‘কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ, বন্দির সংখ্যা ৭৭২০৩’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩

দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন,বর্তমানে কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন হলেও বন্দির সংখ্যা ৭৭ হাজার ২০৩ জন। যশোর, সিলেট, দিনাজপুর, ফেনী, পিরোজপুর ও মাদারীপুর কারাগার ছাড়া বর্তমানে দেশের সব কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বন্দি রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭৬৫ জন বন্দি রয়েছে। এই কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন। এ ছাড়া ঝালকাঠি জেলা কারাগারে সর্বনিম্ন ১৮৯ জন বন্দি রয়েছে।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, যশোর, সিলেট, দিনাজপুর, ফেনী, পিরোজপুর ও মাদারীপুর কারাগার ছাড়া দেশের অন্য সব কারাগারে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭৬৫ জন বন্দি রয়েছে। এই কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন। অন্যদিকে ঝালকাঠি জেলা কারাগারে সর্বনিম্ন ১৮৯ জন বন্দি রয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়ানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, খুলনা, নরসিংদী ও জামালপুর- এ ৫টি জেলা কারাগার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কারাগারগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে বন্দির ধারণক্ষমতা প্রায় পাঁচ হাজার জন বাড়বে।

দেশের সব কারাগারের লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সরকারি দলের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারাগারে আটক বন্দিদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োজিত আছে। এছাড়া বন্দিদের বিভিন্ন ধরনের ইনডোর খেলাধুলা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, মেডিটেশন এবং বই ও পত্রপত্রিকা পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আর কারা অভ্যন্তরে অপরাধের কুফল সংক্রান্ত সচেতনামূলক ডকুমেন্টারি বা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া কারা কর্মকর্তা ও কারা পরিদর্শক কর্তৃক কারা অভ্যন্তরে পরিদর্শনকালে মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

Nagad

এ ছাড়া ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানবপাচারকারীদের তথ্যভান্ডার করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মানবপাচারের মতো গুরুতর ও সংঘবদ্ধ অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বিরাজমান সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্ত হত্যা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

সারাদিন. ৩ সেপ্টেম্বর