আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
অধরা ইয়াসমিনসহ সাংবাদিকদের হয়রানি করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান সিপিজের
সংবাদ প্রকাশের জেরে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির ঢাকা কার্যালয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত বন্ধে দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। সে সঙ্গে সিপিজে সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে। এ আহ্বান জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে সিপিজে। বিবৃতিটি সিপিজের এশিয়া শাখার টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করা হয়েছে।চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে গত ১৩ মে সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন ও তাঁর সোর্সের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এর আগে গত ৩০ মে আরটিভিতে অধরার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। ওই প্রতিবেদনে তিনি রাজারবাগ দরবার শরীফ ও এর নেতা শাকেরুল কবিরের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা প্রকাশ করেন। এ কারণে সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি চট্টগ্রামের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ বিষয়ে মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তি নাম গোপন রাখার শর্তে সিপিজের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্র: প্রথম আলো


উন্নয়ন প্রকল্পের ৪৪ শতাংশই বৈদেশিক ঋণে
বর্তমান সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন একটি বড় অগ্রাধিকার প্রকল্প। সে বিবেচনায় সরকার প্রতিবছরই হাতে নিয়েছে বড় আকারের উন্নয়ন বাজেট। সদ্যোবিদায়ি অর্থবছরে সরকার যে উন্নয়ন বাজেট হাতে নিয়েছিল তার ৪৪ শতাংশই ছিল বৈদেশিক ঋণের অর্থের। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ ছিল দুই লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯৩ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থসংকটে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে দেখা যায়, মোট ৭০ হাজার কোটি টাকার বিদেশি ঋণের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। আর চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সরকারের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।এতে বৈদেশিক সহায়তা ধরা হয়েছে ৯৪ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ি অর্থবছরের চেয়েও ২৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। বিদায়ি ও চলতি অর্থবছরের বাজেট এবং একনেক সভার অনুমোদিত প্রকল্পগুলো বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ১৮টি একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র: কালের কণ্ঠ
সংলাপ মধ্যস্থতায় নেই আমেরিকা
অবাধ সুষ্ঠু সংঘাতমুক্ত নির্বাচন নিয়ে মার্কিন আন্ডার-সেক্রেটারির দিনভর বৈঠক, ভীতিহীন সাংবাদিকতা ও মুক্তচিন্তার সুশীলসমাজের ওপর জোর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলেননি
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু গতকাল দিনভর সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক করে কাটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দিন শুরু করা মার্কিন প্রতিনিধিরা একে একে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র সচিব ও সুশীলসমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিটি বৈঠকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত শান্তিপূর্ণ আগামী সংসদ নির্বাচনের ওপর জোর দিলেও মার্কিন প্রতিনিধিরা কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ আনেননি। দুপুরে উজরা জেয়া আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে সরাসরি জানিয়েছেন, সবাই সংলাপ চান। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ধরনের সংলাপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত হবে না। তবে তিনি ভীতিহীন সাংবাদিকতা ও মুক্তচিন্তার সুশীলসমাজের বিষয়ে জোর দিয়েছেন, আলোচনা করেছেন। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে উজরা জেয়া গণমাধ্যমের সামনে আসেন। তিনি প্রথমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং পরে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেন। লিখিত বক্তব্যে মার্কিন আন্ডার-সেক্রেটারি বলেন, দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখতে চায়। মূলত বৈশ্বিক মানবাধিকার নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ঢাকায় দফায় দফায় বৈঠক উজরা জেয়ার
সংলাপের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
দুই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায়ের প্রত্যাশা * সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা
নির্বাচন এবং শাসন ব্যবস্থায় বাংলাদেশির ব্যাপক অংশগ্রহণের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের প্রত্যাশার বার্তা দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদল। যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলটি এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংলাপের প্রত্যাশার কথাও ব্যক্ত করেছে। তারা বলেছেন, আমরা সংলাপের পক্ষে। তবে সংলাপের সঙ্গে আমরা যুক্ত নই। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর মধ্যাহ্নভোজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের প্রধান উজরা জেয়া। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।বৈঠকে তাকে র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র সচিব মোমেন। সচিব বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলী কৌরসহ বিভিন্ন খাতের কর্মকর্তারাও রয়েছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা নির্বাচন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উজরা জেয়া বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের স্বীকৃতি দিতে আমি এখানে এসেছি। যুক্তরাষ্ট্র এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় করতে চায়। অবাধ ও মুক্ত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
বাড়তি করের খড়্গে তলানিতে জমির নিবন্ধন
জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনে উৎসে কর বাড়িয়ে দ্বিগুণ করায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আবাসন খাতে। অনেক ক্রেতা জমি ও ফ্ল্যাটের টাকা জোগাড় করলেও নিবন্ধনের টাকা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ কেউ জমি কেনার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছেন। এতে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়গুলোতে জমির দলিল নিবন্ধন অনেক কমে গেছে। আগে একেকটি সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দিনে ৭০ থেকে ১০০টি দলিল নিবন্ধন হলেও এখন হচ্ছে ১০-১৫টি। ফলে সরকারের রাজস্ব কমার পাশাপাশি দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প বিক্রেতাদের আয়ও কমেছে। গত কয়েক দিন ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রি অফিস, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ কয়েকটি সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ঘুরে কর্মকর্তা, দলিল লেখক ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এমনিতেই আবাসন খাতে খারাপ অবস্থা চলছিল। বাড়তি করের বোঝায় পরিস্থিতি শোচনীয় হবে। ঢাকা বিভাগীয় রিয়েল এস্টেট গ্রুপের (ডিডিআরইজি) মহাসচিব বাবুল সামিরুল্লাহ বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আবাসন খাতে আগেই কাস্টমার ছিল না, এখন অবস্থা আরও খারাপ। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
সংলাপ চাই হস্তক্ষেপ নয়
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ নির্বাচন সামনে রেখে মতবিরোধ নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের প্রত্যাশা জানিয়েছেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সংলাপ চাই। তবে এ বিষয়ে আমাদের হস্তক্ষেপ থাকবে না। বাংলাদেশে কখন নির্বাচন হবে, সেটা বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে।’গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে উজরা জেয়া এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা সবাই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেন, শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক সংস্থা, নির্বাচনে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ এবং সুশাসনের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ। গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ, যেখানে সব বাংলাদেশি উন্নতি করবে, সেটাকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত মে মাসে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না। নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর দেশটির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছেন উজরা জেয়া।গতকাল সকালে উজরা জেয়ার নেতৃত্বে সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর তারা সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, নির্বাচনী আইন নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে। দুপুর দেড়টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসে। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন উজরা জেয়া ও মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় জেয়া সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভীতি, প্রতিশোধ ও ভয়ভীতিহীনভাবে সংবাদ পরিবেশনে সক্ষম হতে হবে। আর এর জন্য গণতন্ত্রে নাগরিক সমাজের কথা বলার জায়গা থাকতে হবে।’আন্ডার সেক্রেটারি উজরা বলেন, মুক্তভাবে মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। ভবিষ্যতের সমৃদ্ধি নির্ভর করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। কারণ যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সমর্থন করে।গত বুধবার ঢাকায় একই সময়ে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও সমাবেশ সম্পর্কে উজরা বলেন, ‘দুই রাজনৈতিক দল যে সমাবেশ করেছে, তা আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি এবং সেখানে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। এটা অবশ্যই একটা ভালো অনুশীলন এবং আমরা এটারই পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর
ডেঙ্গু রোগীর উপচে পড়া ভিড় হাসপাতালে, ফাঁকা নেই মেঝেও
৯ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন মান্ডা এলাকার বাসিন্দা তাসকিনা বেগম (৪০)। মঙ্গলবার টেস্টের পর ডেঙ্গু শনাক্ত হলে ভর্তি হন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার পাশে বসে ছিল তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে তাসকিন। এ মাসের শুরুতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি ছিলো সেও। মুগদা হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মহিলা ওয়ার্ডে কথা হয় তাসকিনা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, “এর আগে আমার দুই ছেলের ডেঙ্গু হয়েছিলো। ওরা সুস্থ হওয়ার পর আমার জ্বর আসলো। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় এই এক মাসে আমার ২৫ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে।”
”আমাদের এলাকার বেশিরভাগ মানুষেরই ডেঙ্গু হয়েছে। আমার পাশের বেডে এখন যে আছে সেও আমাদের পাড়ার। রাস্তায় মশার ওষুধ ছিটায় আমরা শুধু কেরোসিনের গন্ধ পাই, কিন্তু গলিতে ওষুধ ছিটায় না,” তাসকিনা বেগম। সকিনা বেগমের মতো আরো শত শত ডেঙ্গু রোগীর ভিড় মুগদা হাসপাতালে। ওয়ার্ড ছাড়িয়ে তিন তলার সিঁড়ির সামনে পর্যন্ত মেঝে জুড়ে নারী ডেঙ্গু রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
হাজার হাজার নারীকে বন্ধ্যা করার অভিযোগে কেন একজন ডাক্তারকে ফাঁসানো হলো?
এমন কোনো বড়ি কি আছে যা খাইয়ে কোনো নারীকে বন্ধ্যা করে দেয়া সম্ভব? অথবা নারীর প্যান্টি-র ভেতরে কোনো জেল লাগিয়ে দিয়ে তা কি সম্ভব? আপনি কি শুনেছেন কোনো ডাক্তার সিজারিয়ান করে বাচ্চা প্রসব করানোর সময় গোপনে কোনো নারীকে বন্ধ্যা করে দিচ্ছেন? কিন্তু শীলংকার মুসলিম বিদ্বেষী কট্টর বৌদ্ধদের মধ্যে এমন সব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শেয়ার হচ্ছে।এমন কথা ছড়ানো হচ্ছে যে মুসলিমরা তাদের জনসংখ্যার অনুপাত বাড়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারীদের বন্ধ্যা করে দিচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুরুনেগালার একজন ডাক্তার এই মনগড়া ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রধান শিকার হয়েছেন।”আমি মুসলিম, এবং আমার বিরুদ্ধে ৪,০০০ বৌদ্ধ নারীকে গোপনে বন্ধ্যা করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে,” বিবিসিকে বলেন শহরের একজন সার্জন ড. মোহামেদ শফি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ – সিজারিয়ান করে বাচ্চা প্রসব করানোর সময় তিনি ঐ নারীদের ফেলোপিয়ন টিউব এমনভাবে চেপে দিতেন যাতে ঐ নারীদের আর বাচ্চা না হতে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
সুদানে গণকবরে ৮৭ মৃতদেহ, আরএসএফকে দায়ী করেছে জাতিসংঘ
সুদানে একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে যেখানে অন্তত ৮৭টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। দেশটির আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ তাদের হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ। গত এপ্রিল মাস থেকে সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফ এর তীব্র লড়াই চলছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানের পশ্চিম দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল-জেনেইনার ঠিক বাইরেই অগভীর ওই গণকবরটি খুঁজে পাওয়া গেছে।
গণকবর থেকে উদ্ধার বেশিরভাগই মাসালিৎ সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। আল-জেনেইনার দখল নিতে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-র মধ্যে তুমুল লড়াই চলেছে। যদিও আরএসএফ এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা সম্প্রতি পশ্চিম দারফুরে কোনো ধরণের লড়াইয়ে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। সূত্র; বিডি নিউজ
রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে
চলতি অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রাকে কিছুটা উচ্চাভিলাষী মনে করেন রপ্তানিককারক, উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। কারণ রপ্তানি খাতে পুরোনো চ্যালেঞ্জের সঙ্গে নতুন অনেক চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। ব্যাংক ঋণে সুদের হার বেড়েছে। আগামী ডিসেম্বরে নতুন বেতন কাঠামোয় শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসের দাম বেড়েছে। প্রতি মাসেই বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। এরপরও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। এ কারণগুলো রপ্তানি সক্ষমতায় প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে রপ্তানি বাজারে চাহিদা কমছে। এ বাস্তবতায় রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া তারা খাতভিত্তিক সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সমকালকে বলেন, রপ্তানি খাতে পুরোনো চ্যালেঞ্জের সঙ্গে নতুন অনেক চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। ব্যাংক ঋণে সুদের হার বেড়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে নতুন ওয়েজ বোর্ডে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে। কাস্টমস, ভ্যাট এসব নিয়ে হয়রানি আছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম মাসে বাড়ছে। এরপরও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। এ রকম কারণগুলো রপ্তানি সক্ষমতায় প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে রপ্তানি বাজারে চাহিদা কম। সূত্র; সমকাল