আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:০২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২৩

সাকিবের কোর্টে অধিনায়কত্বের ‘বল’
সভা শুরুর আগেই জানাজানি হয়ে গেল সভার ‘সিদ্ধান্ত’। সেটি হলো, জরুরি সভার পরও জানা যাবে না বাংলাদেশ দলের পরবর্তী ওয়ানডে অধিনায়কের নাম। অন্য সংস্করণের নেতৃত্বে বদল আনতে হবে কি না, জানা যাবে না সেটিও। অধিনায়ক ঠিক করার আগের অপরিহার্য কাজটাই যে তখনো করা হয়নি! সম্ভাব্য অধিনায়কদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি বিসিবির। কারও সঙ্গে কথা না বলে তো আর তাঁকে অধিনায়ক বানিয়ে দেওয়া যায় না।মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের গতকালের জরুরি সভাটি তাই শেষ হয়েছে অধিনায়কত্বের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই। ও হ্যাঁ, একটা সিদ্ধান্ত অবশ্য হয়েছে। সভার পর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জালাল ইউনুসই সেটি জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। বোর্ড পরিচালকেরা সবাই মিলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে দায়িত্ব দিয়েছেন সম্ভাব্য অধিনায়কদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার। জালাল ইউনুস বলেন, ‘আশা করি, আমরা দুই–তিন দিনের মধ্যে, ১২ আগস্ট আমাদের ডেডলাইন আছে (এশিয়া কাপের দল ঘোষণার), তার আগেই অধিনায়ক ঠিক করে করে আপনাদের জানিয়ে দেব।’ সূত্র: প্রথম আলো

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বিচ্ছিন্ন চার জেলা
ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া অংশে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে পানি উঠতে থাকে। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে পর্যটন শহর কক্সবাজার ও বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগর থেকে কক্সবাজার ও বান্দরবানে কোনো যানবাহন যেতে পারেনি, আসতেও পারেনি। চার দিন পর চট্টগ্রাম নগরের পানি নামতে শুরু করায় সড়কের অসংখ্য ক্ষত দৃশ্যমান হচ্ছে।তবে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল শুরু হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বলেছে, নগরীর প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সাতকানিয়া উপজেলায়। উপজেলার প্রায় ১৫টি ইউনিয়ন পানির নিচে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ডেঙ্গুর ওষুধপত্রের খরচ নাগালের বাইরে

ডেঙ্গুজ্বরের থাবায় কাঁপছে দেশ। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের ইতিহাসে এ বছর সর্বোচ্চ ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। রোগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্যালাইন, ওষুধ, ডাবসহ অন্যান্য পথ্যের দাম। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে দেখা দিয়েছে ওষুধ, স্যালাইনের সংকট। পরিস্থিতি সামলাতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। অধিদফতরের উপপরিচালক মো. নুরুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইনসহ এ-সংক্রান্ত ওষুধের চাহিদা অনেক বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত সপ্তাহে ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ওষুধ উৎপাদন করতে বলা হয়েছে। আগে প্রয়োজন অনুযায়ী তারা শিফট পরিচালনা করত। এখন তিন শিফটে ওষুধ উৎপাদন করতে বলা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মানুষের প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা নিশ্চিত করতে। নিয়মিত রোগী বাড়তে থাকলে এটা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, বিস্তীর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু রোগী ছড়িয়ে রয়েছে। মার্কেটিং পরিকল্পনার কারণে অনেক সময় কিছু জায়গায় সংকট দেখা দেয়। তাই সংকট নিরসনে একেক ওষুধ কোম্পানিকে একেক জায়গায় ওষুধ সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। কয়েক গুণ বেশি দামে স্যালাইন, ওষুধ বিক্রি হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ওষুধ কোম্পানি ওষুধের দাম বাড়ায়নি। কেউ বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

দেশে মানুষের হাতে রেকর্ড টাকা
মানুষের মধ্যে হাতে টাকা রাখার প্রবণতা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, টাকা ছাপানো বৃদ্ধি এবং হুন্ডি তৎপরতা এর কারণ হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, মানুষের হাতে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ টাকা রয়েছে। গত জুন শেষে প্রথমবারের মতো সার্কুলেশন বা প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে উঠেছে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রচলনে থাকা নোটের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত মোট ছাপানো নোটের পরিমাণ ৩ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর বিপরীতে সার্কুলেশন তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। সাধারণত দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যাংক শাখার ভল্টে থাকে ১৪ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৯২ থেকে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা ছিল মানুষের হাতে। সাধারণত কোরবানির ঈদের সময় মানুষের হাতে নগদ টাকা বেশি থাকে। ২০২২ সালের কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রচলনে ছিল সর্বোচ্চ ২ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে কমে গত বছরের অক্টোবরে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ কোটি টাকায় নেমেছিল। তবে কয়েকটি ব্যাংকের জালিয়াতির তথ্য ফাঁসের পর তা বেড়ে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকায় ওঠে। এর পর কমতে কমতে গত মার্চ শেষে ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকায় নামে। সূত্র; সমকাল

নতুন আইনের খসড়ায় বিতর্কিত ৪৩ ধারা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বিচার সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা যায় কিনা তা ভাবছে সরকার -আইনমন্ত্রী

Nagad

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হলেও এর কিছু ধারার প্রয়োগ নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে বিতর্কিত ৪৩ ধারা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাটি সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ফলে এটি ডিজিটাল আইনে যেভাবে প্রয়োগ হয়েছে, নতুন আইনেও একইভাবে প্রয়োগ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সোমবার মন্ত্রিসভায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে শুনেছি, তা সত্য হলে আমি খুশি। জাতিসংঘের কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। আইনটিকে ভালোভাবে যাচাই করার মতো কারিগরি জ্ঞানসম্পর্কিত ব্যক্তি নই আমি। আইনের খসড়াটি দেখিওনি। কিন্তু এই পরিবর্তনেই আমি খুব খুশি। আইনে কী পরিবর্তন করা হয়েছে, তা আমাদের ভালো করে দেখতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলাগুলোর বিচার নতুন আইনে করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবছে সরকার। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়রানির ধারা বহাল রেখে আইন সংশোধন করলেও তাতে কোনো লাভ নেই। ৪৩ ধারা নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত বলে মনে করেন তারা। পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতারের এই পুরনো ধারাটি বিতর্কমুক্ত হলো না। তাদের মতে, আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সরকার সেটি করেনি। যদি সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হতো, তাহলে এত সমালোচনার সুযোগ থাকত না। সূত্র; যুগান্তর

আমাদের জলে ভাসা শহর

বৃষ্টি হলেই ডুবছে দেশের বেশ কয়েকটি শহর। এটা যে শুধু সাগর উপকূলবর্তী চট্টগ্রাম কিংবা বরিশাল মহানগরীতে ঘটছে তেমনটা নয়। টানা বর্ষণ হলে সমতলের ঢাকায় যেমন পানি আটকে রাস্তায় জলজটের সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনিভাবে পার্বত্য এলাকার বান্দরবান শহরেও পানিবন্দি হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। আবার পাহাড়ি ঢালের সিলেট শহরের অধিবাসীরাও জলাবদ্ধতা দুর্ভোগে পড়ছে। উপকূল, সমতল, পাহাড় কোথাও যেন স্বস্তি নেই।

জানতে চাইলে নগরবিদ ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের নগর গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক নজরুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানগত বিচারে আমাদের দেশ প্রায় সমতল। আর সমতল এলাকায় একসঙ্গে টানা ভারী বর্ষণ হলে কিছু সময়ের জন্য পানি জমতেই পারে। তবে পানি আবার নেমেও যাবে।’ তিনি বলেন, ‘যদি সঠিক ড্রেনেজ পরিকল্পনা করা হয় তাহলে নগরগুলোতে পানি জমার কথা নয়। যেমন, ঢাকা শহরের নালাগুলো সংকুচিত করা হয়েছে এবং বক্স কালভার্টের মাধ্যমে এক ধরনের বন্দি করে ফেলা হয়েছে। এতে পানি প্রবাহ যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনিভাবে বক্স কালভার্টের কারণে নালা বা খালগুলো পরিষ্কার করা যাচ্ছে না।’অধ্যাপক নজরুল বলেন, ‘ঢাকায় একসময় প্রায় ৫০টি খাল ছিল। অনেকগুলোই এখন আর নেই। পুকুর ও জলাশয়গুলো প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে কাজ করত। কিন্তু সেগুলো ভরাট করা হচ্ছে। যথারীতি ডুবছে নগর।’গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবারও বাড্ডা, যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সূত্র; দেশ রুপান্তর

চট্টগ্রাম মহানগর
চারপাশে পানি, তবু ‘পানির সংকট’
যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই পানি। কোথাও হাঁটুসমান, আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত। চারপাশে এত পানি থাকার পরও পানির সংকটে পড়েছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ। অবশ্য এই সংকট ‘বিশুদ্ধ পানির’। বেশির ভাগ এলাকায় পানি ওঠায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। সুপেয় পানির এই সংকট বেশি দেখা দিয়েছে নগরীর উত্তর-মধ্যম হালিশহর, দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর, দক্ষিণ হালিশহর, উত্তর পতেঙ্গা, দক্ষিণ পতেঙ্গা, দক্ষিণ পাহাড়তলী, মোহরা ও পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে। এসব ওয়ার্ডে আগে থেকেই সুপেয় পানির সংকট ছিল। এখন বৃষ্টির পানিতে এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সেই সংকট আরও বেড়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বন্দীদের সিগারেট-সবজি কর্মকর্তাদের পেটে
সবজি না থাকলেও সবজিজাতীয় কিছু দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক

কারাগারে প্রত্যেক বন্দীর দুপুরের খাবারে ভাত, ডাল, মাছ বা মাংসের সঙ্গে সবজি পাওয়ার কথা। কিন্তু দেশের কারাগারগুলোতে দুপুরে ভাত, ডাল, মাছ বা মাংস দিলেও সবজি দেওয়া হয় না। আবার যে মানের ভাত দেওয়া হয়, তা বন্দীদের মুখে রোচে না। নাশকতার মামলায় দুই মাস ঢাকা (কেরানীগঞ্জ) কেন্দ্রীয় কারাগারে কাটিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির কর্মী রফিকুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগারে দুপুরের খাবারে সবজি পাইনি। কারাগারের ক্যানটিন থেকে ৪০ টাকা করে সবজি কিনে খেয়েছি।’বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে শাহবাগ থানার এক মামলায় হাজতে পাঠানো হয়েছিল হাজারীবাগের আলতাফ আলীকে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৫ দিন আগে তিনি জামিনে বেরিয়েছেন। কারাগারের খাবারের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দিন দিন চালের মান আরও খারাপ হচ্ছে মনে হয়। এক বছর আগে যখন কারাগারে ছিলাম, তখনো ভাত খেতে পেরেছি। এবার আর মুখে তুলতে পারিনি। তবে সে তুলনায় ক্যানটিনের ভাত ভালো। অবশ্য সেখানে দামও অনেক বেশি।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।

‘মানহানি হলো আমার, আর ক্ষতিপূরণ পেলো রাষ্ট্র- এটা তো ন্যায় বিচার হলো না’

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নামে যে আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে সেটি আসলে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিবর্তন আনবে না বলে মনে করছেন মানবাধিকারকর্মী এবং আইন বিশেষজ্ঞরা।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাস্তি কমানোর মতো বিষয়টি নতুন আইনে অন্তর্ভূক্ত করা হলেও এটি আসলে খুব একটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। বরং যেসব ধারা নিয়ে বিতর্ক ছিল সেগুলো এখনো বহাল তবিয়তেই রয়েছে।মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে জায়গাগুলো নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল সে জায়গাগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও রয়ে গেছে। যার ফলে এটি অপপ্রয়োগেরও সুযোগ রয়েছে এবং এটি দিয়ে নিবর্তনমূলক কার্যক্রম করারও সুযোগ রয়ে গেছে। বাংলাদেশে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে তার জায়গায় সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে ভিন্ন একটি আইন আনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়া হয়।আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন এনে এই আইনটি করা হচ্ছে। অনেকগুলো ধারায় জরিমানার ব্যবস্থা তুলে দেয়া হয়েছে, কোনো কোনো ধারায় কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে দেয়া হয়েছে বা কারাদণ্ড বাতিল করে জরিমানার বিধান আনা হয়েছে, দ্বিতীয়বার অপরাধ করলে দ্বিগুণ জরিমানা বা সাজার যে বিধান ছিল, সেটা পুরোপুরি তুলে দেয়া হয়েছে। সূত্র বিবিসি বাংল।

 

পাহাড়ের শহর কেন পানিতে ডুবল?

বৃষ্টি ছিল মাত্রাছাড়া, তবে বান্দরবানের এভাবে ডুবে যাওয়া বন উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়নের বিষয়টি সামনে এনেছে।

বর্ষার শেষ দিকে অগাস্টে বন্যা বাংলাদেশে নিয়মিত ঘটনা; তবে সেই বন্যা এবার দেখা গেল দেশের ভিন্ন প্রান্তে; অন্য সময় উজানের পানিতে উত্তরাঞ্চলে এমন বন্যা হলেও এবার ঢলে ডুবল পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি শহর বান্দরবান। কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবান শহর তলিয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পানিবন্দি অবস্থায় ছিলেন লাখো মানুষ। পাহাড়ি ঢলে মানুষ ভেসে যাওয়া ও পাহাড় ধসে মাটিচাপার মতো ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি।বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই, তাই নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট।শহরে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সদর উপজেলা কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, আদালত, নির্বাচন কমিশন কার্যালয়, পাসপোর্ট ও বিআরটিএ কার্যালয় হাঁটু পানিতে তলিয়ে আছে। সূত্র; বিডি নিউজ