প্লাটিলেট বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২৩

দেশে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশও বাড়ছে। এই রোগের সাথে লড়াই করতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম এবং পুষ্টি বৃদ্ধি করা জরুরি। সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মৌসুমের ফল খেতে হবে। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে এবং চাপ এড়াতে হবে। এই রোগ হলেও রক্তের প্লাটিলেট অর্থাৎ অণুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়। ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে।

ডেঙ্গিতে প্লাটিলেট উন্নত করতে, শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং সংক্রমণ এড়াতে কী কী খাবার খেতে হবে। ডায়েটে এই খাবারগুলো রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের গুরগাঁওয়ের ফোর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট দীপ্তি খাতুজা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’র এক প্রতিবেদনে ওই খাবারগুলো রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ দীপ্তি খাতুজা। উষ্ণ তরল সংমিশ্রণ, ভেষজ চা, ঝোল এবং স্যুপ খেতে বলছেন। একই সাথে ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে লেবু পানি, বাটারমিল্ক বা লস্যি, নারকেলের পানি ইত্যাদি প্লাটিলেট কাউন্ট উন্নত করে। তবে ছাগলের দুধ বা পেঁপে পাতার রস প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে এমন কোনও প্রমাণ নেই।

জাম, ন্য়াশপাতি, চেরি, পীচ, পেঁপে, আপেল এবং ডালিমের মতো মরসুমের ফল খেলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি পাওয়া যায়। ফলগুলো হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

নিয়মিত ডায়েটে মৌসুমের বিভিন্ন শাকসবজি রাখা জরুরি। অন্ত্র ভালো রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রঙের শাকসবজিতে উপস্থিত বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি এবং জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি খনিজ উপাদান ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

Nagad

হলুদ, আদা, রসুন, গোলমরিচ, দারুচিনি, এলাচ এবং জায়ফলের মতো মশলা এবং ভেষজগুলো অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ইমিউন-বুস্টিং করে। এগুলো খেলে শরীরকে রোগজীবাণুর থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত রান্নায় এই মশলাগুলো যোগ করলে শরীর ভালো থাকবে।

বাদাম এবং বীজ প্রোটিন পুষ্টি, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হয়। ডায়েটে প্রোবায়োটিকস খাবার রাখা জরুরি। দই, বাটারমিল্ক, পনির কেফির, কম্বুচা এবং সয়াবিন খাওয়া উচিত।

ডা. দীপ্তি খাতুজা বলেন, “পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করে খাবারের উপর। অতএব আমরা কী খাচ্ছি সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।”

সারাদিন/০৬ আগস্ট/এমবি