়াখালীর হাতিয়া নয়, ইলিশের ‘বাড়ি’ চাঁদপুরের চিত্রও একই। বরিশাল অঞ্চলেও এই মাছ আশানুরূপ ধরা পড়ছে না বলে স্থানীয় জেলেরা জানান। সূত্র: সমকাল


বিদ্যমান আইনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা জানতে চায় ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে জানতে চেয়েছেন নির্বাচনে তার মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী। তারা আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেছেন, বিদ্যমান আইনি কাঠামোতে দেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব কিনা। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে হঠাৎ কেন গণপ্রতিনিধিত্ব আধ্যাদেশ সংশোধন করা হলো। এই সংশোধনীর ফলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বেড়েছে না কমেছে। তারা জানতে চেয়েছেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সংশোধন হচ্ছে কিনা। বুধবার ইইউর সফরকারী দলটি সচিবালয়ে আলাদাভাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে। দুই বৈঠকেই ইইউ প্রতিনিধিদলে ছিলেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক রিকোর্ডো চেলেরি, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দিমিত্রি আইওনাও ও আইন বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা ডোস রামোস আলভেস। কোনো বৈঠকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়নি।তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, ইইউ প্রতিনিধিরা নির্বাচনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী তা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের মিডিয়া হচ্ছে প্রাইভেট। বাংলাদেশে বিটিভি একটি সরকারি চ্যানেল, আর ৩৫টি প্রাইভেট চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। সূত্র: যুগান্তর
সাপে কাটছে গ্রামে আর ওষুধ আছে জেলা শহরে
দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রদীপ কুমার রায়কে (২২) সাপে কাটে ২ জুলাই। তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভেদাইলে ছিলেন তখন। কিন্তু উপজেলায় সাপে কাটার কোনো চিকিৎসা পাননি তিনি। পরে ওই দিনই তিনি মারা যান। এখন বর্ষা মৌসুম। গ্রামের পথে-প্রান্তরে, কোথাও কোথাও বসতভিটার আশপাশে পানি জমেছে। ফলে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে আসায় গ্রামাঞ্চলে বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে। এতে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে সাপে কাটার রোগীর চিকিৎসা না থাকায় রোগীকে আসতে হচ্ছে জেলা শহরে। এতে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে।
মে থেকে সেপ্টেম্বর—এই মাসগুলোতে সাপে কাটার ঘটনা ঘটে বেশি। তবে কতজনের মৃত্যু হয়, এর সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাপ কামড়ালে তিনভাবে বিষ মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলে। হেমোটক্সিন হয় বা রক্তকে দূষিত করে, মায়োটক্সিন বা মাংসপেশিকে অকার্যকর করে দেয় এবং নিউরোটক্সিন; অর্থাৎ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। বিষধর সাপ কামড়ালে রোগীর শরীরে সময়মতো সাপে কাটার ওষুধ অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করতে হয়। সূত্র: প্রথম আলো
রাজধানীতে শোডাউন পাল্টাপাল্টি এক দফা
শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় : কাদের
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ জনসমুদ্র
মাঠের বিরোধী দল বিএনপির এক দফা দাবির বিপরীতে সরকারি দল আওয়ামী লীগও এক দফা ঘোষণা করেছে। দলীয় সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক দফার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, বিএনপির দফা একটি- ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ’। আমাদেরও দফা একটা- ‘শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়।’ গতকাল বিকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার সরকারের সময়েই নির্বাচন হবে। তিনি ছাড়া (শেখ হাসিনা) কোনো নির্বাচন হবে না। তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচন। সেখানে জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। আওয়ামী লীগের গতকালের শান্তি সমাবেশ লাখো লোকের উপস্থিতিতে এক পর্যায়ে ‘জনসমুদ্রে’ রূপ নেয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
৭২ বিলিয়ন ডলারের উচ্চ রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে জ্বালানি ও ডলার সংকটের সমাধান দরকার: বলছেন ব্যবসায়ীরা
৭২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রাকে ‘উচ্চাভিলাষী’ বলে বর্ণনা করেছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। একইসঙ্গে তাদের আশঙ্কা যে, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলার সংকট দূর নাহলে – সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের চেয়েও চেয়েও রপ্তানি কমে যাবে। তারা বলেছেন, ডলার সংকটের কারণে যদি এলসি খোলা না যায়, এবং গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে যদি সক্ষমতা অনুযায়ী শিল্প-কারখানা সচল রাখা না যায়, তাহলে গত অর্থবছরের রপ্তানির তুলনায় ১১ শতাংশের বেশি লক্ষ্যমাত্রা কীভাবে অর্জন হবে?এছাড়া, আগামী নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অনিয়শ্চতা সৃষ্টি না হওয়া এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি নতুন বা অপ্রচলিত বাজারে (নন-ট্রাডিশনাল মার্কেট) রপ্তানি বাড়ানোর জোর দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে?
দেশে চলতি বছর ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের কথা গতকাল জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ২৪৬ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এ নিয়ে বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৪৩ জনে। ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের নিশ্চিতকৃত সংখ্যা ৮৮। সে অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫ দশমিক ৪৫ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যানে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এ বছর বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি। বিষয়টিকে চরম উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছেন রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিদরা। তাদের ভাষ্যমতে, রোগটির বাহক এডিস মশা এরই মধ্যে আচরণ বদলে ফেলেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর লক্ষণেও দেখা যাচ্ছে পরিবর্তন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হতেও দেখা যাচ্ছে কম। যদিও এর শক সিনড্রোম এখন আরো প্রাণঘাতী রূপ নিয়েছে। শনাক্তের আগেই মৃত্যুর ঘটনাও শোনা যাচ্ছে অনেক। আবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও হিসাব প্রকাশ করছে শুধু হাসপাতালে ভর্তিভিত্তিক। সূত্র: বণিক বার্তা।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে?
চলতি বছর ইসিডিসির দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় চলতি বছর ৪৪ হাজার, ফিলিপাইনে ৪০ হাজার, শ্রীলংকায় ৩৭ হাজার, ভিয়েতনামে ৩২ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া সিঙ্গাপুর, আফগানিস্তান, লাওস, কম্বোডিয়া, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভানুয়াতু, মালদ্বীপসহ অন্তত ১০০টি দেশে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও চলতি বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিসংখ্যানও বলছে, চলতি বছরের মতো এত রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা আগের বছরগুলোয় দেখা যায়নি। এতদিন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কেন্দ্রীভূত ছিল রাজধানীতে। এখন রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। এ বছর রোগীরা চিকিৎসার আওতায় দেরিতে আসছে বলে মৃত্যু বেশি হচ্ছে—এমন মন্তব্য করেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘রোগীরা শেষ মুহূর্তে চিকিৎসার আওতায় আসছে। আর যে রোগী ও মৃত্যু সংখ্যা আমরা জানছি তা হাসপাতালভিত্তিক। এর বাইরে যেসব রোগী রয়েছে এবং মৃত্যু হচ্ছে তা হিসাবের বাইরে থাকছে। কৌশলগত পর্যবেক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। ব্রাজিল, বলিভিয়া, পেরুতে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তারা কখনো কখনো ডব্লিউএইচও ঘোষিত রেড জোনের মধ্যে পড়েছিল। আমরাও সেদিকে যাচ্ছি। আগামীতে ডেঙ্গু আরো মারাত্মক হতে পারে। আমাদের দেশে ওইসব দেশের থেকে রোগী কম হলেও তাদের চেয়ে মৃত্যুহার বেশি। সারা দেশে ডেঙ্গু যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা কঠিন হবে।’ সূত্র: বণিক বার্তা।
এডিসের লার্ভা : ঢাকা উত্তর-দক্ষিণে ৭ লাখ টাকা জরিমানা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের এডিস মশা দমন অভিযানে বিভিন্ন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আদায় করেছে এক লাখ ২৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দুই সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস ভবনে যাচ্ছে। যেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে জরিমানা করা হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, বুধবার (১২ জুলাই) করপোরেশনের আওতাধীন পরীবাগ, শাগবাগ, উত্তর মুগদা, দক্ষিণ মুগদা, ঝিগাতলা, বাবুবাজার, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, পূর্ব নন্দীপাড়া, পূর্ব শেখদি ও কুতুবখালী এলাকায় অভিযানে ২৬৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১২ মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সূত্র: কাল বেলা
‘বিদ্যমান আইনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা জানতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন’
বিদ্যমান আইনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা জানতে চায় ইইউ – এই শিরোনামে খবর দিয়েছে দৈনিক যুগান্তর। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা নির্বাচনে তার মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ারের কাছে দেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন।এছাড়া হঠাৎ কেন নির্বাচনের কয়েক মাস আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আধ্যাদেশ সংশোধন , সংশোধনীর ফলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সংশোধন হচ্ছে কিনা, ইইউর প্রতিনিধিদের এমন প্রশ্নের কথাও বলা হচ্ছে। কই বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলো বলছে ‘আইনি কাঠামো সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ইইউ’ এমন শিরোনামে প্রথম আলো বলছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিদ্যমান আইনি কাঠামো ‘যথেষ্ট’ কিনা তা জানতে চেয়েছে ইইউ পর্যবেক্ষক দল। ইইউ প্রতিনিধি দল অবশ্য এসব নিয়ে সরাসরি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেনি। সূত্র; বিবিসি বাংলা।
পাসওয়ার্ড সুরক্ষায়ও উদাসীন সরকারি অনেক কর্মকর্তা
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের শোরগোলের মধ্যে সরকারি আরও কয়েকটি ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ার খবর আসছে।সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেবল ওয়েবসাইট নির্মাণ ও তদারকিতেই গাফিলতি থাকছে না, সরকারি দপ্তরের অনেকেই আইডি-পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা রক্ষা করছেন না। তাতে অপরাধমূলক ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও। রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কর্মকর্তাদের কেউ কেউ তথ্য সুরক্ষার গাইডলাইনগুলো ঠিকমত অনুসরণ করছেন না। যে কারণে এ রকম ঘটনা ঘটছে।”সম্প্রতি পুলিশের ডেটাবেইসের আইডি-পাসওয়ার্ড ডার্কওয়েবে বেচাবিক্রির খবর চাউর হয়। তবে ঘটনাটি তেমন নয় বলে দাবি করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মনজুর রহমান।তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইডি-পাসওয়ার্ড ডার্কওয়েবে বিক্রির কোনো ঘটনা ঘটেনি।” সূত্র: বিডি নিউজ
মাথাপিছু ঋণ ৯৫ হাজার ১৯ টাকা
অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি খাতে সরকারের ঋণ বেড়েই চলছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে ঋণের টাকায়। অনেক সময় পরিচালন ব্যয় মেটাতেও ঋণ করতে হচ্ছে সরকারকে। যদিও জিডিপির তুলনায় সরকারের ঋণ এখনো বিপজ্জনক সীমায় যায়নি। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ঋণ-জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশ এখনো ভালো অবস্থানে আছে। তবে কম রাজস্ব আয় ও ডলার সংকটের কারণে ঋণ পরিশোধ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঋণের সুদ পরিশোধেই বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মাথাপিছু ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার টাকারও বেশি।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণ মিলিয়ে চলতি বছরে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। দেশের জনসংখ্যার বিবেচনায় নিলে মানুষের মাথাপিছু ঋণ দাঁড়ায় ৯৫ হাজার ১৯ কোটি টাকা। অবশ্য মাথাপিছু ঋণের তুলনায় আয় এখনো বেশি। দেশের মানুষের বর্তমান বাৎসরিক মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার ৪০ টাকা। অবশ্য আয় বেশি থাকলেও ঋণের ঝুঁকিই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কম রাজস্ব আয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশের বাণিজ্য ঘাটতি সরকারের ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা কমিয়েছে। যদিও বাংলাদেশ কখনই খেলাপি হয়নি। তবে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ঋণগ্রহণের পরিমাণ যে হারে বাড়ছে, তাতে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারপরও বর্তমানের সংকট কাটাতে সরকার আরও বেশি বিদেশি ঋণের দিকে ঝোঁক বাড়িয়েছে। এতে দেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণ বাড়ছে গাণিতিক হারে।পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মাত্র চার বছরের ব্যবধানে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। আর ২০১৬ সালের তুলনায় বর্তমানের এ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৭৯ শতাংশ। সূত্র; দেশ রুপান্তর