জাবিতে গলায় ফাঁস দিয়ে ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’

জাবি সংবাদদাতাজাবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী কাজী সামিতা আশকা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি জবির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ৪র্থ বর্ষের (৪৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার সদর উপজেলায়।

শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আমবাগান এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকার সাভারের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশকার রুমমেট শর্মী ও মাইশা গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা আজকে কেউই বাসায় ছিলাম না। মাইশা সন্ধ্যার কিছু আগে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আশকাকে তার বন্ধু তূর্যর সাথে ভিডিও কলে ঝগড়া করতে দেখে। পরে রাত সাড়ে ৮টায় তূর্য আশকার বন্ধু সামিহাকে ফোন করে দ্রুত বাসায় যেতে বলে। বাসায় গিয়ে আমরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তখন বাইরে থেকে দরজা ভেঙে আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে এনাম মেডিকেলে পাঠান।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ডা. শামসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রাত ৯টার দিকে সামিতার সহপাঠীরা তাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে আনে। তখন তার কোনো নিঃশ্বাস ছিল না। সাথে সাথে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাকে শিক্ষার্থীরা ফোন করে দ্রুত একটা অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে দিতে বলে। কিন্তু তারা আমাকে সুইসাইডের কথা জানায়নি। পরে আমরা হাসপাতালে এসে জানতে পারি সে আত্মহত্যা করেছে।”

Nagad

সাভার থানার দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শনাক্ত করেছি। প্রেমিকের সাথে ঝগড়ার জেরে আত্মহত্যা করতে পারে বলে জেনেছি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে পরিবারকে মরদেহ বুঝিয়ে দিতে পারব।”

সারাদিন/০২ সেপ্টেম্বর/এমবি