‘পরিষ্কারভাবে সংঘাত সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, দায়ভার সরকারকে নিতেই হবে’
সরকারি দল পরিষ্কারভাবে সংঘাত সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, কোন ধরনের সংঘাত হলে এর দায়ভার সরকারকে নিতেই হবে-জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচির দিনে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দেয়, যদি কোন অপ্রীতিকর কিছু হয় এ জন্য দায়ী থাকবে সরকার। সরকারের মন্ত্রীরা হুমকি দিচ্ছে তাদের ভাষা সন্ত্রাসী ভাষা। জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে। এ আহবানে শুধু বিএনপি নয় যুগপৎ আন্দোলনের সবাই সম্পৃক্ত।
তিনি বলেন, সরকারের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।


সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। একদফা আন্দোলনে জনগণ ঐক্যবদ্ধ৷ সরকার বাধ্য হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে বাধ্য হবে। সময় এসেছে জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়ার।
সভা-সমাবেশ করা সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা আমাদের বাক-স্বাধীনতার, সভা সমাবেশের স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে। গুম-খুন এখন এ সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষ ভয়াবহ এ বেআইনি দানব সরকারের হাত থেকে মুক্তি চান। বিদেশিরাও আজ দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।
ফখরুল বলেন, শুধু বিএনপি নয়, ৩৬টি দল আজ একই দাবিতে মাঠে নেমেছে। সিপিবিও দাবি করেছে -এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জাতীয় পার্টি ও চরমোনাই পীরও সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে ভেন্যুর ব্যাপারে জানিয়েছি, আশা করি আজকের মধ্যেই তা চূড়ান্ত হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশের বিষয়ে আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। আশা করি মঙ্গলবারের মধ্যে ভেন্যুর বিষয়টি জানাতে পারব এবং কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সহযোগিতা করবে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলব- আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। এখানে আপনাদেরও সম্পৃক্ত হওয়া উচিত। কারণ আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, মো. আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামসুর রাহমান শিমুল বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক মিয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।