বান্দরবান শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পাহাড় ধসের শঙ্কা

বান্দরবান সংবাদদাতাবান্দরবান সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা শহরের হাফেজঘোনা, বাসষ্টেশন, আর্মি পাড়া ও ইসলামপুর এলাকার নিচু স্থান ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

রোববার (০৬ আগস্ট) সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থান নিয়েছেন।

জানা গেছে, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পৌরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের ঘটনা। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ৭টি উপজেলায় ২০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরে পাহাড়িদের মাচাং ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

জেলা সদরের বালাঘাটার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, রিকশা-ভ্যান করে রাস্তা পারাপার হতে হচ্ছে। বালাঘাটা সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।

ইসলামপুরের বাসিন্দা জাহানারা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, পানিতে ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। কোথাও ঠাঁই নেই। এখন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছি।

শহরের মৃত্তিকা ও পানি বিভাজিকা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ১৬৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

Nagad

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। কয়েকদিন থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় জেলার বিভিন্নস্থানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বান্দরবান জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় সর্বমোট ২০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাই যদি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে চলে আসে তাহলে আমরা বড়ধরনের ঘটনা থেকে রক্ষা পাবো।

সারাদিন/০৬ আগস্ট/এমবি