বিএনপির ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ-বলেছেন, বিএনপির ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। পত্রিকায় দেখলাম, চট্টগ্রামে ছাত্রদল বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কখন যে নয়াপল্টনের অফিসে যুবদল তালা লাগিয়ে দেয়, সেটি দেখার বিষয়। তাদের (বিএনপি) ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। নইলে ছাত্রদল বিএনপি অফিসে তালা লাগানোর কথা না। এই অন্তর্জ্বালা শুরু হওয়ার কারণ হচ্ছে, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হয়নি।

তিনি বলেন, বিদেশিরা তাদের দাবি-দাওয়া, তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার এগুলোর প্রতি কোনো সমর্থন জানায়নি। বিদেশিরা শুধু একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে চায় বাংলাদেশে। আমরাও (আওয়ামী লীগ) একটি সুন্দর নির্বাচন করতে চাই

রোববার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন। আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনাসভার আয়োজন করে ‘আইভি রহমান পরিষদ।’

মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মোশতাক এবং জিয়া। আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারেক জিয়া। তারা আসলে হত্যার রাজনীতিটাই করে। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই জিয়াউর রহমানের উত্থান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে যখনই সেনাবাহিনীতে ক্যু এর প্রচেষ্টা হয়েছে, তখনই নির্বিচারে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছিল। এভাবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার চেষ্টা করেছিল, করতে পারেনি। তার লোকেরাই তাকে হত্যা করেছে।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘আইভি রহমান পরিষদ’।

Nagad

বিএনপির নির্বাচন বর্জন করার অধিকার আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা যদি কেউ করে, তাহলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে সেটি প্রতিহত করবে। এটি ২০১৪ সাল নয়, এটি ২০২৩ সাল। এখন ২০১৩-১৪ সালের পুনরাবৃত্তি করবেন, সেটি এই দেশের মানুষ করতে দেবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ থেকে যদি অপরাজনীতি, মানুষ হত্যার রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হয়, তাহলে যারা প্রতিহিংসা ও অপরাজনীতি করে, তাদের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে বিদায় করা দরকার। নইলে এই অপরাজনীতি বন্ধ হবে না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে পরিচালনা করা হয়েছিল। এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছে তারেক রহমান। তার পরিকল্পনায় হাওয়া ভবনে কয়েক দফা বৈঠক হয়। সেগুলো ২১ আগস্টের মামলার এজাহারে আছে। কখন, কোথায় বৈঠক হয়? হাওয়া ভবনে কয়বার বৈঠক হয়। আমি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাক্ষী।’

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও যুক্ত করা হয়েছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হবে, সেজন্য ফারুক ও রশিদ তখন ঢাকায় এসেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও এই হামলায় যুক্ত করা হয়েছিল। যেই শুনেছে, শেখ হাসিনা মৃত্যুবরণ করেনি, তারপর তারা চলে গেছে। এই হামলার পর হাওয়া ভবনের প্রথম প্রশ্ন ছিল— শেখ হাসিনা বেঁচে আছে? যখন শুনেছে উনি (শেখ হাসিনা) বেঁচে আছেন, তারা হতাশায় নিমজ্জিত হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও আইভি রহমান পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।