সুপ্রিম কোর্ট বারে আইনজীবীদের হট্টগোল, কক্ষ ভাঙচুর
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের রায়কে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামীপন্থী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের মুখোমুখি বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে আওয়ামীপন্থী সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে এ হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী বলেন, দুপুর দেড়টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের দণ্ড ও তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ফরমায়েশি রায় দেয়া হয়েছে। মামলা, হামলা, গুম, খুন করে চলমান আন্দোলন থামানো যাবে না।
পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আগামী ৬ আগস্ট ৬৪ জেলার বার ভবনে কালো পতাকা মিছিল এবং ৮ আগস্ট ৬৪ জেলা বার ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন চলার সময়ে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বাইরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও পরে ভাঙচুর করা হয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উল্লেখ্য, দুদকের করা মামলায় গতকাল বুধবার (২ আগস্ট) তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের সাজা দেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে তারেক রহমানের শাশুড়িকে মামলাটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।