আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৩

দুই দলই ইইউর সমর্থন চায়
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো যায় কি না, তা বুঝতে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে ইইউ।

বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোনো পর্যবেক্ষক আসেননি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ওই দুটি নির্বাচন নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে এবার জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকার একধরনের চাপে পড়েছে। বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থা নিয়েও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আন্দোলন করছে। দেশের ভেতরে ও বাইরে একধরনের চাপের মুখে সরকার এবার ইইউসহ বিদেশি পর্যবেক্ষক এনে নির্বাচন করতে চায়। এটি সরকারের একটি কৌশল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন। একইভাবে তাঁরা মনে করেন, বিএনপিও কৌশলের অংশ হিসেবে ইইউ প্রতিনিধিদের এই সফরকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ, নিজেদের দাবির প্রতি সমর্থন আদায়ে এটিকে একধরনের সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে দলটি। কার্যত দুই দলই নিজেদের অবস্থানের প্রতি ইইউর সমর্থন চায়।
সরকারের আমন্ত্রণে ইইউর প্রতিনিধিদল এখন ঢাকা সফর করছে। গতকাল শনিবার তারা আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ পাঁচটি দলের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেছে। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো না পাঠানো প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে পরিস্থিতি বোঝার জন্য এই সফর করছে ইইউ। আলোচনায় প্রতিনিধিদল মূলত নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে দলগুলোর অবস্থান ও বক্তব্য শুনছে। ইইউ প্রতিনিধিদের এই সফর ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক কতটা গুরুত্ব বহন করে, সেই প্রশ্নও আলোচনায় রয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

ইইউ’র সঙ্গে পাঁচ দলের পৃথক বৈঠক
অনড় অবস্থানে সবাই
সিদ্ধান্ত হলে ইইউ ১৮০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে

সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে নিজ নিজ দাবিতে অনড় থাকলেন ৫টি রাজনৈতিক দলের নেতারা। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী এবং আমার বাংলাদেশ পার্টি নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। এ পরিস্থিতিতে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আদৌ সম্ভব কি না-ইইউ প্রতিনিধি দল এমন প্রশ্নও তুলেছে বলে জানিয়েছেন এসব বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। তারা বলেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে দলগুলো যদি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে, সে ক্ষেত্রে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে কি না এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেন ইইউ প্রতিনিধিরা।
এক নেতা জানান, সভায় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয় সিদ্ধান্ত হলে বাংলাদেশের নির্বাচনের সময় ইইউ ১৮০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে। তবে এজন্য বাংলাদেশ সরকারকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে এবং সময়মতো ভিসা দিতে হবে। এ ছাড়া আগামী ২৩ জুলাই ইইউ’র মানবাধিকার সংক্রান্ত আরও একটি দল বাংলাদেশে আসছে বলে সভায় জানানো হয়।শনিবার ধারাবাহিকভাবে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউর প্রাক-নির্বাচনি অনুসন্ধানী প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সূত্র: যুগান্তর

রাজনীতির পাশাপাশি দ্বিতীয় চাকরিতে ঝুঁকছেন ব্রিটিশ এমপিরা
জনগণের চেয়ে বেশি আপন টাকা
বক্তৃতা করেই প্রতি ঘণ্টায় উপার্জনের ২১ হাজার ৮২২ পাউন্ড ঘরে তোলেন বরিস * ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭৭০ পাউন্ড আয় করেন লিজ ট্রাস

শুধু রাজনীতিতে আর পোষাচ্ছে না। সে কারণেই রাজনীতির পাশাপাশি ‘দ্বিতীয় চাকরি’তে ঝুঁকছেন ব্রিটেনের এমপি-মন্ত্রীরা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দ্বিতীয় চাকরি বা অর্থের পেছনে ছুটতে গিয়ে নিজেদের নির্বাচিত আসনে যাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন এমপিরা। জনগণের চেয়ে টাকাই (স্থানীয় মুদ্রায় পাউন্ড) এখন বেশি আপন তাদের। ‘ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাকাউন্টস প্রজেক্ট’ নামে পরিচালিত ব্রিটেনের স্কাই নিউজ টেলিভিশন ও টর্টোইজ মিডিয়ার যৌথ অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রচার হতেই শোরগোল পড়ে গেছে পুরো ব্রিটেনে। দ্বিতীয় চাকরিবিলাসী হেভিওয়েট তালিকার বিরাট অংশই দখল করে আছেন দেশটির ক্ষমতাসীন টোরি দলের এমপি-মন্ত্রীরা। আর এতেই খ্যাপে উঠেছেন বিরোধী লেবার পার্টির হর্তাকর্তারা। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ভবনটি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার শহরে অবস্থিত বলেই ‘ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাকাউন্টস প্রজেক্ট’ নাম দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনটির।চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এ প্রতিবেদনে ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে বাড়তি আয়ে ঝুঁকে এমপি-মন্ত্রীদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ক্ষমতাসীন-বিরোধী দলের লম্বা তালিকায় দেখা গেছে, টোরি এমপিদের একটি প্রভাবশালী দল দ্বিতীয় চাকরিতে লাখ লাখ পাউন্ড উপার্জন করছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ হারে উপার্জন করা এমন ১০ শীর্ষস্থানীয় এমপির মধ্যে ৯ জনই কনজারভেটিভ (টোরি পার্টি)। ১ জন ছিলেন এএনপি’র রাজনীতিবিদ। প্রতিশ্রুতির বহর নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচনি এলাকার জনগণকে সেবা দেওয়ার পরিবর্তে অতিরিক্ত উপার্জনের নেশায় মত্ত হয়ে পড়েছেন তারা। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

শেখ হাসিনাকে ব্যবসায়ীদের সমর্থন
বদলে যাওয়া দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ব্যবসাবান্ধব সরকার’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সেই বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর সেই দায়িত্ব আপনাদের ওপর। কারণ বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়েজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলনে’ তিনি এসব কথা বলেন। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যাসহ ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী ধৈর্যসহকারে শোনেন। সম্মেলনে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন ব্যবসা সংগঠনের নেতারা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। তাঁরা আবারও শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

গুরু পাপে লঘু শাস্তি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
অন্তরা ইবির পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী (সেশন ২০১৭-১৮)। বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন– চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের হালিমা আক্তার ঊর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ইসরাত জাহান মিম (সেশন ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন ২০২০-২১) এবং একই বিভাগের একই সেশনের মোয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি ছিলেন, অন্যরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। এ ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে সাড়ে চার ঘণ্টা নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, মারধর এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ঘটনা বাইরে প্রকাশ করলে তাঁকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। সূত্র; সমকাল

সিঙ্গার ও রেডিসনের ৫৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ও পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন পৃথকভাবে ৫৬ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে গৃহীত রেয়াত গ্রহণ করে সিঙ্গার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর সেনা হোটেল ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের পাঁচ তারকাবিশিষ্ট হোটেল রেডিসন ফাঁকি দিয়েছে ২২ কোটি ২৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকার ভ্যাট। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।তথ্য-উপাত্ত বলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিঙ্গারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদের নিরীক্ষায় অপরিশোধিত ভ্যাট ও উৎসে ভ্যাট বাবদ ১৪ কোটি ২৬ লাখ ২৮ হাজার ৬৯২ টাকা ফাঁকি উদ্‌ঘাটিত হয়েছে। একই সময়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে ২ লাখ ২১ হাজার ১০৮ দশমিক ৮০ টাকা রেয়াত গ্রহণের তথ্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে গৃহীত রেয়াত ও অপরিশোধিত মূসক/উৎসে মূসক বাবদ ২০ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার ৩ টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গার লিমিটেড ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর কর মেয়াদের তিন ইউনিটের সমন্বিত নিরীক্ষায় উদ্‌ঘাটিত বকেয়া বাবদ মোট ৩৪ কোটি ৬০ লাখ ১ হাজার ৮০৩ দশমিক ৮০ টাকা ফাঁকির তথ্য উঠে এসেছে। এই টাকা আদায়ের জন্য বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট) পক্ষ থেকে এনবিআরকে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

অনড়

আওয়ামী লীগ-নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আলাদা এখন; আইন হওয়ায় সিইসি নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই; ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন; বিএনপির দেওয়া তথ্য যাচাই করার আহ্বান-বিএনপি-এখন পর্যন্ত ১১টি নির্বাচনের ৪টি হয়েছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এসব নির্বাচন ছিল গ্রহণযোগ্য; ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল সবচেয়ে বিতর্কিত; নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ মামলা। এদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়-দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এমন নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচনব্যবস্থাকে টেকসই ও আমূল সংস্কারের কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই করেছেন। আওয়ামী লীগই করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-তথ্যানুসন্ধানী দলকে এসব কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। সূত্র: দেশ রুপান্তর

সিঙ্গারের ভ্যাট ফাঁকি ৩৪ কোটি টাকা
গোয়েন্দা প্রতিবেদন

বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও ঠিকমতো সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করছে না বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে ৩৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন ভ্যাটের নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে বড় অঙ্কের এই ফাঁকির চিত্র উঠে এসেছে। শুধু রাজস্ব ফাঁকি নয়, অবৈধভাবে রেয়াতি সুবিধাও নিয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশ। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, দেশে ব্যবসারত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঠিকমতো ভ্যাট পরিশোধ করছে কি না বা কোনো ধরনের ভ্যাট ফাঁকি হচ্ছে কি না—বিষয়গুলো মনিটরিং করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করে। আর এনবিআরের এই প্রতিষ্ঠানের এক সমন্বিত নিরীক্ষায় সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩৪ কোটি টাকা ফাঁকির চিত্র উঠে এসেছে। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে এই ফাঁকি দেয় সিঙ্গার বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির তিনটি ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর রয়েছে। আর এই তিন নিবন্ধনের বিপরীতে সরকারের এই রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম ধাপে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা দক্ষিণের অধীনে করা হয়। এই প্রতিবেদনে সিঙ্গার বাংলাদেশ ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকার ফাঁকি উদ্ঘাটিত হয়। পরে ভ্যাট আইনের ৫৫ ধারায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ভ্যাট আইন অমান্য করে ২ লাখ ২১ হাজার ১০৮ টাকার অবৈধ রেয়াত নিয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশ। পরে আরেকটি নিরীক্ষা করা হলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উৎসে মূসক ও অবৈধ রেয়াত নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এই নিরীক্ষায় আরও ২০ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার টাকার ভ্যাট না দেওয়ারও চিত্র উঠে আসে এই প্রতিবেদনে। সবশেষ ভ্যাট গোয়েন্দার সমন্বিত নিরীক্ষা মোট ৩৪ কোটি ৬০ লাখ ১ হাজার ৮০৩ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ভ্যাট। সূত্র: কালবেলা।

আরপিও: ৯১ অনুচ্ছেদ নিয়ে ‘অস্পষ্টতা’ দূর করতে অংশীজনদের বোঝাবে ইসি

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজ ও সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২০ জুলাই অনুষ্ঠেয় এ মতবিনিময় সভায় আসতে অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। ৯১ অনুচ্ছেদের একটি ধারা নিয়ে অনেকে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা করছে, অনেকে ভিন্নতর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এটা নিয়ে যে অস্পষ্টতা, তা দূর করতে অংশীজনদের কাছে ব্যাখ্যা তুলে ধরা হবে এ মতবিনিময় সভায়।”তিনি এও বলেন, আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যাদের ভুল ধারণা রয়েছে, তা কমিশনের ব্যাখ্যায় নিরসন হবে। সূত্র: বিডি নিউজ

‘মেহমানরা যে প্রশ্নে আগেও নীরব ছিলেন’

দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম “মেহমানরা যে প্রশ্নে আগেও নীরব ছিলেন”। প্রতিবেদনে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, সমঝোতা-সংলাপের কথা আগে বহুবার বিদেশিদের মুখে শোনা গেছে, কিন্তু সরকার পদ্ধতির ব্যাপারে বরাবরই তারা ছিলেন নীরব। কারণ এটি একটি দেশের একান্তই নিজস্ব বিষয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এর আগেও তুমুল আন্দোলন হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ওই আন্দোলনে সঙ্গী হয়েছিল অন্যান্য দলগুলো। পালিত হয়েছিল ১৭৬ দিন হরতাল। কিন্তু সে সময়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেননি কূটনীতিকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার পদ্ধতির সঙ্গে একটি দেশের সাংবিধানিক এবং আইনি বিষয় জড়িত। স্বাভাবিকভাবেই কূটনীতিকরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন না। কিন্তু নির্বাচনকে আমেরিকা বা পশ্চিমা দুনিয়া কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে করে না। বরং তারা মনে করে এ নিয়ে সবারই কথা বলার অধিকার আছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।