ঝিনাইদহে দুই সাংবাদিককে সাক্ষী প্রদানের জেরে মারধর
ঝিনাইদহে দুই সাংবাদিককে মামলায় সাক্ষী প্রদানের জেরে মারধর করেছে বিবাদী পক্ষের সন্ত্রাসীরা ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে আদালত চত্বরের প্রথম গেট থেকে বের হওয়ার পরপরই তাদের উপর হামলা চালায় তারা ।
এ প্রসঙ্গে এখন টেলিভিশন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রহমান মিল্টন জানান, আমি বিগত ১৫/১২/২০১৮ ইং সালের ৭২১/১৮ জিআর মামলার এজাহারকারী বাদী । আজ বৃহস্পতিবার ছিল সাক্ষী গ্রহণের দিন । স্বাক্ষী প্রদান করে আদালত হতে আনুমানিক ১:৪০ মিনিটে ইজিবাইকে চড়ে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় আসামীদ্বয় ১। শামিমুল ইসলাম শামীম (৫২) ও ২। জহুরুল ইসলাম হিরো (৫২) আমাকে ও ডেইলি বাংলাদেশ প্রতিনিধি রামিম হাসানকে ডিসি অফিস সংলগ্ন ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে পাকা সড়কের (ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক) উপর ১নং আসামি হত্যার উদ্দেশ্যে জামার কলার ধরিয়া নামিয়ে নিয়া আমাকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বেদমভাবে প্রহার করতে থাকে। আমি ডান হাত দিয়া ঠেকাইতে গেলে আমার কপালে ও ঘাড়ে আঘাত লেগে ফোলা ও বেদনাযুক্ত জখম হয় । এরপর রামিম হাসান আমাকে ঠেকাতে গেলে ২নং আসামি অনুরুপভাবে আঘাত করলে রামিম হাসানের ডান হাতে ও ঘাড়ে আঘাত লেগে ফোলাযুক্ত জখম হয়। এ সময় আমার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোক ঘটনাস্থলে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, এরপর আমি ও রামিম হাসান ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন না আসিলে আসামিরা আমাকে ও রামিম হাসানকে হত্যা করে ফেলতো। ৭২১/১৮ জিআর মামলার পরবর্তীতে অন্যান্য স্বাক্ষীগন যাতে আদালতে স্বাক্ষ্যপ্রদান করতে না পারে এবং আমি বাদী যাতে উক্ত মামলার বিষয়ে পরবর্তীতে আদালতে না যেতে পারি সেজন্য আসামিগণ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বর্তমানে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারপর ঝিনাইদহ সদর থানায় স্বহস্তে অভিযোগ দায়ের করি ।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে । আমরা খুব দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।