এলপিএল অভিযান শেষ করলেন হৃদয়
ব্যাট করতে নামেন যে জায়গায়, সেখান থেকে বড় ইনিংস খেলা সম্ভব নয়। তাওহিদ হৃদয় যে সুযোগটা পেয়েছিলেন সেটাই কাজে লাগালেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমে শেষ মুহূর্তে ৯ বলে খেললেন অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংস। তাতে তিনটি বাউন্ডারির মার। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে জাফনা কিংসকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার।
তাওহিদ হৃদয় যতক্ষণে মাঠে নেমেছেন ব্যাট করতে ততক্ষণে দলের জয়ের কাজ মূলত শেষ। দুই ওপেনার মিলেই দলকে খুব দ্রুত জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ার আসল কাজটি করে দিয়ে গেছেন। হৃদয় ব্যাট করতে নেমেছেন ৬ নম্বরে। ডেভিড মিলারকে সাথে নিয়ে ২২ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪৭ রান। ৫৮ রানের জুটি গড়েছিলে নিশান মধুশঙ্কা এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ২১ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান আফগান ব্যাটার গুরবাজ। এরপর নিশান মধুশঙ্কা এবং চারিথ আশালঙ্কা মিলে ৯৭ রান পর্যন্ত টেনে নেন দলকে।
এ সময় ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হন আশালঙ্কা। থিসারা পেরেরা মাঠে নেমে জুটি বাধেন মধুশঙ্কার সঙ্গে। এ জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ১২৭ রা নের মাথায়। ৭ বলে ১৭ রান করেন পেরেরা। ৩২ বলে ৪৬ রান করে মধুশঙ্কা আউট হন ১২৮ রানের মাথায়। এরপরের কাজটি সেরে দেন তাওহিদ হৃদয়।
পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে দলকে জয় এনে দেন হৃদয়। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের করা ৮ উইকেটে ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে হৃদয়ের জাফনা কিংস জিতেছে ৩৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে।
এবারের এলপিএলে এটাই ছিল হৃদয়ের শেষ ম্যাচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত এলপিএলে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছিল। জয় দিয়েই তাই শেষ হলো হৃদয়ের প্রথম এলপিএল অভিযান। দেশে ফিরে তিনি যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। সূত্র-জাগো নিউজ
সারাদিন/০৯ আগস্ট/এমবি