আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
অনিয়মে ডুবছে উত্তর সিটি
♦ মশার ওষুধ নিয়ে নয়ছয় ♦ গৃহকরের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মশার লার্ভা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আমদানি করা জৈব কীটনাশক বিটিআই নিয়ে জালিয়াতির চিত্র ফুটে উঠেছে। এর মধ্যে গৃহকর পরিশোধের ভুয়া রশিদ নিয়ে চলছে তোলপাড়। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে ডিএনসিসিতে। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে এহেন অনিয়মে ক্ষুব্ধ নগরবাসী। এ বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার শর বেশি মানুষ। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের ইতিহাসে সবচেয়ে মৃত্যু। এডিস মশা বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে সিটি করপোরেশন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন মশার ওষুধ বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস বা বিটিআই প্রয়োগ শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গত ৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান লেকে বিটিআই প্রয়োগের উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যালস কোম্পানি থেকে ৫ টন বিটিআই আনা হয়েছে। প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৩ হাজার ৩৮৫ টাকা। সে হিসেবে ৫ টনের দাম পড়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ৫ কোটি টাকার বিটিআই আমদানির কথা জানায় উত্তর সিটি। অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যালসের একজন প্রতিনিধির সঙ্গে সাংবাদিকদের পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হয়। তার নাম জানানো হয় ‘লি শিয়াং’। বলা হয়, তিনি কোম্পানির এক্সপোর্ট ম্যানেজার এবং তিনি ডিএনসিসির কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
১০ কোটি মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন চালু, উদ্বোধন আজ
৪ ধরনের পেনশন স্কিম চালু হচ্ছে আজ। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ চাঁদা দিয়ে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবেন।
দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে চালু করা হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন–ব্যবস্থা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ এবং ২০৪১ সালে তাঁদের সংখ্যা হবে ৩ কোটি ১০ লাখ।
এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনতে এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে দেশে প্রথমবারের মতো সর্বজনীন পেনশন–ব্যবস্থা (স্কিম) চালু করছে সরকার। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় কত মানুষ পেনশন সুবিধার আওতায় আসবেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গতকাল জানান, পেনশন স্কিমের মাধ্যমে ১৮ বছরের বেশি দেশে-বিদেশে থাকা ১০ কোটি মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার চিন্তা রয়েছে সরকারের। পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা এবং তাঁদের নিরাপত্তাহীনতা। আর এ কারণেই চালু করা হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন–ব্যবস্থা। সূত্র; প্রথম আলো
জাতীয় শোক দিবসের স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী
তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বা গণতন্ত্র নয়
ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করা কারও কারও উদ্দেশ্য * পদলেহনকারী গোলামদের ক্ষমতায় বসাতেই এত টালবাহানা
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বা গণতন্ত্র নয়। উদ্দেশ্য হলো-দেশের উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। ঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করা, এটাই কারও কারও উদ্দেশ্য। আমাকে সরিয়ে তাদের কিছু পদলেহনকারী গোলামদের ক্ষমতায় বসিয়ে ভারত মহাসাগরের মধ্যে থাকা দেশগুলোয় হামলা ও অশান্তি সৃষ্টি করে কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের এত টালবাহানা। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা পছন্দ করে না বলেই তারা নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি উতলা। আমাদের দেশপ্রেমিক জনগণকে এসব বুঝতে হবে, সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। আমি তো বলব, ভারত মহাসাগরের অন্য দেশগুলো এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন আছে, সেটা আমি বিশ্বাস করি। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় কোনো খেলা খেলে জনগণের ভাগ্য কেউ যাতে কেড়ে না নিতে পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, শত ব্যথা-বেদনা মুখ বুজে সহ্য করে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। কতবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। যতক্ষণ বেঁচে আছি, ততক্ষণ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। দেশের মানুষের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় থাকার লোভ আমার বাবারও কোনোদিন ছিল না, আমারও নেই। সূত্র: যুগান্তর
কোটার কাটাকুটিতে ৭৩ ভাগ চাকরি
সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটা লেখা পোস্ট করেন গত এপ্রিলে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২৩ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখাটিতে লাইক দেন বা সাড়া দেন। ২ হাজার ৪০০ জন বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এ ছাড়া ৭৮৫ জন তা শেয়ার করেন। পোস্টটি ছিল সরকারি চাকরি নিয়ে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন ‘কোয়ালিটি নিয়োগের জন্য কোটা একটি বড় বাধা’। এই পোস্টের পর সাবেক আমলা মিলনের ফেসবুক বন্ধুরা এর ওপর হামলে পড়েন। সেখানে কোটার পক্ষে-বিপক্ষে কথার ঝড় ওঠে। এসব মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, কোটা নিয়ে মানুষ কতটা হতাশ।সরকারের প্রায় ৭৩ শতাংশ কর্মচারীর নিয়োগ হয় কোটায়। তারা সবাই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বা ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে চাকরি করেন। সে হিসেবে বেশির ভাগ চাকরিই হয় কোটার ভিত্তিতে। আগে সরকারি চাকরির বিন্যাস শ্রেণি অনুযায়ী করা হলেও এখন তা গ্রেড অনুযায়ী করা হয়। ১ থেকে ৯ গ্রেড প্রথম, ১০ থেকে ১২ গ্রেড দ্বিতীয়, ১৩ থেকে ১৬ তৃতীয় এবং ১৭ থকে ২০তম গ্রেড হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি। ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরি থেকে কোটা তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে তা বহাল থাকে। সরকারের মোট জনবলের ৭৩ শতাংশই হচ্ছে এই দুই শ্রেণির। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি ২৭ শতাংশ। এগুলো নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ চাকরি। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরির গুরুত্ব কম থাকলেও চাকরির বিশাল বাজারের জন্য তা আবার গুরুত্বপূর্ণও। কারণ এসব চাকরিকে কেন্দ্র করে নানা অনিয়ম হচ্ছে। অনিয়মের সঙ্গে যখন কোটা যুক্ত হয়, তখন তা মেধাবীদের জন্য বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
শেষ জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা
ঢাকার মিরপুরে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করেন শরিফুল ইসলাম। মাস শেষে যে বেতন পান, মূল্যস্ফীতির এই সময়ে ঘাটতি থেকে যায়। ফলে কয়েক মাস ধরে সঞ্চয় থাকে না অর্থ। বললেন, এভাবে চলতে থাকলে শেষ জীবনের আর্থিক নিরাপত্তা কে দেবে? শেওড়াপাড়া বাজারের ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী ইফতেখারও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। বললেন, ব্যাংক অথবা কোনো সমিতিতে টাকা জমা রাখার উপায় থাকে না। কারণ ব্যয় বেশি। কিন্তু সঞ্চয় করা তো দরকার।
হ্যাঁ, শেষ জীবনে মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সে জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শুরু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম। চারটি স্কিমে জমা রাখা যাবে অর্থ। অতিদরিদ্র থেকে শুরু করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত মানুষ এই স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতে নিয়োজিত এবং প্রবাসীরাও পাবেন সুবিধা। মাসিক ভিত্তিতে অর্থ জমা রাখতে হবে। ৬০ বছর পর যে টাকা জমা হবে, তার সঙ্গে যোগ করে মাসিক ভিত্তিতে অর্থ পরিশোধ করবে সরকার। সূত্র; দৈনিক বাংলা।
আন্তর্জাতিক আদালতে আবার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সরকার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) দ্বারস্থ হয়েছে লন্ডনভিত্তিক আইনি সেবা প্রতিষ্ঠান গের্নিকা ৩৭ চেম্বারস। এই প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্যের আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন। এর আগেও একবার টবি ক্যাডম্যান আইসিসির কৌঁসুলির কাছে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য আবেদন করেছিলেন।গের্নিকা ৩৭ চেম্বারসের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ‘২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর নিরাপত্তা বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে’ বলে অভিযোগ করেন টবি। সূত্র: কালের কণ্ঠ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন: স্বার্থে সতর্ক ভারত-চীন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকায় পশ্চিমা কূটনীতিকদের ব্যস্ততা আছে কয়েক মাস ধরে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ঢাকার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে এই অঞ্চলের প্রভাবশালী দুই দেশ ভারত ও চীনের। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সরকারও। সবাই নজর রাখছে নিজেদের স্বার্থের দিকে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলো, ভারত ও চীনই নয়, এখানকার নির্বাচনী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন ঢাকায় শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের মতো দেশগুলোর কূটনীতিকেরাও। সূত্র; আজকের পত্রিকা।
জঙ্গি কর্মকাণ্ড যেভাবে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে
অন্যসব দিনের মতোই ঢাকার একটি দৈনিকে কর্মরত অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক লিটন হায়দার সংবাদ খুঁজতে সরকারি একটি দপ্তরে বসে কথা বলছিলেন। কিন্তু তার ধারণাতেও ছিল না, একটু পরেই কতো বড় একটি সংবাদ তাকে লিখতে হবে। ‘’প্রথমে খবর পেলাম, ঢাকার কোর্ট এলাকায় না কি বোমা হামলা হয়েছে। সেই খবর পেয়ে ঢাকার কোর্ট এলাকায় গেলাম। সেই বিষয়ে যখন খোঁজখবর নিতে শুরু করেছি, একটু পরেই সারা দেশ থেকে একই রকম বোমা হামলার খবর আসতে শুরু করলো। দুপুর গড়াতেই বোঝা গেল, কী ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটে গেছে! এর আগে দেশজুড়ে এরকম একযোগে বোমা হামলার কথা আর শোনা যায়নি,’’বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন লিটন হায়দার।দু’হাজার পাঁচ সালের ১৭ই অগাস্ট বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে চালানো ওই বোমা হামলায় দু’জন নিহত আর বহু মানুষ আহত হন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতির ঘোষণা করেছিল জঙ্গিরা। সেদিন তারা নিজেদের একটি প্রচারপত্র বা লিফলেটও ছড়িয়ে দিয়েছিল। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
ডেঙ্গু: রোগ ভোগাচ্ছে, ব্যয়ও কাবু করছে
“কী যে করে বুঝি না। খালি ব্লাড নেয়, আর স্যালাইন চলে। ওষুধ তো আমরা কিনে আনি। ওরা দুই-একটা যা দেয়, সেটার দাম রিলিজের সময় দেওয়া লাগবে। এখানে ডেইলি বেড ভাড়া ১১০০ টাকা। তারপর এই যে নার্স আসে, দুইবেলা ডাক্তার আসে, এই সার্ভিসগুলার চার্জ আছে।”
স্কুল পড়ুয়া ছেলে জুবায়েরের ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচা নিয়ে বলছিলেন আফতাবনগরের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম।ঢাকার মগবাজারের হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার যখন তার সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল, তখন জুয়েরের শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে।পাঁচ দিন আগে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এ কিশোরকে বেসরকারি হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়েছিল। চতুর্থ দিনে এসে ছেলে কিছুটা সুস্থ হলেও হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট মর্জিনা। সূত্র: বিডি নিউজ
হাতের টাকা ব্যাংকে ফেরানোর তাগিদ
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আস্থাহীনতাসহ নানা কারণে মানুষের মধ্যে নগদ টাকা ধারণের প্রবণতা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। দৈনন্দিন কেনাকাটাসহ বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে সাধারণভাবে মোট অর্থের ১০ থেকে ১২ শতাংশ মানুষের হাতে নগদে থাকে। কিন্তু এখন তা ১৬ শতাংশে উঠেছে। আবার ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য এক বছর আগের ২ লাখ ৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩ হাজার ৯০৯ কোটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে সব ব্যাংকের এমডিদের নিয়ে ব্যাংকার্স সভায় এ চিত্র তুলে ধরা হয়। তারল্য সংকট মেটাতে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে হাতের টাকা ব্যাংকে ফেরানোর তাগিদ দিয়েছেন বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সিআরআর ও এসএলআর রাখার পর যে অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে, তা অতিরিক্ত তারল্য হিসেবে বিবেচিত। পুরো ব্যাংক খাতে এখন সম্মিলিতভাবে ৪ হাজার কোটি টাকার কম উদ্বৃত্ত থাকলেও কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা বেশ খারাপ। এসব ব্যাংক নিয়মিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৪ শতাংশ নগদ জমা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। যে কারণে তারা জরিমানার মুখে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত জুন শেষে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। সাধারণভাবে ২ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা থাকে। এর আগে কয়েকটি ব্যাংকের জালিয়াতির তথ্য সামনে আসার পর গত ডিসেম্বরে মানুষের হাতে ছিল সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। এর পর আবার ওই অর্থ ব্যাংকে ফিরলেও এখন তা বেড়েছে। সূত্র: সমকাল