মির্জা ফখরুল মূর্খের মত মিথ্যা কথা বলেন: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৩

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, মির্জা ফখরুল আহাম্মকের মতো মিথ্যা কথা বলেন। মির্জা ফখরুল মূর্খের মত মিথ্যা কথা বলেন। তথ্য না জেনেই তিনি কথা বলেন, তাই সাথে সাথে ধরা পড়ে যান।’

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনা ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় নিহত হন ২৪ জন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে যে লোকের কথা বলা হচ্ছে, তিনি একটা মিথ্যা কথা বলেছেন। জোর করে একজন আসামির জবানবন্দি নিয়ে এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়িত করা হয়েছে। এখন নাম বলতে হয়, মির্জা ফখরুল ইসলাম। তার অভ্যাস বিএনপির সবার মতো মিথ্যা কথা বলা।

তিনি বলেন, ফখরুল মিথ্যা কথা বলতে বলতে কোন পর্যায়ের মিথ্যা বলেন, নিজেও ভুলে গেছেন। তিনি মূর্খের মতো একজন মিথ্যুক। একজন মিথ্যুক যদি সত্যকে মিথ্যা বানাতে চান, তাকে কষ্ট করতে হয়। একজন বুদ্ধিমান মিথ্যুক হলে, ধরতে দেরি লাগে। আর আহাম্মকের মতো যদি মিথ্যা কথা বলেন, সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যান। তিনি হচ্ছেন সেই আহাম্মকের এর মতো মিথ্যুক। কারণ হলো তিনি তথ্য না জেনেই কথা বলেন।

উনিশ বছর পরে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার ওই ঘটনার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ২১ আগস্টের পুরো বিষয়টি সাজানো নাটক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতাদের ওই মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে।

Nagad

আইনমন্ত্রী বলেন, ৭৫’ এর অসম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র পূর্ণ করতেই ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করাই বিএনপির উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, মুফতি হান্নান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সাক্ষী দিয়েছেন, একুশে আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমান জড়িত।

এ সময় মির্জা ফখরুলকে তথ্য জেনে কথা বলারও আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী।

তখনকার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ওই ঘটনার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হয়। নানা নাটকীয়তার পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলার রায় দেয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, খালেদার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

এদিকে সাহস থাকলে বিএনপিকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে আর ভোট দেবে না। জনগণ যদি বিএনপিকে ভোট দেয় তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।