নুর-রাশেদসহ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবেদন ১১ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২৩

তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ এনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত প্রিতম-জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কেচিগেট ও তালা ভাঙার অভিযোগে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম মামলার এজহার গ্রহণ করে এ দিন ধার্য করেন।

শনিবার (২২ জুলই) পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার মামলার এজহার এলে বিচারক তা গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দীন মিয়া জানান, মামলায় নুরসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত অন্তত ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– মুহাম্মদ রাশেদ খান, শহীদুল ইসলাম ফাহিম, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, শাকিল উজ্জামান, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, নাদিম হাসান, মনজুর মোরশেদ, বিন ইয়ামিন মোল্যা, রবিউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম (নুর), ফাতেমা তাসনীম, হেলেনা আক্তার, সাব্বির হোসেন, অর্ণব হোসেন, আবির ইসলাম সবুজ, ইমরান হোসেন প্রমুখ।

এজাহারে বলা হয়েছে, ফ্লোর ভাড়া নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করলেও ১৬ মাস ভাড়া পরিশোধ করেনি। এ ছাড়া নুরের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশি-বিদেশি সংগঠন ও ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট থাকায় কার্যালয়ে তালা দেন মালিক মশিউজ্জামান। কিন্তু বৃহস্পতিবার তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন নুর ও তাঁর অনুসারীরা।

ঘটনার দিন কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ও তালা ভেঙে প্রবেশ করেন নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী। খবর পেয়ে পুলিশ কার্যালয় থেকে তাদের বের করে দেয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে আবারও গেটে তালা দেয় মালিকপক্ষ। এরপর গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীরা আবারও সেই কেচিগেট ও তালা খুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নুর ও তার অনুসারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এরই এক পর্যায়ে নুরের পরনে থাকা পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি ছিড়ে যায়।

Nagad

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ভবনের মালিক মশিউর জামান বাদী হয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭৫-৮০ জনকে আসামি করা হয়।